আরেক রকম ● একাদশ বর্ষ তৃতীয় সংখ্যা ● ১-১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ● ১৬-২৯ মাঘ, ১৪২৯

সমসাময়িক

দুয়ারে ভূত


দুয়ারে ভোট, তাই দুয়ারে দূত। বাংলার রাজনৈতিক জীবনে আগামী পুজোর ঘন্টা বেজে গেছে। গ্রামীণ বাংলায় ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। এতদিন খবরের কাগজ থেকে নবান্নের চোদ্দতলায় বসে থাকা মাননীয়ার কাছে অপাংক্তেয় মানুষগুলোর সুখ-সুবিধা, পাওয়া না পাওয়া নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে ক্ষমতার অলিন্দে। একদিকে যেমন বিরোধীরা ভাবছেন এই নির্বাচনে রাজ্যের শাসকদলকে কীভাবে পরাজিত করা যায়, অন্যদিকে শাসকদলের তাজা তাজা নেতারা হিসাব করছে কীভাবে নির্বাচনটা করিয়ে নেওয়া যায়। ক্ষমতার দম্ভে এতদিন যে মানুষদের ওপর যা ইচ্ছা তাই করা গিয়েছে, এখন তাদের সামনে গিয়ে হাত পেতে ভোটভিক্ষা করা হবে নাকি আবারও পার্টি ও প্রশাসনের যুগলবন্দিতে তাদের ভোট নিজেদের বাক্সে ঢুকিয়ে নিতে হবে এই দ্বিধায় রয়েছে রাজ্যের শাসকদলের নেতৃত্ব। 

তাই বিগত ১১ বছরে যা হয়নি, আজ বাংলার রাজনৈতিক মঞ্চে শাসকদলের কুশীলবেরা সেই এক নতুন পাঁয়তাড়া শুরু করেছে, দিদির দূত। গ্রামের গরীব মানুষের অধিকার, জীবিকা লুটে খেয়ে এখন এদের মনে হয়েছে একটু বেশীই বাড়াবাড়ি হয়ে গিয়েছে। তাই শাসকদলের বড়, মেজ, সেজ, ছোট সব নেতারা গ্রামে গ্রামে গাড়ি হাঁকিয়ে যাচ্ছেন মানুষের অভিযোগ শুনতে। নবান্নের চোদ্দতলায় বসে নেত্রী হয়ত ভেবেছেন এসব করে ভোটের আগে মানুষের ক্ষোভ খানিক প্রশমিত করে দেবেন, যাতে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল যদি দিল্লী থেকে সেপাই এনে নির্বাচন "অবাধ" করার ব্যবস্থাও করে তাহলেও যেন খানিকটা সামাল দেওয়া যায়। তাই নেমেছে দিদির দূতেরা। লক্ষ্য আসলে আরও পাঁচ বছর লুটপাট চালানো। তার জন্য যদি খানিক গালি খেতে হয় তো তাই সই। 

তবে পরিস্থিতি যে এতটা বেগতিক তা হয়ত মাননীয়া বা তার গুণধর ভাইপোর ধারণায় ছিল না। প্রায় প্রতিদিনই যে দিদির দূতেরা গিয়ে সাধারণ মানুষের বিক্ষোভের মুখে পড়বে তা হয়ত এদের হিসাবে ছিল না। ফলে জালিয়াত আসামী থেকে মুখপত্রের পদে উন্নীত হয়ে যতই কেউ এসব বিক্ষোভকে রাজনৈতিক দলের অভিসন্ধি বলুক বা মাননীয়া যতই নিজের দলের সভায় বলুন যে এসব আসলে বিক্ষোভ নয়, বাস্তব তাতে পাল্টে যাবে না। বিগত ১১ বছর ধরে রাজ্যের অর্থনীতিকে খাদের কিনারায় এনে ফেলা, মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত, শ্রমজীবী মানুষের জীবন জীবিকার আদ্যশ্রাদ্ধ করে ফেলার পর মানুষ যে রাজ্যের শাসকদলের ওপর বীতশ্রদ্ধ তার প্রতিফলনই এইসব বিক্ষোভের ঘটনা। বরং শাসকদলের এইসব অপদার্থ, চোর নেতাদের কৃতজ্ঞ থাকা উচিত বাংলার মানুষের সার্বিক গণতান্ত্রিক চেতনার কাছে এই জন্য যে, মানুষের দুয়ারে গিয়ে এরা অন্তত মারধর খাচ্ছে না।

