আরেক রকম ● নবম বর্ষ ষষ্ঠ সংখ্যা ● ১৬-৩১ মার্চ, ২০২১ ● ১-১৫ চৈত্র, ১৪২৭

প্রবন্ধ

“নো ভোট টু বিজেপি”, এবং...

সৌম্যজিৎ রজক


মুখে মুখে শুনছি, পশ্চিমবাংলার এবারের ভোট নাকি একদম অন্যরকম। যাকে ব’লে ‘অভূতপূর্ব’ এই ভোটের গুরুত্ব। রাজ্যের কাছে তো বটেই, নাকি সারা দেশের কাছেই! বহু রাজনৈতিক-সামাজিক ঝড় ঝাপ্টা উথাল পাথাল সামলেছে এ রাজ্য। সেই সবকে ছাপিয়ে যাওয়ার মতো কী এমন ঘটল বাংলার? কী এমন ঘটতে চলেছে? নিদেনপক্ষে ঘটে যেতে পারে যে এতটা গুরুত্বপূর্ণ এ নির্বাচন?

এবারের ভোট যদি অভূতপূর্ব হয়েই থাকে, মানতেই হবে, তার মুখ্য ফ্যাক্টর বিজেপি। এর আগে কোনোদিনই এরাজ্যের রাজনৈতিক ক্ষমতাকেন্দ্রে বিজেপির চড়ে বসার কোনো সম্ভবনাই তৈরি হয়নি। বরং চিরকালই সে ছিল ভোটের বিচারে একটি গুরুত্বহীন শক্তি। এবারে কিন্তু তা নয়। বরং এবার সে ক্ষমতাসীন দলের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বলেই প্রতিভাত হচ্ছে। অন্তত সদ্য পেরিয়ে আসা লোকসভা ভোটের ফলাফলের বিচারে। ফলে 'বিজেপি ক্ষমতা দখল করে নিতে পারে' এই সম্ভবনা পশ্চিমবাংলার ভোটে সম্পূর্ণ নতুন এক উপাদান যুক্ত করেছে।

বাংলার ধর্মনিরপেক্ষ, প্রগতিশীল রাজনৈতিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক আন্দোলনের দীর্ঘ ঐতিহ্য সত্ত্বেও, একথা সত্য যে, গত এক দশকে রাজ্যের আনাচে কানাচে বহুগুন প্রভাব বেড়েছে বিজেপির। নিখুঁতভাবে বলতে চাইলে বলা উচিৎ, সংঘ পরিবারের। বজরঙ দল, হিন্দু সংহতি, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের। জ্যান্ত হয়ে উঠেছেন 'গোপাল পাঁঠা', শ্যামাপ্রসাদেরা। একাংশের হিন্দু বাঙালির মনে জেগে উঠেছে 'মুসলমানের প্রতি প্রতিশোধস্পৃহা', বিশেষত বাস্তুহারা মানুষের বসতিগুলোতে। ধর্মের নামে শুধু নয়, গত ১০ বছর ধরে হিন্দুদের মধ্যে জাতপাতের বিভাজনে সুচারু স্যোশাল ইঞ্জিনিয়ারিংও প্রত্যক্ষ করেছে বাংলা।

এক সর্বগ্রাসী হিন্দু পরিচিতির চাদরে আপাদমস্তক ঢেকে দেওয়া হয়েছে তপসিলী জাতি, জনজাতি, আদিবাসী সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষকে। ‘হম হিন্দু হ্যায়’ বলার মতন গর্ববোধ জাগিয়ে তোলা হয়েছে সংখ্যাগুরু ধর্মাবলম্বী মানুষের মধ্যে। গেরুয়া শিবিরের সর্বোচ্চ নেতারা রাজবংশীদের কাছে গিয়ে বলেছে, এনআরসিতে ওপার থেকে আসা ভাটিয়া অর্থাৎ নমঃশূদ্রদের তাড়ানোর কথা। আর নমঃশূদ্রদের গ্রামে গিয়ে বলেছে, সিএএ-তে নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার প্রাবধান নাকি নেই! আইন সংশোধন তো তাঁদেরই নাগরিকত্ব দেবার জন্য করেছেন মোদীজি! এইভাবে এক দশকে গোগ্রাসে গাছেরও খেয়েছে, তলারও কুড়িয়েছে বিজেপি।

