আরেক রকম ● নবম বর্ষ ত্রয়োবিংশ সংখ্যা ● ১-১৫ ডিসেম্বর, ২০২১ ● ১৬-২৯ অগ্রহায়ণ, ১৪২৮

প্রবন্ধ

প্রান্তবাসীর কৌমশিক্ষাঃ একটি সমাজমুখী প্রয়াস

শাক্যজিৎ ভট্টাচার্য


একটা গল্প দিয়ে শুরু করা যাক। গল্প যদিও নয়, সত্যি ঘটনাই। নিউটাউনের অভিজাত শপিং মলের পেছনেই একটা সরু রাস্তায় ছোট্ট চায়ের গুমটি। যে ভদ্রমহিলা দোকানটা চালান, তাঁর দুই মেয়ে, একজন পড়ে ক্লাস ফাইভে, অপরজন ক্লাস থ্রি-তে। মায়ের এমনিতেই চিন্তা ছিল কবে উচ্ছেদ হতে হয় উন্নয়নের ঠেলায়, তার মধ্যে লকডাউনে মেয়েদের স্কুল বন্ধ বলে দুর্ভাবনা আরও বেড়েছে। এরকম একটি সময়ে একটি প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক চা খেতে সেই দোকানে গিয়ে দেখেন যে দোকানের ভেতর বাচ্চা মেয়ে দুজন বসে পড়াশোনা করছে। শিক্ষক মশাইয়ের ব্যাপারটা দেখে ভাল লাগে বেশ, এবং তিনি একটা ছবি তোলার অনুমতি চান মায়ের কাছ থেকে। তখন সেই ভদ্রমহিলা রেগে উঠে অনেক কিছু বলেন, যে তাঁদের দেখার কেউ নেই, মেয়েদের কী হবে ইত্যাদি। কিন্তু তার মধ্যে একটি বাক্য ছিল, এখানে তুলে দিলাম। 'আমার মেয়েরা দোকানে বসে পড়তে বাধ্য হচ্ছে, সেটা আপনার কাছে খুব মজার লাগছে?'

এই ঘটনার উল্লেখ দিয়ে যে প্রতিবেদন শুরু, তা মনোযোগ দাবী করে নানা কারণে। ২০১৬ সালে কিছু প্রাথমিক শিক্ষক মিলে একটি মঞ্চ গঠন করেছিলেন, নাম 'শিক্ষা আলোচনা'। মঞ্চের উদ্দেশ্য ছিল প্রত্যন্ত গ্রামে মূলত পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর মধ্যে তাঁদের যে স্কুলগুলি আছে সেগুলিকে সক্রিয় সামাজিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা, যারা শুধু ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষাদান বা উন্নয়নই করবে না, স্থানীয় কমিউনিটিকে এর সঙ্গে যোগ করে নেবে। ২০২১ সালে সোসাইটিতে পরিণত হওয়া এই সংস্থার উদ্দেশ্য মূলত দুটি, স্কুলকে সামাজিক প্রতিষ্ঠানের রূপ দেওয়া এবং এই সূত্রে যে অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান আহরণ হল তার বিনিময়। ২০২১ সালে শিক্ষা আলোচনা উপরোক্ত প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে - পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন গ্রাম ও প্রাইমারি স্কুলগুলি ঘুরে ঘুরে তথ্য সংগ্রহ করে তার উপর আলোচনা, কীভাবে প্যান্ডেমিকের সময়ে শিক্ষাদানের একটা বিকল্প ব্যবস্থা সম্ভব, এবং কী উপায়ে স্থানীয় কমিউনিটি, গ্রাম হোক, বা বস্তি বা পাড়া, সেগুলোকে এই প্রক্রিয়ার মধ্যে জড়িয়ে নেওয়া যায়। প্রতিবেদনের নাম, 'Learning Together: The Opportunity to Achieve Universal Education'। এবং নিউটাউনের উল্লিখিত ঘটনা দিয়েই প্রতিবেদনের শুরু। আমরা যেভাবে দেখতে অভ্যস্ত, প্রান্তিক মানুষ সেভাবে দেখেন না। দোকানে পাঠরত বালিকার ছবি ফেসবুকে দিলে অনেকেই গদগদ হয়ে বালিকার অধ্যাবসায় ও পরিশ্রমের প্রশংসা করবেন, কিন্তু কেউ ভাববেন না যে দোকানে বসে পড়াশোনা কোনও অপশন নয়; বাধ্য হয়ে সেটা করতে হচ্ছে কারণ স্কুল বন্ধ এবং বাড়ি থেকে হয়ত উচ্ছদ হতে হবে। যা আমাদের আলোকপ্রাপ্তির চোখে প্রশংসাধন্য, সেটাই হয়ত প্রান্তিকের কাছে নিরুপায় অনিচ্ছার রাস্তা। ঘটনাটার উল্লেখ এই কারণেই করলাম যে পুরো প্রতিবেদনটাই পড়তে গেলে প্রান্তিকের চোখ দিয়ে পাঠ করা জরুরি, এবং সেই সংবেদনশীলতা নিজে থেকে আসে না। তাকে চর্চার মধ্য দিয়ে আনতে হয়।

