আরেক রকম ● নবম বর্ষ সপ্তম সংখ্যা ● ১-১৫ এপ্রিল, ২০২১ ● ১৬-৩১ চৈত্র, ১৪২৭

প্রবন্ধ

ঘুমিয়ে পড়া ঘুম

অম্লানকুসুম চক্রবর্তী


ঘুম নিয়ে যত গালভরা প্রবাদ প্রবচন আছে তার মধ্যে কেন জানিনা এই লাইনটা মনে বেশ দাগ কেটে গেল - আপনি যে ঘুমটা ঘুমোন না সেই ঘুম ১০০ শতাংশ মিস করেন। ঘুম নিয়ে খানিক নাড়াচাড়া করতে গিয়ে দেখি, তথ্য গ্রাফ পরিসংখ্যান যে পথে যাচ্ছে, সেই প্রবাহের সঙ্গে এই লাইনের চেয়ে ভাল যুগলবন্দি আর দুটি নেই।অল্প কথায় বলতে গেলে বলা যায়, ঘুমই যেন ঘুমিয়ে পড়ছে ক্রমশ।

সারাদিনের ক্লান্তির পরে স্বাভাবিকভাবেই মনে হয়, এবার একটু জিরিয়ে নিই। বিছানায় শরীর ছোঁয়ালে কিছুক্ষণের মধ্যে চোখের পাতাগুলো এলিয়ে আসবে - এমনটাই তো হওয়ার কথা ছিল। সাত আট ঘণ্টা ভাল ঘুমের পরে আবার একটা নতুন দিন, নতুন কাজ। আবার সারাদিনের দৌড়ের পরে জিরিয়ে নেওয়ার পালা। কাজ আর বিশ্রামের যদি একটা বৃত্ত আঁকা যায় আর সেই বৃত্তটাকে যদি গাড়ির চাকার সঙ্গে তুলনা করা যায়, তা হলে রকমসকম দেখে বলা যেতে পারে, টায়ার পাংচার! বেঁচে থাকার রাস্তার উপরে আমরাই বাম্পারের মতো সাজিয়ে দিয়েছি লাখো লাখো পেরেক। চাকায় যে হাওয়া থাকবে তার সাধ্য কই। আর কি আশ্চর্য! এই আধখাওয়া, জীর্ণ টায়ারকে সঙ্গী করেই জীবনের অ্যাক্সিলেটরে পাহাড়প্রমাণ ওজন চাপিয়ে শয়ে শয়ে কোটি সমস্বরে বলে উঠছি, ছোট্, ছোট্, আরও জোরে। বিশ্রাম আবার কি? থামবি না একেবারে।

ঘুম বিশেষজ্ঞরা বলেন, বিছানায় শোয়ার পরে ঘুমিয়ে পড়তে ১০ থেকে ১৫ মিনিট মতো সময় লাগার কথা। যদি কেউ পাঁচ মিনিটের মধ্যেই ঘুমিয়ে পড়েন, তা হলে অবধারিতভাবে বলা যায়, তাঁর ঘুমের ঘাটতি রয়েছে। অর্থাৎ, স্লিপ ডিপ্রাইভড। এটা হল বইয়ে লেখা বিশেষজ্ঞদের থিওরি। বাস্তব হল, লোকের ঘুম আসে না। অন্য ভাবে বলা যায়, ঘুমকে ডেকে আনতে ইচ্ছে করে না। ঘুমের থেকেও যে বিষয়গুলোকে আমাদের আপাতভাবে বেশি জরুরি বলে মনে হয়, সেগুলো হঠাৎ আঁকশি বাড়িয়ে গলা চেপে ধরতে চায়। মোবাইল ফোন ডাকে। চিন্তার বুদবুদ বড় হয়। অন্ধকার ঘরে নিজের মধ্যেই জিইয়ে রাখা শত্রুর সঙ্গে আমরা যুদ্ধ যুদ্ধ খেলি। দাম চোকায় ঘুম।

