আরেক রকম ● একাদশ বর্ষ তৃতীয় সংখ্যা ● ১-১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ● ১৬-২৯ মাঘ, ১৪২৯

প্রবন্ধ

সঞ্জয় উবাচ


দুঃখের ইমান

সঞ্জয় বললেন, মহারাজ আজ আমি আপনাকে দুঃখের ইমানের কথা শোনাব। কিন্তু তার আগে সেদিন তালিবান নিয়ে যে বিবরণ আপনাকে দিয়েছিলাম তাতে একটা ছোটো সংযোজন আছে।

তোমার দুঃখের ইমানের কথা শোনার জন্য আমি উদ্‌গ্রীব। তবে আর আগে শুনে নিই তোমার ছোটো সংযোজন।

মেয়েদের লেখাপড়ার বিরুদ্ধে তালিবানের নিষেধাজ্ঞার কথা আগের দিন আমি আপনাকে বলেছিলাম। জানি না এর মধ্যে বিবেকের কোনো প্রশ্ন আছে কিনা, নাকি সবটাই শুধু কৌশল। তবে এ খবর পাওয়া গেছে যে তালিবান নাকি বলেছে মেয়েদের লেখাপড়া তারা চিরতরে বন্ধ করেনি বা করার কথা ভাবেনি। শুধুমাত্র আপাতত তারা কিছুদিনের জন্যে এটা পিছিয়ে দিয়েছে মাত্র। যদিও পিছিয়ে দেবার কোনো কারণ কিছু বোঝা যায়নি।

তুমি এই পদক্ষেপকে একেবারে ছোটো বলছ কেন? যে প্রতিবাদের কাহিনি তুমি আগের দিন আমাকে শুনিয়েছিলে, তার ফলে তালিবানি মনে কোনো পুনর্বিবেচনার লক্ষণ হিসেবে এটাকে দেখা কি সম্ভব নয়?

সেরকম ভাবতে আমাদেরও ইচ্ছা করে, কিন্তু মহারাজ, নিত্যই যেসব খবর পাওয়া যায় তাতে অতটা ভেবে ওঠা শক্ত।

আর কি খবর পাওয়া গেছে ইতিমধ্যে?

খবর এসেছে কান্দাহারে লোকভর্তি একটা স্টেডিয়ামে সবার চোখের সামনে দু-জন ব্যক্তিকে চৌর্যবৃত্তির অপরাধে হাত কেটে নেওয়া হয়েছে। এবং লজ্জায় কেউ মুখ ঢাকেনি সেখানে। আন্তর্জাতিক মহল থেকে অবশ্য অনেক ধিক্কারধ্বনি উঠেছে। মানবাধিকারের উপরে এই আক্রমণ সে মহল ভালো চোখে দেখেনি।

আন্তর্জাতিক মহলের প্রতিক্রিয়ার মূল কথা কী?

এই নৃশংসতা মধ্যযুগীয়। আধুনিক যুগে এসব বেমানান। আধুনিক কালে রাষ্ট্রসংঘ আছে। তাদের তরফে ঘোষিত সার্বজনিক মানবাধিকার সনদ আছে। আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থাকে এইসব কালোপযোগী ধারণা মেনে নিয়ে চলতে হয়।

বুঝলাম। কিন্তু এই ভারতীয় উপমহাদেশেই এক কালে যে দণ্ডনীতি প্রচলিত ছিল তাতে অঙ্গচ্ছেদের বিধান ছিল না? তোমাদের আধুনিক কালের কোনো কবিই নাকি বলেছেন, মধ্যযুগ এত রক্ত দেখেছে কখনো? তুমি আজ আমাকে এমন কথা শোনাচ্ছ সঞ্জয়, তাতে যে আসন্ন যুদ্ধের মুখোমুখি আমরা দাঁড়িয়ে আছি আমার বুক অজানা শঙ্কায় কেঁপে কেঁপে উঠছে।

আপনার মনে নতুন করে কোনো উদ্বেগ সৃষ্টি করা কিংবা নতুন করে বেদনা জাগানো কোনোটাই আমার উদ্দেশ্য ছিল না, মহারাজ।

তা আমি বিলক্ষণ জানি। তুমি আমার কাছে শুধু পারিপার্শ্বিকের বর্ণনা দিয়ে যাচ্ছ। কিন্তু তোমার বর্ণনা থেকেই আমার মধ্যে তৈরি হচ্ছে এই আশ্চর্য উৎকণ্ঠা। তবে কি বিশ্বজোড়া এক অশান্ত পৃথিবীর নির্মম পরিণতিই আমাদের নিয়তি। কুরুক্ষেত্র কি তবে এক চিরকালীন যুদ্ধোন্মাদনার মেটাফর? চক্রবৎ এই অবিমৃশ্যকারিতাই বারবার হানা দেবে মানুষের পার্থিব বাসভূমিতে।