কেন এই দাবী করছি, কেন দৃষ্টিভঙ্গির এই স্থানবদলের প্রয়াস, সেটা প্রতিবেদনের আরেকটা ঘটনার মধ্যে দিয়েও স্পষ্ট হয়। প্যান্ডেমিকের সময়ে অনলাইন পড়ানো, তার সুযোগ সুবিধা, প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছেলেমেয়েরা এগুলো নিতে পারবে কী না সে বিষয়ে বহু চর্চা আমাদের মধ্যে হয়েছে। একটা বিশাল সংখ্যক ছাত্রছাত্রী, এই প্রতিবেদন অনুযায়ী তিরিশ শতাংশের বেশি, ইন্টারনেট পাচ্ছে না সেটাও সত্যি। কিন্তু যারা ইন্টারনেট পাচ্ছে, তাদের ক্ষেত্রেও কি অনলাইন ক্লাস ফলপ্রসূ হচ্ছে? প্রতিবেদন বলছে, এর সুযোগ সবথেকে ভাল নিতে পারে উঁচু ক্লাসের ছাত্রছাত্রীরা, এবং সেটাও খুব নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ের ক্ষেত্রে, যেমন ইংরেজি গ্রামার। ক্লাস ওয়ানের একটি শিশুকে অঙ্ক, যোগ বিয়োগ ইত্যাদির ধারণা বোঝাতে গেলে সামনা সামনি না হলে সম্ভব নয়, আরোই অসম্ভব যদি তার বাড়িতে সেই পরিবেশ না থাকে। মানে, শহরের মধ্যবিত্ত বাড়ির একটি শিশু হয়ত ছোট থেকেই বাড়িতে নানারকম যোগ বিয়োগের কাজ ব্যবহারিক ক্ষেত্রে দেখে এসেছে বলে সে কিছুটা আন্দাজ করতে পারে, কিন্তু ধরা যাক সুন্দরবনের রজত জুবিলি গ্রাম, প্রত্যন্ত অঞ্চল, সেখানকার একটা বাচ্চাকে কীভাবে শুধু মুখে বলে যোগ বিয়োগ শেখানো সম্ভব, যখন তার পূর্ব অভিজ্ঞতাই নেই? মানে এক্ষেত্রে ইন্টারনেট থাকাটাই সব নয়, যেরকম সংবাদপত্র বা চলতি আলোচনায় আমরা শুনে আসছি। বরং দরকার প্রতিটি শিশুর আর্থ-সামাজিক পরিপ্রেক্ষিত অনুযায়ী শিক্ষাদান।

এই প্রসঙ্গে একটা ঘটনা বলার লোভ সামলাতে পারছি না, এবং সে সূত্রেই এই প্রতিবেদনের একটা ছোট ঘাটতির দিকেও আলোকপাত করব। আড্ডা মারতে গিয়েছি বন্ধুর বাড়িতে। বন্ধু ও বন্ধুপত্নী বাংলার বৃহত্তম বামপন্থী রাজনৈতিক দলটির সদস্য, পেশায় অধ্যাপক দুজনেই। তো, তাদের বাড়িতে গিয়ে দেখি, একটি বাচ্চা মেয়ে বসে পড়াশোনা করছে, আমি আসার পর ব্যাগপত্র গুছিয়ে উঠে পড়ল। কৌতূহলবশত জানতে চাইলাম, তখন বন্ধুপত্নী জানালেন, 'আমাদের মেদিনীপুরের গ্রামের বাড়ির পাশে থাকে। এরা আদিবাসী। লকডাউনে বাচ্চাটার পড়াশোনা বন্ধ হয়ে গেছে বলে ওকে কলকাতায় নিয়ে এসেছি। আমি পড়াচ্ছি রোজ। পাশেই আমার বাবা-মায়ের ফ্ল্যাট, সেখানে থাকে।' তারপর একটু থেমে দুঃখের সঙ্গে বললেন, 'মেয়েটার পড়াশোনার মাথা এত ভাল, কিন্তু পারবে না। এর সমস্যা হল, আদিবাসী বলেই, বাংলা পরিভাষাগুলো কিছুতেই ভাল বুঝতে পারে না। অঙ্কর মাথা খুব ভাল, কিন্তু বর্গক্ষেত্র, আয়তক্ষেত্র এই টার্মগুলো যখনই ব্যবহার করি, ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে। অনেকবার বোঝানোর পর, যখন ছবি এঁকে দেখাই, তখন হয়ত বোঝে। কিন্তু তার পরেই ভুলে যায়, কানেক্ট করতে পারে না। সমস্যাটা আমাদের বাংলা পরিভাষার, যা এখনো একপ্রকার ব্রাহ্মণ্য চিন্তাচেতনা থেকে বেরতে পারেনি। তাও তো আমি সামনে বসে পড়াচ্ছি বলে ছবি এঁকে বোঝাচ্ছি বৃত্ত কাকে বলে, বর্গক্ষেত্র কাকে বলে। অনলাইন পড়ালে তো আরোই ধরতে পারবে না।'

