আরেক রকম ● নবম বর্ষ ত্রয়োবিংশ সংখ্যা ● ১-১৫ ডিসেম্বর, ২০২১ ● ১৬-২৯ অগ্রহায়ণ, ১৪২৮

সমসাময়িক

রাজ্যে দুর্নীতির বেসাতি


দুর্নীতি, দুর্নীতি এবং আরও দুর্নীতি। বিগত ১০ বছরে তৃণমূল দল বা এই দল পরিচালিত রাজ্যের সরকার আর দুর্নীতি সমার্থক শব্দ হয়ে গিয়েছে। পশ্চিমবাংলার রাজনৈতিক শাসন ক্ষমতা হাতে পাওয়ার পর থেকেই এই দলটির শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে অঞ্চলের নেতা সকলেই দুর্নীতির এক প্রতিযোগিতায় যেন নাম লিখিয়েছেন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে, বিভিন্ন উপায়ে দুর্নীতি করা নেতারা অসামান্য দক্ষতায় এমন এক স্তরে উন্নীত করতে পেরেছেন যেখানে এই রাজ্যের যুবসমাজ সরকারি নিয়োগের কোনো বিজ্ঞপ্তি দেখলেই দিন গোনেন কবে কলকাতা হাইকোর্টে এই নিয়োগকে কেন্দ্র করে মামলা হবে। বস্তুত স্বাধীনতার পর থেকে এই বাংলায় আর কোনো রাজ্য সরকারকে প্রতিটি নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে এভাবে আদালতে জবাবদিহি করতে হয়নি। এই বিষয়ে মাননীয়ার সরকার সম্ভবত একটি অনন্য নজির স্থাপন করতে পেরেছেন।

অতি সম্প্রতি আবারও শিক্ষা দপ্তরের একটি নিয়োগ ঘিরে ফের দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এসএসসি-এর মাধ্যমে রাজ্যের বিভিন্ন বিদ্যালয়গুলিতে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগে নিয়ম মানা হয়নি। ২০১৬ সালে রাজ্যের বিদ্যালয়গুলিতে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগের সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। সেই অনুযায়ী ২০১৭ সালে এসএসসি পরীক্ষা নেয়। তখন এসএসসি জানায় মোট ৬ হাজার কর্মী নিযুক্ত হবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেখা যায় ১৩ হাজার কর্মী নিযুক্ত হয়ে গেছেন। বস্তুত ২০১৭ সালে এসএসসি যে প্যানেল তৈরি করে তার মেয়াদ ২০১৯ সালে শেষ হয়ে গেছে। অথচ দেখা যাচ্ছে ২০২১ সালে এসেও সেই প্যানেল থেকে কর্মী নিয়োগ হয়ে চলেছে। মামলার আবেদনকারীরা প্রথমে এভাবে নিযুক্ত ২৫ জনের নামের তালিকা আদালতে জমা দেন। আদালত এঁদের বেতন বন্ধের নির্দেশ দেয়। পরে মামলাকারীরা আরও ৫০০ জনের নামের তালিকা জমা দেবেন বলেছেন। কলকাতা হাইকোর্টে এই নিয়ে মামলা দায়ের হওয়ার পর বিচারপতি যখন এসএসসি-কে তাঁদের বক্তব্য জানাতে বলেন তখন দেখা যায় এই নিয়োগ প্রক্রিয়াতে 'পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ'ও জড়িত। বস্তুত আদালতে এসএসসি জানায় এই নিয়োগের দায় তাঁদের নয়। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এই নিয়োগ দিয়েছে। অন্যদিকে ওই আদালতেই মধ্যশিক্ষা পর্ষদ বলেছে এই নিয়োগের সুপারিশ এসেছে এসএসসি দপ্তর থেকে। পারস্পরিক দায় ঠেলাঠেলির এই ঘূর্ণাবর্তে আদালত পর্যন্ত বিরক্তি প্রকাশ করেছে এবং নজিরবিহীনভাবে এই দুর্নীতির তদন্তের ভার সিবিআই-কে হস্তান্তর করেছে। আদালত জানিয়েছে রাজ্য সরকারেরই দুটি দপ্তর যেভাবে এই দুর্নীতির সাথে যুক্ত তাতে রাজ্য সরকারের পক্ষে এই তদন্ত করা সম্ভবপর নয়। তাই আদালতের তত্ত্বাবধানে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে নিযুক্ত করার রায় দেন বিচারপতি। এই কেলেঙ্কারি সম্ভবত মধ্যপ্রদেশের ব্যপম কেলেঙ্কারির তুলনীয় হয়ে পড়েছে। দুর্নীতির শিকড় এত গভীরে পৌঁছেছে যে আদালতও আর রাজ্য সরকারের ওপর আস্থা রাখতে পারছে না।