মহারাজ, সার্থক আপনার অন্তর্দৃষ্টি। প্রকৃত ত্রিকালদর্শীর মতো আপনার এই মর্মভেদী উদ্‌ভাস। এক ঝলকে যেন মানুষের সামাজিক রাজনৈতিক অবস্থানের একটা পটচিত্র চোখের উপরে দেখা দিয়ে মিলিয়ে গেল। এরই এক সমকালীন প্রেক্ষিত সম্প্রতি পাওয়া গেল রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেররেস-এর ভাষণে। ডাভোস নগরে অনুষ্ঠিত বিশ্ব অর্থনৈতিক মঞ্চের বক্তৃতায় তিনি যা বলেছেন তাতে আতঙ্কের কারণ আছে মহারাজ।

কোন নগরের কোন মঞ্চের কথা যেন বললে। এসব আমার একেবারে অপরিচিত। আমাকে একটু বুঝিয়ে বলো সঞ্জয়। নইলে এসব নামধাম আমার কাছে আদতে হিজিবিজবিজ।

আমাকে মার্জনা করবেন, মহারাজ। বুঝে নিয়ে আমার আগেই সতর্ক হওয়া উচিত ছিল।

না, তোমার সতর্ক হওয়ার অবকাশ কোথায়। এসব নাম তোমাদের কাছে জলভাত। আমাদের ভূগোল পরিসর তোমাদের পরিসরের তুলনায় অনেক সঙ্কীর্ণ তা আমাকে মানতেই হবে।

এতে আপনার সংকোচের কোনো কারণ নেই। কালে কালে যুগে যুগে আমাদের এই ভারত ভূখণ্ডেরই যত পরিবর্তন হয়েছে তারও পুরো হিসেব রাখা অত সহজ কাজ নয়। ডাভোস নগর আধুনিক সুইৎসারল্যাণ্ডের একটি মনোরম স্কী ক্রীড়া পর্যটন কেন্দ্র। সেখানে গত কয়েক বছর এই বিশ্ব অর্থনৈতিক মঞ্চের অধিবেশন বসে বছরে একবার করে। এই মঞ্চে আছেন বিশ্বের সেরা ধনী দেশগুলির প্রতিনিধিরা, সেই সঙ্গে থাকেন ধনাঢ্য শিল্পপতিরা এবং বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা। বিশ্বের হালচাল আলোচনা করাই এঁদের কাজ।

তা যাঁদের ভাবনাচিন্তা ও ক্রিয়াকলাপে বিশ্বের ভবিতব্য নির্ধারিত হয় তাঁরা যদি একত্রে বসে মত বিনিময় করেন তাহলে সেটা তো খুব ভালো প্রচেষ্টা বলতে হবে।

কোনো সন্দেহ নেই। এবং জাতি-রাষ্ট্রের সংকীর্ণ চেতনার ঊর্ধ্বে উঠে রাষ্ট্রোত্তর কোনো স্তর স্পর্শ করার এ একটা বড়ো পদক্ষেপ হতেই পারে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের মতো প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার পিছনেও চিন্তা ছিল এই রকমেরই। জাতি-রাষ্ট্রের সংকীর্ণতা কাটিয়ে উঠতে না পারলে এ বিশ্বকে বাঁচানো শক্ত, এই বোধ একদিন কাজ করেছিল সবার মনে। বিশ্বযুদ্ধের বীভৎসা এইটুকু শুভবুদ্ধি হয়তো দিয়ে গিয়েছিল সেদিনের মানুষের মনে। কিন্তু সমস্যা এই যে, ডাভোসের মনোরম পরিবেশে বসে যা যা ভালো কথা মনে আসে তার সবই প্রায় নাকচ হয়ে যায় ঘরে ফিরে। সেখানে অপেক্ষা করে সেই ক্ষুদ্র স্বার্থ দিয়ে ঘেরা জাতি চৈতন্য। ফলে সভাঘরের শুভসংকল্প কাজে রূপ পায় না।

দেখ ঘরে ফিরে স্বয়ং রামচন্দ্রই পারলেন না। অযোধ্যাবাসী বেঁকে বসল, জানকীকে পরিত্যাগ করতে হবে, তাঁর চরিত্র সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয়। রামচন্দ্রকেও মাথা নত করে নামহীন জনগণের অনুশাসন মেনে নিতে হল। তাই যতক্ষণ না ঘর সামলানোর ব্যবস্থা হচ্ছে ততক্ষণ খুব বেশি কি হবে জানি না।