কোন বয়সে কতটা ঘুমের দরকার, তার জন্য একটা গ্রাফ আছে। সদ্যোজাত, অর্থাৎ নমাস বয়স পর্যন্ত একটা শিশুর দিনে ১৪ থেকে ১৭ ঘন্টা ঘুমনো জরুরি। ১ থেকে ৩ বছর হলে দিনে ১২ থেকে ১৫ ঘন্টা ঘুম লাগে। ১৪ থেকে ১৭ বছর বয়সী টিনএজারদের দৈনিক ৮ থেকে ১০ ঘন্টা ঘুম যথেষ্ট। ২৬ থেকে ৬৪ বছর বয়সীদের জন্য প্রয়োজনীয় ঘুমের সময় দিনে ৭ থেকে ৯ ঘন্টা। এর উপরে যাঁদের বয়স, তাঁদের ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুম দরকার। অর্থাৎ বয়স যত বাড়ে, ঘুমের দরকারি ঘন্টার পরিমাণটাও কমতে থাকে। কিন্তু এর একটা চার্ট বানিয়ে যদি বয়স, পরামর্শমতো ঘুমের সময় এবং সত্যিকারের ঘুমের পরিমাণ বসিয়ে টিক মারতে থাকি, তাহলে দেখা যায়, শৈশব পেরনোর পর সত্যিকারের ঘুম, রেকমেন্ডেড ঘুমের সময়কে বলে বলে দশ গোল দেয়। অর্থাৎ, বোধোদয় হওয়ার পরে, নিজেকে বুঝতে শেখার পরে, ঘুমকে তুড়ি মারা যায় আয়েশে। আর বয়সের সঙ্গে বোধ যত বাড়ে, ঘুমও প্রথম সারি থেকে ক্রমশ পিছনের সারির দিকে এগোতে থাকে। মার্কিনদেশে করা এক সমীক্ষার রিপোর্ট বলছে, গত সাত দশকে মার্কিনিদের ঘুম কমেছে প্রায় ১৩ শতাংশ। ১৯৪২ সালে এক মার্কিনি যেখানে গড়ে ৭.৯ ঘন্টা ঘুমোতেন, ২০১৩ সালে তার পরিমাণ হয়েছে ৬.৮ ঘন্টা। সে দেশের সিডিসি, অর্থাৎ সেন্টার ফর ডিজিজ কনট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশান বলছে, প্রাপ্তবয়স্কদের ৩৫ শতাংশ দিনে ৭ ঘন্টাও ঘুমোন না। শুধু আমেরিকা নয়, ঘুম কমেছে বিশ্বজুড়ে। ভারত আমার ভারতবর্ষেও ট্রেন্ড মোটামুটি একই। ২০১৯ সালে করা এক সমীক্ষা বলছে, পরিপূর্ণ ঘুম থেকে বঞ্চিত দেশগুলির মধ্যে ভারত আছে দ্বিতীয় স্থানে। এ দেশের লোকেরা গড়ে দিনে ৭.১ ঘন্টা ঘুমনোর সুযোগ পান। এটা শুনলেই ঘুরিয়ে প্রশ্ন করা যেতে পারে, তাহলে আবার খারাপটা কি? এইমাত্র যে বলা বলা হল ৭ থেকে ৯ ঘন্টা ঘুমই যথেষ্ট? উত্তরে বলা যায়, যদি পরামর্শমতো পরিপূর্ণ ঘুমের মাপকাঠি হয় ৭ থেকে ৯ ঘন্টা, সেখানে কোনওরকমে ৭ ছুঁয়ে থাকাতে আর যাই হোক, পূর্ণতা আসে না। ঘুম পুরো না হলে যেমন হাই ওঠে সারাদিন, এমন সমীক্ষার রিপোর্টের সঙ্গেও সেই ক্লান্তি লেপ্টে থাকে।