আজকে গোটা রাজ্যের অর্থনৈতিক বা রাজনৈতিক চিত্র ভয়াবহ। বিগত ১১ বছরে এ রাজ্যে মানুষের সুস্থ কর্মসংস্থানের সুযোগ ক্রমাগত কমেছে। এ রাজ্য থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার যুবক যুবতী ভিনরাজ্যে যেতে বাধ্য হয় জীবিকার সন্ধানে। পাঠক মাত্রই জানেন সংবাদপত্রের পাতায় যখনই ভিনরাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের কোনো দুর্ঘটনার খবর প্রকাশিত হয় তাতে ন্যূনতম একজন বাংলার বাসিন্দার নাম থাকে। এই পরিস্থিতি কিন্তু একদিনে তৈরি হয়নি। একদিকে পরিকল্পনাহীন রাজ্যের অর্থনৈতিক কাজকর্ম আর অন্যদিকে রাজ্যের শাসকদলের নেতাদের কাটমানি আর দুর্নীতির কারবার এ রাজ্যে কোন সুস্থ কর্মসংস্থানের পরিবেশ গড়ে উঠতে দেয়নি। তৃণমূলের সম্পদদের তোলাবাজির ঠেলায় এ রাজ্য থেকে একাধিক সংস্থা ব্যবসার পাততাড়ি গুটিয়েছে, কিন্তু বছর বছর ঘটা করে শিল্প সম্মেলন করার পরেও এ রাজ্যে এমন কোনো শিল্প গড়ে উঠল না যাতে ব্যাপক মানুষের কর্মসংস্থান হয়। তৃণমূল নেত্রী, মমতা ব্যানার্জী, মেলা খেলার মঞ্চ থেকে প্রতিবছরই অবিশ্বাস্য সংখ্যায় কর্মসংস্থান ও কল্পনাতীত অঙ্কের শিল্পলগ্নীর গালগল্প দেন বটে, তবে আজ অবধি বাংলার মানুষ রাজ্যের মাটিতে সেসব শিল্পের দেখা পায়নি। ফলে এ রাজ্যের অগণিত ছেলেমেয়ে বাধ্য হচ্ছে নিজের পরিবার পরিজন ছেড়ে অন্য রাজ্যে জীবিকার সন্ধানে চলে যেতে। আস্তে আস্তে গোটা রাজ্যটাই হয়ে উঠছে এক বিরাট বৃদ্ধাশ্রম। আর যারা এ রাজ্যে থেকে যাচ্ছে তাদের সামনে দুটি পথ খোলা, হয় কম মজুরিতে খেটে মরা নয়ত শাসকদলের নেতাদের তত্ত্বাবধানে সিন্ডিকেট, তোলাবাজি নয়ত রাজনৈতিক দুর্বৃত্তি। একটা গোটা প্রজন্মকে অসুস্থ করে তুলেছে এই তৃণমূল নামক দলটি। 

বেসরকারি লগ্নীর ঐতিহাসিক স্বল্পতার কথা মেনে নিয়েও একথা ভোলা যাবে না যে সরকারি চাকরির ক্ষেত্রটিকেও বর্তমান শাসকদল দায়িত্ব নিয়ে ধ্বংস করেছে বিগত ১১ বছর ধরে। রাজ্যের প্রতিটি সরকারি ক্ষেত্রে নিয়োগ নিয়ে একাধিক অস্বচ্ছতার অভিযোগ। প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো সরকারি নিয়োগ নিয়ে মামলা হচ্ছে। প্রতিটি নিয়োগ ঘিরে দুর্নীতির অভিযোগ এবং সবক্ষেত্রেই আঙুল উঠছে তৃণমূলের নেতা বা কর্মীর দিকে। শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ এত তীব্র যে সরকারের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী-সহ গোটা শিক্ষা মন্ত্রকটিই আজ জেলে ঢুকে গেছে। তাদের বাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হচ্ছে আর অন্যদিকে রাজ্যের জনগণ একটা টাকা সৎ পথে উপার্জনের জন্য খেটে মরছে। মন্ত্রী থেকে শাসকদলের যুবনেতা অবধি নিয়ম করে সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দিয়ে বেড়াচ্ছে দুর্নীতির দায়ে। আর অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী দিব্যি আছেন মেলা, খেলা, কার্নিভাল নিয়ে। একদিকে রাজ্যের ক্লাবগুলিকে দেদার অনুদান বিলোচ্ছেন, পরক্ষণেই পুজো কমিটির জন্য রাজ্যের কোষাগার উন্মুক্ত করে দিচ্ছেন। আর এর ফল ভুগছে আম জনতা। 