এও আপনার দূরদৃষ্টির কথা। ঘরের কথা, শাসিতের কথা বাদ দিয়ে শাসনকে সুশাসনে রূপান্তর করার পথে খুব বেশি দূর যাওয়া যাবে কিনা কে জানে। আর সেরকম গিয়ে লাভই বা কী।

যাই হোক, সরে যাচ্ছি আমরা। বলো, তোমার ডাভোসের সংবাদ বলো।

ডাভোসের সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে ভাষণ দিয়েছেন আন্তোনিয়ো গুতেররেস। মহাসচিব তাঁর ভাষণে বলেছেন, এই পৃথিবী এখন বড়ো দুঃখের দুরবস্থায় আছে। অনেক সমস্যা এমন হুড়মুড় করে এসে পড়েছে যে ঠিক যেন থই পাওয়া যাচ্ছে না। আলংকারিক ভাষায় উনি বলেছেন, যেন রাস্তার গাড়ি দুর্ঘটনায় একটার ঘাড়ে আর একটা এসে পড়েছে এবং একের পর এক সব দলা পাকিয়ে দুমড়ে মুচড়ে গেছে। এরই মধ্যে মূল সমস্যা হিসেবে আপাতত উনি দুটোকে চিহ্নিত করেছেন। জলবায়ুর পরিবর্তন আর ইউক্রেন যুদ্ধ। এমনিতেই ইউক্রেন যুদ্ধের বছর ঘুরতে চলল। শুরুতে সম্ভবত কেউই ভাবেননি যে যুদ্ধ এতদিন চলবে। রাশিয়া ভাবেনি বলে মনেই হয়, মহারাজ। এবং নানাদিক থেকে রাশিয়ার সংকট এমন ঘনীভূত হয়েছে যে এই ঘূর্ণি থেকে সে কীভাবে বেরোবে তা এখন বোধহয় আর কারুর হাতেই নেই। অর্ধ শতাব্দী আগের ভিয়েতনাম যুদ্ধে আমেরিকার পর্যুদস্ত হবার স্মৃতি ফিরে আসছে অনেকের মনে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রসঙ্গে এক কবি প্রশ্ন তুলেছিলেন কবন্ধ ফরাসি দেশ বেঁচে আছে কিনা তা সুদ্ধ জানি না। অনুরূপ প্রশ্ন ইতিমধ্যেই তুলে ফেলেছেন ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি জেলেনস্কি। ভগ্নস্বাস্থ্য পুতিন বেঁচে আছেন কি? উত্তর এখনো কারো জানা নেই, মহারাজ।

ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি নিজে কি সভায় উপস্থিত থেকে এ কথা বলেছেন?

না, মহারাজ। তিনি সভাতে আসেননি। ইউক্রেনের প্রতিনিধি দলে আছেন রাষ্ট্রপতির স্ত্রী জেলেনস্কা। তাঁরা পশ্চিমি শক্তির উপরে চাপ দিচ্ছেন আরো সামরিক সাহায্যের জন্যে। সত্যি কথা বলতে কি মহারাজ, বর্তমান পৃথিবীর বৃহত্তম সাতটি অর্থনৈতিক ক্ষমতাসম্পন্ন দেশের মধ্যে একমাত্র জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎস নিজে উপস্থিত আছেন। অন্যেরা সবাই ইউক্রেনে ট্যাংক পাঠাবার জন্য তাঁর উপরে চাপ সৃষ্টি করছেন।

মহাসচিব তাঁর ভাষণে ইউক্রেন ছাড়া আর যেসব বিশ্বসমস্যার কথা তুলেছেন তুমি বলছিলে সে বিষয়ে আমাকে জানাও সঞ্জয়।

অবশ্যই মহারাজ, তা আমার কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। আমি তখন আপনাকে বলেছিলাম জলবায়ু পরিবর্তনের কথাও। আমি আসব সে কথায় তবে তার আগে মহাসচিব অন্য যে দু-একটা প্রসঙ্গের উল্লেখ করেছেন আর কথাও আপনাকে আমার জানাতে হবে।