যদিও এহেন দুর্নীতির এটিই প্রথম ঘটনা নয়। রাজ্যের শাসনক্ষমতার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে বর্তমান সরকারের পরিচালনায় যতগুলি নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে তার প্রতিটি ক্ষেত্রেই অপরিসীম দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে রাজ্যের বিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষক নিয়োগের জন্য এখনো পর্যন্ত মাত্র দু'বার টেট পরীক্ষা এই সরকার নিতে পেরেছে। একথা উল্লেখ্য যে বিভিন্ন কারণে এই রাজ্যে শিক্ষিত যুবক-যুবতীদের কাছে সরকারী চাকরি প্রধান কর্মসংস্থানের পরিসর। বিগত ১০ বছরে রাজ্যের কর্মসংস্থানের রুগ্ন চেহারা এই নির্ভরশীলতাকে আরও প্রকট করেছে। এমতাবস্থায় সৎপথে উপার্জনের আকাঙ্ক্ষী যুবসমাজ যে স্কুল কলেজে বা অন্য সরকারী ক্ষেত্রকে বেছে নেবে তা বলাই বাহুল্য। ১৯৯৭ সালে স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসি চালু হওয়ার পর মোটের ওপর একটি নিয়মিত নিয়োগের সুযোগ এরাজ্যের শিক্ষিত সমাজের কাছে ছিল। কিন্তু বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর সেই সুযোগটিও এ রাজ্যে বন্ধ হয়েছে। যে দু'বার শিক্ষক নিয়োগের জন্য টেট পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় তা নিয়ে ইতোমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টে মোকদ্দমা চলছে। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করতেই হয় যে ২০১৭ সালে যে দ্বিতীয় টেট পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি তৃণমূল সরকার বের করে তার পরীক্ষাটি হয় ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে।

এমনটা ভাবার কোনো অবকাশ নেই যে ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার ভিত্তিতে প্রাথমিক বিভাগে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছ ছিল। বস্তুত ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের নিয়োগ করার ক্ষেত্রে ভয়াবহ দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে তৎকালীন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। বস্তুত সেটি ছিল তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ওঠা প্রথম বড় মাপের দুর্নীতির অভিযোগ। কোনো মেধাতালিকা প্রকাশ না করেই নিয়োগের যে অভাবনীয় পদ্ধতি তৎকালীন প্রাথমিক শিক্ষা-সংসদ অনুসরণ করে তা বিশ্বে প্রথম এবং এটি কর্তৃপক্ষের অসীম ঔদ্ধত্যেরই বহিঃপ্রকাশ। অর্থের বিনিময়ে আবেদনকারীর নাম যোগ্যদের তালিকায় ঢুকিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এই অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ হয় ২০২১ সালের রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে। রাজ্যে হাওয়াবদলের আবহাওয়ায় বেসুরো বাজতে থাকা শাসকদলের স্থানীয় নেতৃত্বের কেউ কেউ অর্থের বিনিময়ে পরীক্ষার্থীর নাম যোগ্য তালিকায় তুলেছেন বলে স্বীকার করতে থাকেন। এমনকি খোদ মুখ্যমন্ত্রী ২১শে জুন নবান্নের সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘মেধাই তাঁদের পরিচয়। তারা পরীক্ষা দিয়েছে। প্রতিযোগিতা করেছে। পাশ করেছে। এ ব্যাপারে কারুর কাছে লবি করার দরকার নেই’।