রাজ্যের কোষাগার ভাঁড়ে মা ভবানী। রাজ্যের বাজেট ঘোষণা বলছে এ রাজ্যে বাজেট ঘাটতি ২০২১-২২ সালে ছিল প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ এ রাজ্যে আয় থেকে ব্যয় বেশী। আর এই ঘাটতির পরিমান ক্রমবর্ধমান। ২০২৯-২০-তে এই ঘাটতি ছিল ৩৬ হাজার কোটি টাকার মত। দু'বছরের ভেতরই সেটা দ্বিগুন হয়েছে। বর্তমান শাসকদল যদিও এর দায় ঠেলেন আগের সরকারের ঘাড়ে কিন্তু তা সর্বৈব সত্য নয়। রিজার্ভ ব্যাংকের তথ্যই বলছে যে বর্তমান সরকারের আমলে ঋণের আসলের পরিমাণ লাফ দিয়ে বেড়েছে। অর্থাৎ যদি রাজ্যের আগের গৃহীত ঋণের সুদ মাফ করে দেওয়া হয় তাহলেও এই সরকার তার ঋণ শোধ করতে পারবে না। রাজ্য আর্থিকভাবে দেউলিয়া হওয়ারই পথে। এর মূল কারণ হল মূলধনী খাতে রাজ্যের ক্রমাগত ব্যয় সঙ্কোচন। কৃষিক্ষেত্রে, নগর উন্নয়ন বা পরিবহনে রাজ্য ক্রমেই বিনিয়োগ কমিয়েছে। ফলে একদিকে গ্রামীন অর্থনীতি ভেঙে পড়ছে অন্যদিকে শহরের অর্থনীতিও ধুঁকছে। ফলে একদিকে যেমন রাজ্যে কোন নতুন কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র তৈরী হয় হচ্ছে না, অন্যদিকে সরকারের রাজস্ব থেকে আয়ও কমছে। আর সরকার বাজার থেকে আরও ধার নিচ্ছে। এই দুষ্টচক্রের থেকে রাজ্যের অর্থনীতিকে বাঁচানোর কোনো উপায় আজ অবধি রাজ্যের সরকার দেখাতে পারেনি। ফলে কর্মহীন বেকারের রাজ্যে রাজস্ব আদায়ের একমাত্র পথ হয়ে দাঁড়িয়েছে মদ বিক্রি করা, তেলের ওপর কর বসানো আর সরকারি নিয়োগের নামে তোলাবাজি। এই ত্র্যহস্পর্শে রাজ্যের নাভিশ্বাস উঠে গিয়েছে। অবস্থা এখন এতই সঙ্গীন যে রাজ্যের অর্থদপ্তরকে প্রতিদিনই বিভিন্ন খাতে খরচ কাটছাঁট করতে হচ্ছে। 

