আরেক রকম ● একাদশ বর্ষ চতুর্বিংশ সংখ্যা ● ১৬-৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ ● ১-১৫ পৌষ, ১৪৩০

প্রবন্ধ

হেনরি, মহুয়া মৈত্র বনাম সরকারি ব্যাঙ্কের তামাদি ঋণ ও বোধন

শুভময় মৈত্র


দিনকয়েক আগেই লোকসভা থেকে বহিষ্কৃত হলেন মাননীয়া সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তবে এই আলোচনা যতটা না রাজনৈতিক, তার থেকে বেশি বহিষ্কৃত হওয়ার পর সুকান্তর 'বোধন' কবিতা স্মরণ করা নিয়ে। সাংসদ লোকসভার বাইরে বেরিয়েই ঘোষণা করেছেন -
আদিম হিংস্র মানবিকতার যদি আমি কেউ হই
স্বজন হারানো শ্মশানে তোদের
চিতা আমি তুলবোই।

সেই সূত্রেই ১৯৪৭ সালে প্রকাশিত ‘ছাড়পত্র’ কাব্যগ্রন্থের 'বোধন' কবিতা নিয়ে চর্চা। ছোটোবেলা থেকেই আমাদের ভাব সম্প্রসারণ করে জীবন শুরু। কবি কী ভেবেছেন তাই নিয়ে কবির থেকে আমাদের ভাবনা বেশি। আপাতত শুধু কবির ভাবনা নয়, মাননীয়া সাংসদ কী ভেবে কবির কথা তুলে ধরেছেন তাই নিয়ে মেটা-বিশ্লেষণ। যাই হোক সুকান্ত ভট্টাচার্য অন্তত সংসদের বাইরে উল্লেখিত হয়েছেন - বাঙালির আত্মশ্লাঘা আসা স্বাভাবিক। অন্যদিকে তৃণমূল-বিজেপি দ্বন্দ্ব সামলাতে তাঁর পঙক্তি ব্যবহারে বঙ্গ-সাহিত্য এবং বঙ্গ-রাজনীতি কতটা উজ্জীবিত হল, সে আলোচনাও চলতে পারে।

তবে ওই কবিতার তো অন্য কিছু কথাও আছে, যার জন্যে কবি অনেক বিনিদ্র রাত খরচ করেছেন। তাই শুরুটা একবার পড়ে নেওয়া যাক -
হে মহামনব, একবার এসো ফিরে’
শুধু একবার চোখ মেলো এই গ্রাম নগরের ভিড়ে,
এখানে মৃত্যু হানা দেয় বারবার;
লোকচক্ষুর আড়ালে এখানে জমেছে অন্ধকার।

এখন এই প্রশ্ন তো থাকবেই যে গ্রাম নগরে বিজেপি, তৃণমূল বা কংগ্রেসের যে রাজনীতি, সেখানে লোকচক্ষুর আড়ালে কতটা অন্ধকার জমেছে!

গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার মূল কাঠামোটাই তো বিরোধিতার। ফলে সেখানে তৃণমূল বিজেপির দ্বন্দ্বে আপত্তির কারণ নেই। একইসঙ্গে কংগ্রেস এই বাজারে তৃণমূলের নেতৃত্ব মেনে নেওয়ার জন্যে উদগ্রীব। কারণ ভারতবর্ষে গরিষ্ঠতা জুটুক বা না জুটুক, সামনের বসন্তে পশ্চিমবঙ্গে জোড়াফুলের সঙ্গে জোট করলে একজোড়া আসন ফুটবে তা নিশ্চিত। আজকের দিনে দেশের সবথেকে শক্তিশালী দল বিজেপির অসুবিধে কম, কারণ তারা তাদের নির্দিষ্ট ভাবনা অনুযায়ী সময় বুঝে বিরোধী বেছে নেওয়ার ক্ষমতা ধরে। কিছুদিন আগে রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ হওয়া নিয়ে লম্বা সময় ধরে হইচই হল। মাঝে গুজরাট বিধানসভায় বিজেপির ক্লিন সুইপ। মহুয়া নিয়ে আলোচনা শুরু করার পর হিন্দি হার্টল্যান্ডে তিনে তিন, দখল হল মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় আর রাজস্থান। এখন লোকসভা নির্বাচনের দামামা বাজার সময় তৃণমূলকে প্রতিপক্ষ হিসেবে অধিকতর প্রাসঙ্গিক করে তুললে ভোটবাজারে বিরোধী জোটকে গুলিয়ে দিয়ে বিজেপির আসন গোছানোর সম্ভাবনা বাড়বে।