ঠিকঠাক ঘুম না হলে কি হয়? গুগলমাস্টারকে জিজ্ঞেস করলে হাজার কারণের এক লম্বা ফর্দ দেবে। ফর্দ পড়ে মনে হয়, ‘কি হয়’ না শুধিয়ে ‘কি হয় না’ প্রশ্ন করলেই বোধহয় ভাল ছিল। শুধু ক্লান্তি কিংবা সারাদিন ঝিমঝিমভাব নয়। মাথাটা ভারভার লাগাও নয়। দিনের পর দিন ঠিকঠাক ঘুম না হলে তার কালো প্রভাব পড়ে সারা শরীরে। রোগ প্রতিরোধ করার স্বাভাবিক ক্ষমতা কমে যায়, কর্কটরোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বাড়ে, হৃদযন্ত্রের শক্তি ক্রমশ ম্রিয়মান হয়ে আসে, চামড়ার ক্ষতি হয়, ডায়াবেটিসের হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। ঘুম বাকি থাকলে মাথা কাজ করে না, স্মৃতিশক্তিকে হঠাৎ লালকার্ড দেখায় কেউ, জেগে থেকে যে কাজ করি, তার উপর মনোযোগ ক্রমশ তলানিতে ঠেকে। যত সড়ক দুর্ঘটনা হয়, তার অন্যতম খলনায়ক চালকের বাকি থেকে যাওয়া ঘুম। সারা রাত গাড়ি চালিয়ে যখন জুড়িয়ে আসে চোখ, ঠিক তখনই মুহূর্তের বেখেয়ালে অস্তিত্ত্বের মানেটা বদলে যায়। ঘুম না হলে নিজের উপরে বিরক্তি আসে। অবসাদ ক্রমশ গ্রাস করতে থাকে। চিকিৎসাশাস্ত্র বলে, যাঁরা ঘুমোন কম, তাঁদের মোটা হয়ে যাওয়ার প্রবণতাও বেশি। কতটুকু খেলে থামতে হয়, শরীরের সেই রাসায়নিক ক্রিয়া-বিক্রিয়ায় সমীকরণগুলো কেমন যেন ছন্নছাড়া হয়ে যায় ঘুমের অভাব থাকলে। ফলে যাঁরা ঘুমোন না, খাবার খান বেশি, মুটিয়ে যান আর সেই মোটা হয়ে যাওয়া উলু দিয়ে বরণ করে নেয় আরও নানা আনুসঙ্গিক রোগকে। ফলে দিনের পর দিন কম ঘুমোলে ঘুমোতে না পারার পরোক্ষ প্রভাবগুলো ক্রমশ প্রত্যক্ষ প্রভাবগুলোর ঘাড়ে চেপে বসে। অনেক সময়ই খুব দেরি হয়ে যায়, আর কিছু করার থাকে না। এক চিকিৎসককে বলতে শুনেছিলাম, মৃতের ডেথ সার্টিফিকেটে তো আর ঘুম হল না বলে লোকটা মরে গেল লেখা যায় না, কিন্তু বহু কেস পাই যার বিষচাবিটা লুকিয়ে আছে ঘুম না হওয়া লাল চোখের মধ্যেই।