কিন্তু ভোট বড় বালাই। নেই রাজ্যে মানুষকে সাময়িক কিছু স্বস্তি না দিলে আবার শেষকালে গদি খোয়াতে হতে পারে। তাই অনুদানের নামে কিছু উচ্ছিষ্ট ছুঁড়ে দেওয়ার কৌশল নিয়েছেন মাননীয়া। রাজ্যের স্কুলগুলোতে মিড ডে মিলের বরাদ্দ ৪ মাসের জন্য একটু বাড়ানো হয়েছে। ভোট মিটলেই আবার যে কে সেই। তবে এই বরাদ্দ বাড়াতে গিয়ে শাসকের শ্যাম রাখি না কূল রাখি অবস্থা। ফলে হাত পড়েছে তথাকথিত জনদরদী প্রকল্প যেমন লক্ষীর ভান্ডার, স্বাস্থ্যসাথী ইত্যাদি প্রকল্পের বরাদ্দে। যদিও সরকারি বুদ্ধিজীবী, অর্থনীতিবিদরা এইসব জনদরদী প্রকল্পকে ঐতিহাসিক ইত্যাদি বলে থাকেন, কিন্তু এই প্রশ্নটা কেউ করেন না যে একটা রাজ্যের সরকারকে কেন এইসব প্রকল্প চালু করতে হয়? একথা ঠিক যে বর্তমান অর্থব্যবস্থায় গরিব মানুষকে কিছু সুবিধা পৌঁছে দিতেই হবে। কিন্তু সেই সুবিধা এ রাজ্যে অধিকারের বদলে অনুদান হয়ে আসে কেন? রাজ্যের সরকার কেন আরও বেশী সংখ্যক মানুষের হাতে কাজের ব্যবস্থা করতে পারছে না? কেন এ রাজ্য অর্থনীতিতে একটা মাত্রা অবধি স্বনির্ভর হতে পারছে না? কেন রাজ্য ক্রমাগত আরও ঋণের জালে জড়িয়ে পড়ছে? আর যে অনুদান সরকার দিচ্ছে তাতে কি গরীব মানুষের আদৌ কোন সুরাহা হচ্ছে? গ্রামের মানুষ মাত্রেই ভুক্তভোগী যে সরকারি অনুদানের ছিঁটেফোঁটা পেতে গেলেও তৃণমূলের স্থানীয় মাতব্বরদের ঘুষ দিতে হবে। 'দুয়ারে সরকার' হচ্ছে ঘটা করে, কিন্তু তারপর কি মানুষ সুবিধা পাচ্ছেন? যদি পেতেন তাহলে দিদির দূতদের ঘিরে মানুষ বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কেন? আসলে এইসব উত্তর মানুষ জানেন। তারা নিজেদের অভিজ্ঞতায় দেখছেন প্রতিদিন তৃণমূলের সামান্য পঞ্চায়েত সদস্য অবধি নিমেষে বড়লোক বনে গিয়েছে অথচ গ্রামের কোনো উন্নতি হয়নি, গ্রামের মানুষ সেই ঐশ্বর্য্যের ভাগ পাননি। তৃণমূলের নেতাদের গাড়ি, বাড়ি হয়েছে, কিন্তু গ্রামের গরীবের আবাস যোজনার প্রাপ্য জোটেনি, স্বাস্থ্যসাথীর সুবিধা মেলেনি। গ্রামের যুবক-যুবতী পড়াশুনা ছেড়ে ভিন রাজ্যে কাজে গেছে আর গ্রামের তৃণমূলের নেতার বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধার হচ্ছে। শাসক দলের সাথে থাকলে জেলে গিয়েও আরামে থাকা যায়, আর আবাস যোজনার টাকা চাইতে গেলে পুলিশ মেরে জেলে বন্দী করে। 

কিন্তু রাজ্যের শাসক দলের অপরাধ এতেই সীমাবদ্ধ নেই। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে এই রাজ্যের মানুষ এক ফ্যাসিবাদী শক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে তখনকার মতো তৃণমূল দলকে বেছে নিয়েছিল। কিন্তু আজকে রাজ্যের শাসকদল নিজেই আর তার গণতান্ত্রিক কর্তব্য বজায় রাখতে রাজি নয়। পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবহার করে রাজ্যে বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিকে দমন করতে সদা উৎসুক। যদিও রাজ্যের তথাকথিত বিরোধী দল বিজেপির সাথে আজকে অন্তত কাজে বা মতাদর্শে মাননীয়ার কোন ফারাক নেই। সাম্প্রদায়িকতাকে তোল্লাই দেওয়া থেকে বামপন্থী সহ অন্যান্য বিরোধী দলের কর্মীদের পুলিশি ধরপাকড় করানো, গ্রামছাড়া করা, খুন করার মতো সব কাজই করে চলেছে রাজ্যের শাসক দলের তাজা নেতারা। শাসকদলের মাফিয়া রাজনৈতিক নেতাদের কাজকর্ম সম্পর্কে রাজ্যের মানুষ যথেষ্ট ওয়াকিবহাল। মমতা ব্যানার্জি মাঝে মধ্যে বিজেপির বিরুদ্ধে গলা চড়ান বটে, কিন্তু তাঁর বা তাঁর দলের সাথে ক্ষমতায় আসীন বিজেপির রাজনৈতিক কর্মকান্ডের বিশেষ ফারাক আর থাকছে না। একদিকে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন কলমধারী নকশালদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে, বিরোধী স্বর উঠলেই ইউএপিএ-এর মত দানবিক আইন চাপিয়ে জেলে ভরছেন, আর এদিকে মাননীয়ার নেতা পুলিশকে বোমা মারতে বলেও জেলে জামাই আদর পায় আর রাজ্যের একমাত্র অবিজেপি বিধায়ককে জেলে পোরা হয়। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন তাই এ রাজ্যের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন হতে চলেছে। মানুষ বিকল্প খুঁজছেন, চাইছেন এই তৃণমূল নামক গ্রহ বাংলা থেকে বিদায় নিক। কিন্তু বিরোধীরা, বিশেষ করে বাম প্রগতিশীল শক্তিরা কি মানুষের এই আহ্বানে সাড়া দেওয়ার মতন পরিস্থিতিতে রয়েছেন? পঞ্চায়েত নির্বাচন এই প্রশ্নের উত্তর দেবে।