প্রশ্ন হল এই অগভীর রাজনৈতিক দ্বন্দ্বগুলিকে ভাসিয়ে রাখতে হয় কেন?

তার কারণ মিশ্র অর্থনীতির যে মূল ধারা, তাতে বিজেপি এবং কংগ্রেসের কোনো পার্থক্য নেই। সকলেই জানেন যে, বহুজাতিক সংস্থাকে সরকারি ব্যাঙ্কের বৃহৎ ঋণ পাইয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে এই দুই দলই পটু। গত কয়েক বছর ধরে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের প্রায় পঁচিশ লক্ষ কোটি টাকা যে তামাদি হয়ে গেছে, তার হিসেব এই দুই দল একই খাতায় লেখে।

উল্টোদিকে আছে জনমুখী ভাবনা। সেখানে উদাহরণ, তৃণমূলের 'লক্ষ্মীর ভান্ডার' থেকে বিজেপির 'লাডলি বহনা' যোজনা। কংগ্রেসও কর্ণাটকে পিছিয়ে নেই। একটু লক্ষ্য করলেই বুঝবেন এর সঙ্গে কিন্তু একশো দিনের কাজের যে মনরেগা প্রকল্প তার কিঞ্চিৎ তফাৎ আছে। সেখানে মানুষের হাতে কাজ পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল, টাকা নয়। অর্থাৎ কাজ করে টাকা। এখানে মানুষের হাতে যাচ্ছে টাকা, কাজ নয়। হেডমাস্টারের মতো বেত হাতে দাঁড়িয়ে ষাটের ওপর বামপন্থী সাংসদ যখন কংগ্রেসকে শাসন করেছিল, তখন ইউপিএ জোটকে অঙ্ক কষতে হয়েছিল অনেক বেশি। আজকাল তো বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিম্নবিত্তের হাতে টাকা পৌঁছে দিয়ে নতুন আবিষ্কারের গল্প শোনাচ্ছেন। পিছিয়ে থাকা মানুষের হাতে সুবিধে পৌঁছে দিয়ে তাদের সামগ্রিক উন্নয়ন, এটা সভ্য মানুষের সাধারণ ভাবনা, অন্তত হাজার বছর আগে থেকে। পুঁজিবাদও তাই গরিবের কাছে চুঁইয়ে পড়া সম্পদের গল্প শোনায়। গত শতকে এই নিয়ে তাত্ত্বিক পড়াশোনাও হয়েছে প্রচুর। কাজ করিয়ে টাকা, নাকি কর্মহীন অর্থ - কোনটা ভালো এই নিয়েও গবেষণার অন্ত নেই। ফলে দেশ বা রাজ্যের কোনো প্রধানমন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রী নিম্নবিত্তের উপকার করে অর্থনীতিতে নোবেল পাবেন এই সম্ভাবনা কম। তাঁরা আদতে জনস্বার্থে খুব স্বাভাবিক কয়েকটি বিষয় রূপায়ণের চেষ্টা করছেন।