তবে একথাও মানতেই হবে যে কেবল জাতধর্মের মেরুকরণেই এ শক্তি বাংলায় জাঁকিয়ে বসেনি। যেটুকু জনসমর্থন সে আদায় করতে পেরেছে তার একটা উল্লেখযোগ্য ভাগই এসেছে 'প্রতিষ্ঠানবিরোধী' হাওয়ার দরুন। কৃষি, শিল্প, কর্মসংস্থান, নারীনিরাপত্তা, গণতন্ত্রের প্রশ্নে সরকারে আসীন তৃণমূলের নিদারুন অপদার্থতার কথা সর্বজনবিদিত। কারোরই অজানা নয় গাঁয়ে মহল্লায় লুটপাট, তোলাবাজি, বেলাগাম হিংসার তৃণমূলী শাসনের কথা। খোদ মমতা ব্যানার্জিও ‘কাটমানি কালচার’ অস্বীকার করতে না পেরে দলের নেতাদের “মিলেমিশে খাওয়া”র পরামর্শ দিতে বাধ্য হয়েছেন। এসব তো ছিলই, আছেই!

কিন্তু এতেই সবটা হয় না। কারোর প্রতি নেতিবাচক জনমতকে একটি ইতিবাচক বিকল্পের অনুকূলে বওয়াতে না পারলে যে লাভ নেই, এই সহজ কথাটা আর কেউ বুঝুক না বুঝুক বিজেপি নেতারা বোঝেন বিলক্ষণ। একদিকে হিজাব টেনে মুখ্যমন্ত্রীর নামাজ পড়া, ইমাম ভাতা দেওয়াকে কেন্দ্রে রেখে মমতা ব্যানার্জিকে ‘মমতাজ বেগম’ সাজিয়েছে বিজেপি। তৃণমূল বিরোধী জনমতকে সযত্নে পরিণত করেছে মুসলিমদের প্রতি ঘৃণায়, ধর্মীয় মেরুকরণের লক্ষ্যে। আরেক দিকে দশ মুখে বিলিয়ে গিয়েছে দেদার জনপ্রিয় প্রতিশ্রুতি, যে কাজে বিজেপি প্রায় অপ্রতিদ্বন্দ্বী এই দেশে।

২০১৪ থেকে প্রতিটি ভোটে বাংলায় এসে খোদ প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন চিটফাণ্ড কেলেঙ্কারির নায়কদের শ্রীঘরে পাঠানোর। ক’জনকে পাঠিয়েছেন আর ক’জনকে নিজের ঘরে এনেছেন, সে প্রশ্ন এইখানে অবান্তর। মোদ্দা কথাটা হ'ল, সার্বিকভাবে তৈরি হয়েছে একটা হাওয়া। বিজেপির অনুকূলে। বিজেপি যেহেতু এরাজ্যে কখনোই সরকার চালায়নি ফলে ‘একেও একবার দেখেই নিই’ গোছের একটা প্রবণতাকেও যুক্ত করা হয়েছে এর সাথে। বলাই বাহুল্য।