সমস্যাটা শুনে আমি কিছুক্ষণ কথা বলতে পারিনি, এতই নতুন লেগেছিল আমার উচ্চবর্গীয় আলোকপ্রাপ্তির চোখে। সত্যি তো, আমরা তো ভেবে দেখিইনি এতদিন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর চেনা লব্জের বদলে এই কঠিন শব্দগুলো সামনে এলে তাদের কীরকম লাগে! সমস্যাটা তো শুধুই অনলাইন পরিষেবার ঘাটতির সমস্যা নয় - সেটা তো আছেই, ওই বাচ্চাটির স্কুল বন্ধ এবং গ্রামে কোনও অনলাইন শিক্ষার ব্যবস্থা নেই - কিন্তু তার পরেও, যদি ব্যবস্থা থাকতও, তাহলেও তো এই বিচ্ছিন্নতাবোধ থেকে মুক্তি এত সহজ হত না, কারণ সেখানে কীভাবেই বা এই পরিভাষাগুলোকে সহজ করে দেখানো হত? এই যে ভাষাসমস্যা, সংযোগ করতে না পারা, যেটা প্যান্ডেমিকে বহুগুণ বেড়েছে এবং ড্রপআউট হোক কী অর্জিত শিক্ষা ভুলে যাওয়া, তার পেছনের একটা বড় কারণ এটাও - এ বিষয়ে প্রতিবেদনে কিছু উল্লেখ থাকলে ভাল হত। যে শিক্ষকেরা এটি তৈরি করেছেন, তাঁরা নিশ্চয় সমস্যাটার বহুবার সম্মুখীন হয়েছেন।

আবার একইসঙ্গে, এই সমস্যাকে কিছুটা এড়ানোও সম্ভব, যদি প্রতিবেদনে প্রস্তাবিত উপায়গুলোকে কিছুটা কাজে লাগানো যায়। একটা পদ্ধতি হল, প্যান্ডেমিকের সময়ে স্কুলগুলি যদি তাদের প্রাক্তন ছাত্রদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। এই ছাত্ররাও অনেকেই নিজেদের অঞ্চলে প্রাইভেট টিউশনি করে, এবং লকডাউনের সময়ে এদেরও রোজগার বন্ধ যেহেতু বাচ্চাদের বাবা মায়েরা মাইনে দিতে পারেন না। প্রাক্তন ছাত্রদের নিয়ে তৈরি করা একটি গ্রুপ বাড়ি বাড়ি ঘুরে বাচ্চাদের পড়াশোনায় উৎসাহিত করেছে, নিয়মিত তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছে, ছোট ছোট হোম টাস্ক দিয়েছে, স্কুল থেকে দেওয়া শুকনো খাবারের মাসিক বিতরণের সময়ে বাবা-মায়েদের সাহায্যে ফর্ম ফিলআপ করিয়েছে, এবং এর সাহায্যে স্থানীয় কমিউনিটিতে বড় সমর্থনের ভিত্তি তৈরি করেছে, তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন পেশাদার প্রাইভেট টিউটরেরাও - হ্যাঁ, এই জিনিসও ঘটেছে, পূর্ব মেদিনীপুরের কিছু অঞ্চলে। এছাড়াও মুর্শিদাবাদ, নদীয়া উত্তর ২৪ পরগণার বিভিন্ন অংশে এই মঞ্চের অন্তর্ভুক্ত শিক্ষকদের দল এনজিও, ছাত্রছাত্রীদের বাবা মা, নানারকম স্থানীয় সংস্থা এদেরও অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। বীরভূমের চলমান পাঠশালা ছিল বিশ্বভারতীর ছাত্রছাত্রীদের পরিচালিত একটি চলমান স্কুল, যারাও এরকম পরীক্ষা চালিয়েছে। আবার মুর্শিদাবাদে মায়েদের সাক্ষরতা প্রোগ্রাম সফল হয়েছিল দারুণভাবে। প্রতিবেদনে কিছু নমুনা শিক্ষাও দেওয়া হয়েছে, কোন ক্লাসের বাচ্চার জন্য বাংলা ইংরেজি অঙ্ক কী পড়ানো যেতে পারে, আর কীভাবে।