স্পিরিচুয়াল গুরুরা বলেন, ঘরের আলো বন্ধ করে বিছানায় শোয়ার পরে বারবার মনে মনে রিল্যাক্স রিল্যাক্স বলতে বলতে আমার দেখানো পথে শ্বাস নেবে আর শ্বাস ছাড়বে। এ এক শরীরকে বস মানানো ক্যালকুলেটিভ ধ্যান। তাড়াতাড়ি ঘুম আসতে বাধ্য। আর কর্পোরেট গুরুরা বলেন, সারাদিনের সমস্ত অ্যাসাইনমেন্টস সাবমিট করার পরে যখন ঘুমোতে যাবে, তখন মনের মধ্যে যেন ছবির মতো আঁকা হয়ে যায় কালকের ওয়ার্ক প্ল্যান। ঘুম থেকে ওঠার পরে এক মুহূর্তও যেন সেদিনের ওয়ার্ক ফ্লো সাজানোর জন্য নষ্ট না হয়। এক বিখ্যাত সংস্থার ব্র্যান্ড হেডকে ‘জীবনে কেমন করিয়া শীর্ষে উঠিলাম’ প্রশ্নের উত্তরে বলতে শুনেছিলাম, না ঘুমিয়ে। দু'ঘন্টা ঘুম আমার জন্য যথেষ্ট ছিল। স্বপ্নের মধ্যেও নানা চার্ট আর কলাম পরীর মতো নেমে আসত আমার গ্রে ম্যাটারে। তিনি বলেছিলেন, ঘুমের মতো নন-প্রডাক্টিভ অ্যাক্টিভিটি আর দুটি নেই। মজার ব্যাপার হল, বছরপাঁচেক আগে আমেরিকার আরএএনডি কর্পোরেশন এক সমীক্ষা করে সে দেশের অর্থনীতির উপরে কম ঘুমনোর প্রভাব নিয়ে এক আশ্চর্য সমীক্ষা করে বসে। তাতে দেখা গিয়েছে, কর্মীদের ঘুম পরিপূর্ণ না হওয়ার জন্য মার্কিনি অর্থনীতির উপরে যে বিরূপ প্রভাব পড়ছে, তার মূল্য ৪১১ বিলিয়ন আমেরিকান ডলার। ঘুমের অভাবের জন্য সেদেশে নাকি ১২ লক্ষ কাজের দিন খোয়া যায় প্রতি বছর। ঘুম বঞ্চিতরা হয় অফিসে আসেন না, কিংবা এলেও যতটা মন দিয়ে কাজ করা দরকার ছিল তা দিতে পারেন না ক্লান্ত থাকার জন্য। এই ক্লান্তির বাজারদর ৪০০ বিলিয়ন ডলার টপকে যায়। ব্যবসা গুরুদের মতাদর্শ আর তার আসল প্রভাবের কাহিনিটা এক না মেলা সমীকরণের মতো লাগে।