সব কিছু মিলেমিশে এমন এক পরিস্থিতি এবার, বিজেপি বাংলার ক্ষমতাকেন্দ্রের কড়া নাড়ছে, অনস্বীকার্য! আর এখানেই এবারের অনন্যতা। এরাজ্যের এক বড় অংশের মানুষ যারা এই উগ্র সাম্প্রদায়িক, অতিদক্ষিণপন্থী শক্তিটির বিপদ সম্পর্কে সচেতন, তাঁরা স্বভাবতই আতঙ্কিত হচ্ছেন। আতঙ্ক যেভাবে মানুষকে বিচলিত করে তোলে, সেই মতো বিচলিতও হচ্ছেন অনেকে! এহেন মানুষের কাছে এই ভোটের গুরুত্ব আর কোনোখানে নেই, এইখানেই কেবল। "বিজেপিকে যেনতেনপ্রকারেণ রুখতেই হবে, ব্যাস!" যেখানে রয়েছি তা ফুটন্ত কড়াই যদি হয় হোক, জ্বলন্ত উনুনে ঝাঁপ দেব না কিছুতে! কিছুতেই না!

এই বোধ থেকেই এই নির্বাচনে একটি বিশেষ রাজনৈতিক অবস্থান নির্ধারিত হয়েছে। 'বিজেপিকে একটিও ভোট নয়'।

'নো ভোট টু বিজেপি' নিছক একটি স্লোগানই নয়। রীতিমতন একটি মঞ্চ আকারে খাড়া হয়েছে। বিভিন্ন রকম সংগঠন ও সংগঠন বহির্ভূত ব্যক্তি এতে সামিল হয়েছেন। একথা সত্য যে ভোটের রাজনীতিতে জেতার জন্য রাজনৈতিক দলগুলি নানান রকম প্রচার কৌশল গ্রহণ করে থাকেন। সেক্ষেত্রে বিরোধী দলের প্রতি নেতিবাচক প্রচার সংগঠিত করে নিজের প্রতি সমর্থন আদায়ের কৌশলও যে নেওয়া হয় না, তা নয়। বিষেষত এমন একটি নির্বাচন যেখানে বৃহৎ পুঁজি নিয়ন্ত্রিত মিডিয়া ইতিমধ্যে একটি দ্বিমেরু ভাষ্য প্রতিষ্ঠা করেই রেখেছে, সেই ভোটে “বিজেপি-কে না” মানে যে “তৃণমূলকে হ্যাঁ” একথাই মনে হওয়ার কথা। “নো ভোট টু বিজেপি” প্রচার যে আদতে তৃণমূলেরই একটি উদ্যোগ, এমনটা সন্দেহ করার কারণও রয়েছে। অনেকে করছেনও। তায় আবার খোদ তৃণমূল নেত্রী প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করতে বসে এই সন্দেহে ঘি ঢেলে দিয়েছেন।

মমতা ব্যানার্জি এই নির্বাচনে তাঁকে সুবিধে করে দেওয়ার জন্য “নো ভোট টু বিজেপি” প্রচারকদের বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানালেন মানেই এই প্রচারে সামিল প্রত্যেকে ‘তৃণমূলের এজেন্ট’ একথা কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না। এই স্লোগানের আবেদন যাঁদের কাছে রয়েছে, যাঁরা এতে একমত হচ্ছেন, সাড়া দিচ্ছেন, তাঁরা যে সকলেই তৃণমূলের সব অপকর্মকে সমর্থন করেন, তাও নয়। হতে পারে না। হয়তো কেন, নিশ্চিতভাবেই এমনও অনেকে আছেন যাঁরা তৃণমূলের প্রতি নিজেদের সমালোচনা সত্বেও এই ভোটে বিজেপিকে ঠেকানোই প্রধান কর্তব্য বলে মনে করছেন। বিজেপি যে সত্যিই “অন্য ধরনের একটি রাজনৈতিক দল”, এমন একটি দল যাকে পরিচালনা করে ফ্যাসিস্ট ধাঁচের আরএসএস, তাকে যে সত্যিই আর কোনো দলের সাথেই এক করে দেখা যায় না, যে কোনো মূল্যেই যে বিজেপিকে ক্ষমতা দখল করতে দেওয়া যাবে না, রুখতেই হবে এই কথাগুলো তো অক্ষরে অক্ষরে ঠিক। এবং এই ঠিক কথাকে যারা ঠিক মনে করেন, বিজেপির ক্ষমতা দখলের সম্ভবনা সম্পর্কে আতঙ্কিত এমন মানুষেরা যে তৃণমূলের প্রতি কোনো দুর্বলতা ব্যতীতই “নো ভোট টু বিজেপি” স্লোগানে সহমত পোষণ করতে পারেন তাতে অস্বাভাবিক কী আছে?