শিক্ষা আলোচনা সমীক্ষা চালিয়েছে বিভিন্ন জেলার সাত হাজারের বেশি ছাত্রছাত্রীদের উপর, এবং যে তথ্যগুলো উঠে এসেছে, কত শতাংশ বাচ্চার পুষ্টি ব্যহত হয়েছে, পড়া ভুলে গেছে কত শতাংশ - সমস্ত কিছুই উদ্বেগজনক, তবে প্রত্যাশিত। এই কথাগুলোই বারবার বলে এসেছেন শিক্ষাবিদ ও সমাজকর্মীরা। কিন্তু এই প্রতিবেদনে যেটা নতুন, তা হল প্রস্তাবিত সমাধানগুলো। শিক্ষার প্রসারের জন্য স্থানীয় কমিউনিটিকে একসঙ্গে নিয়ে এগোনো, মায়েদের সাক্ষরতা, পুষ্টি, কর্মহীন প্রাইভেট টিউটরদের সামাজিক অংশগ্রহণ, শিশুদের পড়াশোনার পাশাপাশি নানারকম ছোটখাট কাজ করানো, অনুষ্ঠান করানো - কমিউনিটি শিক্ষার একটা মডেলকে সামনে নিয়ে এসেছে এই রিপোর্ট, যেটা প্যান্ডেমিক চলে গেলেও সমান গুরূত্বপূর্ণ থেকে যায়। পাউলো ফ্রেইরের 'পেডাগজি অফ দ্য অপ্রেসড' মনে পড়ে যায়, তিনিও তো এভাবেই পিছিয়ে পড়া অঞ্চলগুলিতে কাজ করে গেছেন সারাজীবন। তবে এই প্রস্তাবনাগুলো সবকটাই কাজ করবে যদি সরকার পেছনে থাকে। কারণ প্রশাসনিক উদ্যোগ ছাড়া এভাবে স্থানীয় কমিউনিটিকে সংগঠিত করা কিছু জায়গায় সম্ভব হলেও সমগ্র রাজ্যে অসম্ভব। সরকারেরও মানবসম্পদ ও পরিকাঠামোর সমস্যা আছে ঠিকই, কিন্তু পরিকল্পনা ও প্রশাসনিক উদ্যোগ বাদ দিয়ে শুধু সদিচ্ছা দিয়ে পুরোটা হয় না।

জঁ দ্রেজের সমীক্ষা, অধ্যাপক সুকান্ত চৌধুরীর লেখা, এগুলো থেকে জানা যাচ্ছে যে স্বাভাবিক অবস্থাতেই প্রাথমিক স্কুলের খুব নগণ্য শতাংশেই প্রকৃত পড়াশোনা হয়, এবং মোটামুটি আট থেকে দশ কোটি শিশু প্রাথমিক স্কুলে পড়লেও লিখতে ও পড়তে পারে না। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে প্যান্ডেমিক। ফলত প্রাথমিক শিক্ষার বনিয়াদটাই ভেঙে পড়বার মুখে। ভূমিকাতে সুকান্ত চৌধুরী যেমন লিখেছেন, এই সমস্যা শুধু স্কুল খুললেই দূর হবে না। দরকার বিশেষ কর্মসূচী, বিদ্যালয়ের পাশাপাশি কমিউনিটির যোগদান। শিক্ষাকে এইভাবে একটা সামগ্রিক জনগোষ্ঠীর উপাদান হিসেবে দেখা, এই যে বোধ - শিক্ষা আসলে ব্যক্তিকে নয়, সমষ্টির গুণগত পরিবর্তন ঘটায় - এই মতবাদকে বৈপ্লবিক আখ্যা দিতে বাধা নেই। বহুদিন পরে এমন একটি প্রতিবেদন পড়লাম যেখানে শিক্ষার সামাজিকীকরণ, গোষ্ঠীর অংশগ্রহণ, কৌমচেতনা ইত্যাদি শব্দবন্ধ ফিরে এসেছে, বিশেষত অবাধ বেসরকারিকরণের সময়ে, এবং আমাদের নিয়ে গেছে মৌল বক্তব্যটির অভিমুখে - শিক্ষা শুধুমাত্র মৌলিক অধিকার নয়, শুধুমাত্র রাষ্ট্রের দায়িত্বই নয়, একইসঙ্গে তা কমিউনিটির বিকাশের সঙ্গে জড়িয়ে - তাই একজন শিশুকে তার জনগোষ্ঠী থেকে বিচ্ছিন্ন করে শিক্ষাদান করতে গেলে তা ব্যর্থ হতে বাধ্য। এটা প্রতিবেদন থেকে ব্যক্তিগতভাবে মূল প্রাপ্তি বলতে পারি।