বলো কি সেসব প্রসঙ্গ।

বিশ্ব সংকট মোকাবিলা করার পথে প্রধান যে যে অন্তরায়ের কথা বলেছেন মহাসচিব তার মধ্যে আছে, ক্রমপ্রসরমাণ অর্থনৈতিক অসাম্য, তীব্র মুদ্রাস্ফীতি জনিত জীবনধারণের ব্যয় সংকট, শক্তি সংকট, কোভিড-১৯ অতিমারির নাছোড় বিঘ্ন এবং দ্রব্য-পণ্য সরবরাহের ব্যাঘাত। এইসব মিলিয়ে জলবায়ুর সংকটকে তিনি বলছেন একেবারে এক অস্তিত্বের সংকট। তিনি জোরালো ভাষায় সবার উদ্দেশ্যেই বলেছেন পৃথিবীর গড় উত্তাপ বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে বেঁধে রাখার যে আন্তর্জাতিক ঐকমত্য ছিল তা বেমালুম মিলিয়ে গেছে, কেউ আর আজ তার তোয়াক্কা করছে না। তিনি একেবারে সমীক্ষার তথ্য তুলে বলেছেন যে ১৯৭০ নাগাদ সময় থেকেই এসবের ফাঁকিবাজি সবার কাছেই দিব্যি পরিষ্কার ছিল। জীবাশ্ম জ্বালানির উৎপাদকেরা ওই সত্তরের দশকেই জানতেন যে তাঁদের মূল উৎপাদনের জন্যই আমাদের এই গ্রহটা ক্রমশ ভাজা ভাজা হয়ে যাচ্ছে। এইরকম এক অভেনের মধ্যে বসবাস করাই আজ আমাদের নিয়তি মহারাজ।

[ধৃতরাষ্ট্র কিছুক্ষণের জন্য গালে হাত দিয়ে চুপ করে বসে আছেন। সঞ্জয়ও খানিকটা সময় চুপ করে থেকে তারপরে...]

মহারাজ আপনার নীরবতা দেখে মনে আসছে ওই ডাভোস সম্মেলনের একটা নীরবতার কথা।

কীরকম?

সম্মেলনের মধ্যেই ইউক্রেনে একটা হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার খবর এল। এক ডজনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে ছিলেন ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী এবং অন্যান্য আধিকারিকেরা। বিশ্ব অর্থনৈতিক মঞ্চের সভাপতি বর্হে ব্রেন্দে সবাইকে অনুরোধ করেন ১৫ সেকেণ্ড নীরবতা পালনের জন্য। পনের সেকেণ্ডের নীরবতা, আমাদের ভারতীয় মনে একটু ধাক্কা লাগে।

সঞ্জয়, আমার পরিবার এই মুহূর্তে যে সংকটে আছে আর তাতে আমার মনের দশা তুমি কিছুটা আন্দাজ করতে পার। কিন্তু তোমার বিবরণ শুনে আমার দূর সন্ততিদের কথা ভেবে আমার মন বিষণ্ণতায় আক্রান্ত হচ্ছে।

আপনার বিষণ্ণতা আমি আন্দাজ করতে পারি মহারাজ। আমি জানি আপনাকে আরো ভারাক্রান্ত করে তোলা আমার উচিত না। কিন্তু এই মাত্র যে খবর এল তা আপনাকে জানানো আমার কর্তব্য।

বলো নতুন কোন সংবাদ পেলে তুমি। আমাদের ব্যক্তিগত বিষণ্ণতায় আচ্ছন্ন হবার সময় নয় এখন।

মার্কিন ট্রেজারি সচিব জ্যানেট ইয়েলেন সম্প্রতি সেনেগালের এক দ্বীপে হাল্কা গোলাপি রঙের একটি বাড়িতে সফরে গিয়েছিলেন, মহারাজ।

এই বাড়ির বিশেষত্ব কী, এই সফরেরই বা তাৎপর্য কী?

আফ্রিকার দাস ব্যবসার স্মৃতির সঙ্গে জড়ানো কুখ্যাত এই বাড়ি। লক্ষ লক্ষ শ্রমিককে প্রজন্মের পর প্রজন্মে ক্রীতদাস বানিয়ে রাখার প্রতীক এই ভবন। গরি দ্বীপে অবস্থিত এই বাড়িটি ‘দাস ভবন’ নামেই পরিচিত। এই বাড়িতে বন্দী করেই জাহাজ ভর্তি করে তাদের অতলান্তিকের ওপারে পাঠিয়ে দেওয়া হত। একবার যাদের ওখানে ঢোকানো হত ফেরার পথ তাদের চিরকালের জন্য বন্ধ হয়ে যেত। জ্যানেট ইয়েলেন তাঁর দশ দিনের সফরে এও বলেছেন যে ‘এই দাস ব্যবসা শুধু আফ্রিকার ইতিহাসের অংশ না, তা আমেরিকার ইতিহাসেরও অংশ। মার্কিন দেশে দাসপ্রথা রদ হবার পরেও যেসব অধিকার ও স্বাধীনতা আমাদের সংবিধান অনুসারে শ্রমিকদের পাওয়ার কথা ছিল তা তারা সব পায়নি’। এই দ্বীপটি বর্তমানে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত।

দাঁড়াও ওই মানহারা মানবীর দ্বারে
    বলো ‘ক্ষমা করো’ -
        হিংস্র প্রলাপের মধ্যে
সেই হোক তোমার সভ্যতার শেষ পুণ্যবাণী।


[সৌরীন ভট্টাচার্য]