“বিজেপিকে একটিও ভোট নয়!” একমত। কিন্তু কাকে? “নো ভোট টু বিজেপি” শিবির কী জবাব দিচ্ছেন? বিজেপি বিরোধী সবচেয়ে শক্তিশালী দলকেই ভোট দিতে বলছেন এঁরা। আদত প্রশ্নটা এইখানেই। বিজেপি বিরোধী সবচেয়ে শক্তিশালী, তো বুঝলাম, কিন্তু শক্তিশালী কীসের বিচারে? গত নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটের অঙ্কের নাকি বিজেপি বিরোধিতায় ঋজু রাজনৈতিক মতাদর্শগত অবস্থানের বিচারে? শুধু ভোটের অঙ্ক কষে দুনিয়ায় কবে কোন ফ্যাসিস্ট শক্তিকে পরাভূত করা গিয়েছে, জানা নেই। গিয়েছে কি কোথাও? যায়? যাবে কি আদৌ?

বিজেপিকে ভোট না দিয়ে কি তবে লোকে ভোট দেবে ‘সম্ভাব্য বিজেপি’কে? বর্তমান শাসকদলের কোন নেতা, কোন প্রার্থী ‘সম্ভাব্য বিজেপি’ নন, নাম বলা যাবে? এমনকি মমতা ব্যানার্জি নিজেও বলতে পারবেন? কেউ ইডি/সিবিআই-এর হাত থেকে বাঁচতে, কেউ আরও মধু আহরণের লোভে ফুল পাল্টাচ্ছেন রোজই। বিজেপির বিপদ সম্পর্কে যাঁরা সচেতন, গত অর্ধ দশকে দেশের একের পর এক রাজ্যের সরকার গঠনে বিজেপির ভূমিকা বিস্মৃত হওয়ার অবকাশ তাঁদের কম। শ্রীঅমিত শাহ তো বিরোধী দলের জেতা বিধায়ক কিনে নিতে বিশেষভাবে পারদর্শী। ভোটে জিতে সরকার গড়ার বদনাম বিজেপির কম, ভোটে হেরে সরকার গঠনের জন্যই তাঁরা বেশি বিখ্যাত।

এমনকি খোদ দলনেত্রীও কি এই ব্যাপারে সন্দেহের ঊর্ধ্বে? মন্ত্রীত্বের জন্য বিজেপির হাত ধরতে যে কোনোকালেই তাঁর বাঁধেনি, বাঁধে না একথা সকলেই জানেন। মুখ্যমন্ত্রীত্ব রক্ষার তাগিদে নির্বাচন-পরবর্তী জোট যে গড়বেন না বিজেপির সাথে, গ্যারান্টি নেই। বিজেপির জোট সরকারের শরিক থাকার অভিজ্ঞতা তাঁর রয়েছে বিলক্ষণ। এমনকি সেই ভয়াবহ গোধরা গণহত্যার পরেও তাঁর অবস্থান কেউ ভুলে যাননি, নিশ্চয়। আর সেসব পুরনো কাসুন্দি যদি নাও ঘাঁটি, এই তো সেদিনও ‘ইণ্ডিয়া টুডে কনক্লেভে’ তিনি স্পষ্ট করলেন আরএসএস-এর সাথে তাঁর অবৈরি সম্পর্কের কথা।

