আরেক রকম ● একাদশ বর্ষ অষ্টম সংখ্যা ● ১৬-৩০ এপ্রিল, ২০২৩ ● ১-১৫ বৈশাখ, ১৪৩০

সম্পাদকীয়

নববর্ষের শুভেচ্ছা


১৪২৯ সমাপ্ত। শুরু হয়ে গিয়েছে ১৪৩০ বঙ্গাব্দ। আরেকটি নতুন বছরের সূচনা। কিন্তু দিন কি পালটালো? দেশ তথা রাজ্যের অগুনতি খেটে খাওয়া মানুষের জন্য নতুন বছরে ক্যালেন্ডারের পাতা হয়ত ওলটালো কিন্তু তাদের দিনপঞ্জিতে কোনো পরিবর্তন এল না। রোজকার লাঞ্ছনা, তোলাবাজ-গুন্ডা-চোর-নেতাদের চোখরাঙানি, খাদ্য-শিক্ষা-স্বাস্থ্য-বাসস্থানের জন্য সংগ্রাম এবং হাহাকারের যে চিত্র ১৪২৯ সালে ছিল, ১৪৩০-টা পালটাবে কি?

তবু নতুন বছর আসে। কবির ভাষা ধার করে বলা যেতে পারে “জীর্ণ পুরাতন যাক ভেসে যাক”। কিন্তু ‘জীর্ণ-পুরাতন’ ভেসে যাক বললেই ভেসে যায় না। তাকে তাড়াতে হয়, দেশ তথা রাজ্যে যে জীর্ণ ও পুরাতন তন্ত্রটি শাসকগোষ্ঠীরা কায়েম করেছে বহু বছর ধরে, তাকে ভাঙতে হয়। কিন্তু ভাঙবে কে? যেই ভাঙার আশায় বুক বেঁধে একদা লাল ঝাণ্ডার তলায় একত্রিত হয়েছিল রাজ্যের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ, তারা দুর্বল, ক্ষীণ। নিজেদের ত্রুটি, বিরোধীদের চাল সবকিছুর সমন্বয়ে তারা আজ রাজ্যের রাজনীতিতে প্রান্তিক হয়ে পড়েছেন।

তাহলে কে ভাঙবে জীর্ণ-পুরাতন এই মানবতা বিরোধী তন্ত্রকে? কারা দেখাবে চোর-দুর্নীতিগ্রস্ত-সমাজবিরোধীদের রাজত্ব থেকে মুক্তির রাস্তা? ভরসা রাখতেই হবে বামপন্থী প্রগতিশীল রাজনীতির উপর, যা অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে নূতনের ডাক দেবে।

১৪৩০-এর সূচনা লগ্নে আমাদের সমস্ত পাঠক, লেখক ও বন্ধুদের জানাই নববর্ষের আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা। 'আরেক রকম' রাজ্য তথা দেশের শাসক গোষ্ঠীর জনবিরোধী রাজনীতির বিরুদ্ধে সদা সচেতন ও মুখর থাকবে। 'আরেক রকম' জীর্ণ পুরাতন আবর্জনা পুড়িয়ে নতুন ভোরের আহ্বানে ব্রতী থাকবে। আশা করব আপনারা আমাদের পাশে সর্বদা থাকবেন।