এটা ভাবা ভুল যে এহেন স্বজনপোষণ বা দুর্নীতির দায় কেবল সংশ্লিষ্ট নিয়োগ কর্তৃপক্ষের। টেট উত্তীর্ণপরীক্ষার্থীরা যখন নিয়োগ প্রক্রিয়াতে স্বচ্ছতা দাবি করে কলকাতার রাজপথে দিনের পর দিন অবস্থান করেছেন তখন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় উল্টে আন্দোলনকারীদের উপর দায় চাপিয়েছিলেন নিয়োগ প্রক্রিয়াতে কোনো গরমিল হয়েছে কিনা তার প্রমাণ যোগাড় করতে। এই নজির ছিল অভূতপূর্ব। কোনো নির্বাচিত সরকার তার নাগরিকদের প্রতি এহেন উদ্ধত আচরণ যে করতে পারেন তার পূর্ব অভিজ্ঞতা এ রাজ্যের মানুষের হয়নি। বস্তুত একটি আপাদমস্তক অস্বচ্ছ সরকারি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির তথ্য অনুসন্ধানের দায় যখন অভিযোগকারীদের ওপর এসে বর্তায় তখন সেই সরকারের থেকে কোনো বিষয়েই স্বচ্ছতা আশা করা উচিৎ কিনা এটি একটি বিতর্কের বিষয় হয়ে দাঁড়ায়।

একইরকম ভাবে উচ্চ প্রাথমিকেও নিয়োগের ক্ষেত্রেও একাধিক মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে এবং শেষমেশ নিয়োগের গোটা প্যানেলটি আদালত বাতিল করতে নির্দেশ দেয়। বস্তুত এই নিয়োগ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা চলাকালীন বিচারপতি স্কুল শিক্ষা কমিশনের উদাসীনতা এবং ঔদ্ধত্যে বিরক্ত হয়ে কমিশনের চেয়ারম্যানের নামে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনেন। যা এক বিরল দৃষ্টান্ত। অবশেষে ২০২১ সালে মামলার সাময়িক নিষ্পত্তি হয় এবং আদালত কমিশনকে নির্দেশ দেয় যে সমস্ত অনুত্তীর্ণ আবেদনকারীরা মেধাতালিকা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করবেন তাঁদের প্রত্যেককে লিখিত জবাব দেওয়ার পরেই কমিশন উত্তীর্ণ প্রার্থীদেরকে নিয়োগ দিতে পারবে। যদিও ইতিমধ্যেই কমিশন সময়ে সেই কাজ করে উঠতে পারবে না বলে আদালতকে জানিয়েছে। এখনও পর্যন্ত এই ১৪ হাজার ৩৩৯ শিক্ষক পদে নিয়োগ হয়নি। আবেদনকারীরা এখন ধর্মতলায় গান্ধী মুর্তির পাদদেশে অবস্থান চালিয়ে যাচ্ছেন।

শুধুমাত্র প্রাথমিক শিক্ষায় নিয়োগ নয়, মাদ্রাসা বোর্ডের নিয়োগের প্রশ্নেও একই রকম দুর্নীতির অভিযোগ তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে ওঠে। মাননীয়া নিজেকে মুসলমান দরদী হিসাবে প্রচার করেন অথচ ২০১৩ সালে এযাবৎ একবারই মাত্র মাদ্রাসা বোর্ডের মাধ্যমে সরকার পোষিত মাদ্রাসাগুলিতে নিয়োগ করা হয়। যদিও সেই প্রক্রিয়াও স্বচ্ছভাবে হয়নি। আবেদনকারীরা বহু বছর ধরে কলকাতা হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্ট অবধি দৌড়াদৌড়ি করে অবশেষে ২০১৮ সালে নিযুক্ত হতে পেরেছেন। কিছু মানুষ যারা মাদ্রাসা কমিশনের মাধ্যমে সরকার পোষিত মাদ্রাসাগুলিতে নিয়োগ বন্ধ করতে চায় তাদেরই এক পৃষ্ঠপোষককে মাদ্রাসা কমিশনের সদস্য হিসাবে নিযুক্ত করেছে বর্তমান তৃণমূল সরকার।