উনি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দিন রাজ্যে ক’টা শাখা ছিল সংঘের আর পরের দশ বছরে ক’টা হয়েছে, এই হিসেব কেউ চাইলে কিন্তু বিপদে পড়তে হবে! বিপদে পড়তে হবে আজ যদি কেউ জিজ্ঞেস করে, হনুমানজয়ন্তী থেকে “যে গরু দুধ দেয়” পলিটিক্সে তিনি কার রুটি সেঁকে দিয়েছেন এই দশ বছরে! দেশের ঐক্যবদ্ধ শ্রমিকশ্রেণি গত দশ বছরে যতবার বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে ধর্মঘটে সামিল হয়েছেন, ততবার বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোর থেকেও বেশি নির্মমভাবে সে লড়াই ভাঙতে নেমেছে কেন বাংলার সরকার? কেন বাংলার একের পর এক জনপদে যখন দাঙ্গা বাঁধিয়েছে বজরঙ দল-বিশ্ব হিন্দু পরিষদ তখন ততটা কড়া দেখায়নি তাঁর প্রশাসনকে? তবে কি দুধে ভাতে কালসাপকে বাড়িয়ে এখন তারই জুজু দেখিয়ে বিজেপি বিরোধী ভোটকে সংহত করার চক্কর, এই তবে ‘খেলা’? কী জবাব দেবেন মাননীয়া? যারা তৃণমূলকে দিয়ে বিজেপিকে ঠেকাবেন ভাবছেন, কী উত্তর দেবেন তাঁরা? প্রকাশ্যে না হোক, নিজেদের কাছে!

প্রশ্ন তাই সঙ্গত। লখীন্দরের বাসর ঘরে বিষধর সাপ ঢুকেছিল অগচোরে থেকে যাওয়া ছিদ্র দিয়ে। ছিদ্রটিকে রক্ষা করে সাপ ঢোকা রোখা কি সম্ভব?

দুর্দশাগ্রস্ত মানুষকে মাঝপথে পাকড়াও করে ফ্যাসিবাদ। জর্জি ডিমিট্রভের পর্যবেক্ষণ এমনই ছিল। সেই মানুষের সামনে সে হাজির করে এক সুন্দর বিকল্পের ছবি, সুদিনের হাতছানি। এহেন ফ্যাসিবাদকে ‘না’ বলাই কি যথেষ্ঠ? দুর্দশাগ্রস্ত সেই মানুষগুলোকে বিকল্পের হদিশ দেয় না যে 'না', সেই 'না'কে 'হ্যাঁ' বলবেন কেন তাঁরা?

ভোটে তো হারাতেই হবে বিজেপিকে, তবে কেবল ভোটে হারানোই যথেষ্ঠ নয়। পথেও হারাতে হবে। “বিজেপিকে না” তো বটেই, তবে সেখানেই পূর্ণচ্ছেদ দিলে হবে নাকি? ফ্যাসি বিরোধী তাবৎ ভাষ্যের কেন্দ্রে তুলে আনতেই হবে রুটি, রুজি, কাজের প্রশ্নকে। কৃষি, শিল্প, শিক্ষা, মর্যাদা, নিরাপত্তার প্রশ্নকে। অতি অবশ্যই অধিকারের প্রশ্নকে। শ্রেণি আন্দোলনের সুরে সুর বাঁধা পড়বে সামাজিক ন্যায়ের লড়াইয়ের। শ্রমিক-কৃষক-বেকার যুব-মহিলা-আদিবাসী-দলিত-সংখ্যালঘু ও নিপীড়িত মানুষের একতা তবেই সংহত হবে!

বিজেপি ও ‘সম্ভাব্য বিজেপি’র মধ্যে কাউকে একটা বেছে নিতেই হবে, এমন বাধ্যবাধকতার কাছে আত্মসমর্পণের চেয়ে লজ্জার আর কীই বা হতে পারে? তারচেয়ে বরং নিজেদের সবটুকু তাকৎ ও হিম্মত জুড়ে জুড়ে সত্যিকারের একটি বিকল্প প্রতিষ্ঠার সংগ্রামই কি কর্তব্য নয়? এরকম একটি অ-ভূতপূর্ব মুহূর্তে?