হেরে যাওয়া ঘুমকে বাঁচিয়ে তুলতে ২০০৮ সাল থেকে বিশ্বজুড়ে চালু হয়েছে ওয়ার্ল্ড স্লিপ ডে, অর্থাৎ বিশ্ব ঘুম দিবস। এর কোনো নির্দিষ্ট দিন নেই। ফি বছর মার্চ মাসে মহাবিষুবের আগের যে শুক্রবার, সেই দিনটার গায়েই ঘুম দিবসের তকমা লাগানো হয়েছে। ভৌগোলিক কারণে মার্চ মাসেই এই দিনটা ঘোরাফেরা করে। এ বছর যেমন ছিল ১৯শে মার্চ, ফেলে এলাম দিনকয়েক আগে। অর্থনীতিবিদদের উপলব্ধি, পুঁজিবাদের দুনিয়ায় অন্য সব কিছুর মতো ঘুমও আজ পণ্য। ম্যাট্রেস-তোশক সংস্থাগুলো বলছে, কম ঘুমের জন্য আপনার আপনার আদ্যিকালের রদ্দি তোশকটিই খলনায়ক নয় তো? পেশ করা হল নতুন স্লিপ ফ্রেন্ডলি ম্যাট্রেস। ঘুমদিবসে যদি কেনেন, এত শতাংশ বাড়তি ছুট, শুধু আপনার জন্য। বিশ্বের নানা ট্যুরিজম সংস্থা শুধুমাত্র ঘুমনোর জন্য বানিয়ে চলেছে নানা প্যাকেজ। বাহারি নাম স্লিপ ভ্যাকেশন। বলছে, আমাদের হাত ধরে এক্সোটিক লোকেশনে চল, হোটেলে পৌঁছেই ঘরের দরজাটা বন্ধ করে দাও। আর শুধু ঘুমোও। কেউ বিরক্ত করবে না। স্মার্ট রিস্টব্যান্ড বলছে, যন্ত্রের সার্কিট বোর্ডে এঁকে দিয়েছি স্লিপ ট্র্যাকার। কতটা ঘুমোলেন, কতবার এপাশ ওপাশ করলেন, গাঢ় ঘুম কতটা হল, আর হাল্কা ঘুমই বা ক'মিনিট - সকালে উঠলেই মোবাইলের পর্দায় তাজা রিপোর্ট। চিকিৎসকেরা বলে চলেন, স্মার্ট ফোন কিংবা ল্যাপটপের পর্দা থেকে যে আলো বেরোয়, তা স্বাভাবিকভাবে ঘুম আসার পথে এক মস্ত বড় বাধা। তাই শুতে যাওয়ার অন্তত এক ঘন্টা আগে থেকে মোবাইল-ল্যাপটপ নয়। ফোন সংস্থাগুলো অন্যদিকে ‘আমি কি ডরাই, সখী, ভিখারি রাঘবে’আওড়াতে আওড়াতে ফোনের মধ্যে পুরে দিচ্ছে ডার্ক মোড কিংবা নাইট মোড নামের এক অদ্ভুত ফিচার। অন করলেই ফোনের আলোটা কমে দিয়ে হলদেটে রুপ ধরে। কিন্তু তার ফলে ঘুম না আসার সময়টা আদৌ কমে কি না, কমলেও কতটা কমে, তা নিয়ে কতদূর গবেষণা হয়েছে জানা নেই। টেকনোলজির আশীর্বাদে আমাদের ঘুম ধারণ করেছে মাইক্রোস্কোপিক রূপ। আবার ঘুমকে ডেকে আনার জন্য আমরা শরণাপন্ন হচ্ছি সেই প্রযুক্তিরই। ইউটিউব খুলে একটা মজার বিষয় জানা গেল। ঘুম থেরাপির পোশাক পরিয়ে সেখানে আপলোড করে রাখা হয়েছে বহু সাউন্ডট্র্যাক। হিলিং মিউজিক। বৃষ্টি পড়ার শব্দ, তুষারপাতের শব্দ, ঘাটের কাছে গল্প করা নদীর জলের ছলাৎ ছল কিংবা জলতরঙ্গের টুংটাং ধ্বনি - পাওয়া যাবে সবই। অন্ধকার ঘরে হালকা আওয়াজে এমন শব্দ নাকি ঘুমের আবাহনী সঙ্গীত। সুদিং, স্মুদিং, হিলিং, প্লিজিং - সাউন্ডট্র্যাকগুলোর স্ব-ঘোষিত বিশেষণের অভাব নেই। কমেন্টগুলোর মধ্যেই লুকিয়ে আছে সেই সঙ্গীতের আসল রস। লেখা আছে, শুনছিলাম বেশ, মিনিটপনেরো পরে যখন তন্দ্রা আসবে আসবে করছে, সেই সময়ই এক প্রকট বিজ্ঞাপনে ঘুমের পঞ্চত্বপ্রাপ্তি ঘটে। সুদিং ধ্বনি চিরে আসে উইকএন্ড স্পেশাল ধমাকা জানান দেওয়া কোনো উগ্র গলার চিৎকার। বৃষ্টি পড়ার শব্দের মধ্যে মিশে যায় নতুন বাইকের ইঞ্জিনের কলার তোলা ধ্বনি।

রাত জাগা চোখে ঘুমপাড়ানি মাসিপিসিদের আমরা ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাই। কত কোটি অনুরোধ তাদের কাছে ইতিমধ্যেই জমা হয়ে পড়ে আছে জানি না। দিকশূন্যপুরের দিকে যাদের ঠেলে দিয়েছি ক্রমাগত, তারা তো এত সহজে ফেরার নয়।