যদিও সরকারের নির্লজ্জতা এত কিছুর পরেও দূর হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। যথারীতি সরকার চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রক্রিয়াকে দীর্ঘায়িত করতে ইতোমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানিয়েছে। ডিভিশন বেঞ্চ ৩ সপ্তাহের জন্য তদন্তের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। আদালতে রাজ্য সরকার যুক্তি দিচ্ছেন যে, নিম্ন আদালত তাঁদের পুরো বক্তব্য পেশের সুযোগ দেননি। কিন্তু বাস্তবে সরকারের মনোবৃত্তি যে দুর্নীতির তদন্ত করা নয় তা সরকারের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রীদের কথাতেই পরিষ্কার। বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী বলছেন, তাঁর সময়ে এই নিয়োগ হয়নি তাই দায় তাঁর নয়। এই দায় তিনি চাপাচ্ছেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীর উপর। অন্যদিকে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী বিবৃতি দিচ্ছেন এই দায় কোনো ব্যক্তির নয়। এর দায় গোটা সরকারের। একদিকে সরকারী নিয়োগে দুর্নীতির পর দুর্নীতি হয়েই চলেছে আর অন্যদিকে সরকারের দপ্তর এবং মন্ত্রীরা দায় এড়ানোর খেলায় মত্ত। দুর্নীতির তদন্ত রুখতে সরকারের যে পরিমাণ আগ্রহ তার সিকিভাগও যদি এই দুর্নীতির কারণ অনুসন্ধান করার ক্ষেত্রে থাকত তাহলে হয়ত এই বাংলার শিক্ষিত যুবক-যুবতীদের কোথাও একটা আশার জায়গা থাকত। বস্তুত এই সরকার তার নাগরিকদের প্রতি ন্যূনতম দায়দায়িত্বগুলো বিস্মৃত হয়েছে। অন্যদিকে আদালতও সময় বিশেষে কিছু সদর্থক ভূমিকা নিলেও শেষ পর্যন্ত সরকারকে বাধ্য করতে পারছেন না দুর্নীতির এই দুষ্ট চক্রকে ভেঙ্গে দেওয়ার কাজে।

ফলত এই দীর্ঘ ১০ বছরের বেশী সময়কালে গোটা রাজ্য জুড়ে এক হতাশার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। আজকে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বলছেন কর্মসংস্থানের জন্য সরকারের মুখাপেক্ষী না হয়ে থাকতে। একদিকে মোদী বলছেন পকোড়া ভাজো আর অন্যদিকে মাননীয়া শোনাচ্ছেন চপ বেচে তিনতলা বাড়ি তৈরির গল্প। আসলে এই চপ আর পকোড়ার রাজনীতি এনারা আমদানী করেছেন গোটা সমাজে শিক্ষার প্রতি এক স্বাভাবিক বীতস্পৃহা জাগিয়ে তুলতে। শিক্ষিত যুবক-যুবতীরা নিজেদের শিক্ষার প্রতি ভরসাহীন হয়ে শাসকদলের নেতা নেত্রীর কাছে গিয়ে অর্থের বিনিময়ে চাকরির দরবার করবেন আর সমাজে ধারণা তৈরি হবে সরকারি চাকরি পেতে শ্রম নয় দরকার রাজনৈতিক অনুগ্রহ। তৈরি হবে শাসকের প্রতি অনৈচ্ছিক আনুগত্য। উদয়ন পণ্ডিত বলত ‘যে যত জানে, তত কম মানে’। তাই এই স্বৈরাচারীরা নেমেছে শিক্ষাকে ধ্বংস করতে। গনতান্ত্রিক রীতিনীতি তো এরা বহুদিনই অনুসরণ করা ছেড়েছেন। তাই কেউ আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ লাগাচ্ছে তো কেউ পুলিশ দিয়ে লাঠিপেটা করাচ্ছে। কিন্তু কৃষক আন্দোলন পথ দেখাচ্ছে। যথেষ্ট ইচ্ছাশক্তি নিয়ে এবং সৎভাবে যদি আন্দোলন গড়ে তোলা যায় তো স্বৈরাচারী শাসকও পিছু হঠে। দরকার সেরকম গনতান্ত্রিক আন্দোলনের, যা পশ্চিমবাংলায় আজ অনুপস্থিত। যদি যুবসমাজ সরকারি নিয়োগে এই পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রকৃত গণআন্দোলন গড়ে তুলতে পারেন তাহলে তা সফল হবেই। আন্দোলনের ওপর শাসকের আক্রমণ আসলে সরকারের দুর্বলতাকেই প্রকট করেছে।