শাসকেরা হাড়ে হাড়ে বুঝেছেন যে নিম্নবিত্তের মানুষের কাছে তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে সব খবর অনায়াসে পৌঁছে যাচ্ছে। তাদের ভোট ভারতে প্রায় আশি শতাংশ, এবং তাদের ভোটেই জিততে হবে। বহুজাতিক সংস্থা বড়জোর নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে সরকারের কাছ থেকে নেওয়া টাকার একটা অংশ দলকে ফিরিয়ে দেবে। আসল কথা হল ভোটটা দেবেন সাধারণ মানুষ। পশ্চিমবঙ্গ বা ত্রিপুরার পঞ্চায়েত নির্বাচনের মতো তো আর লোকসভায় ‘জোর যার মুলুক তার ভোট’ করানো যাবে না। ফলে সাধারণ মানুষকে খুশি রাখতেই হবে।

এই জায়গাতেই দ্বন্দ্ব। সব বড় রাজনৈতিক দল যখন বুঝতে পারছে যে নিম্নবিত্ত মানুষ নিজেদের সুবিধে বুঝে নিয়েই ভোট দেবে, তখন রাজনীতির ভরকেন্দ্রকে সরিয়ে দিতে হবে অন্য দিকে। সেখানে মাননীয়া সাংসদের বহিষ্কার বেশির ভাগ রাজনৈতিক দলকেই হাঁফ ছাড়ার সুযোগ দেবে, বিশেষ করে যারা কেন্দ্র বা কোনো রাজ্যের শাসক।

সেই অগভীর ইতিহাসের আধখাপচা আলোচনা এবার শুরু করা যাক, যা কিনা, অদ্ভুতুড়ে পরাবাস্তবতা আর যুক্তিহীনতার ঝালমুড়ি। হেনরি মন খারাপ করে বসে আছে। মহুয়া আর জয়ের ঝগড়া। দখলদারদের ঝগড়ায় এমনটাই হয়। জমি হলে প্যালেস্তাইন, মানুষ হলে ছেলে-মেয়ে, কুকুর হলে পোষ্য। যেমন বাপ-মা যখন বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে ক্ষেপে ওঠে, তখন ভালোবাসার দখলদারিতে সন্তান-সন্ততির অসহায়তার কথা সামনে আসে বারবার। শিশু বা কিশোর পড়ে মহা বিপদে। কার কাছে কতক্ষণ থাকবে সেই নিয়ে। এইবার আইন বলল বালিকা বা কিশোরী একজনের কাছে থাকবে, নিয়ে চলে গেল অন্যজন। তখন থানায় লিখিত অভিযোগ। এই ভালোবাসার অত্যাচার তো শুধু মানুষে মানুষে হতে হবে এমন নয়। বিশেষ করে না-মানুষরা সাধারণত অমানুষ হয় না। তো হেনরির একই সমস্যা, যা বিবাহবিচ্ছেদ সংক্রান্ত গোলমালে হামেশাই দেখা যায়। হেনরিকে কিনেছিলেন জয়। অন্তর্জালে হাতে গরম বিল দেখা যাচ্ছে। শুরুতে দশ হাজার, তারপর আরও পঁয়ষট্টি। মোট পঁচাত্তরে ছোট্ট হেনরিকে ঘরে এনেছিল যখন, তখন তার বয়স চল্লিশ দিন। গল্পে আবার জয় আর মহুয়ার বন্ধুত্ব। স্বাভাবিকভাবেই হেনরি দুজনের সঙ্গেই সুসম্পর্ক বজায় রাখে। এবার হেনরিকে নিয়ে টানাটানি। রাজনৈতিক নেতাদের মতোই হেনরির অবস্থান বদল হচ্ছে। জয় বলছেন, হেনরিকে ঘেউ ঘেউ করিয়ে নাকি মহুয়া সিবিআই-এর কর্মকর্তাদের ভয় দেখানোর তাল করছিলেন। এমনিতেই ইউজার নেম আর পাসওয়ার্ড-এর ইলেকট্রন দুবাই থেকে এসেছে কিনা তাই নিয়ে সাইবার লড়াই, তার মধ্যে শব্দতরঙ্গে গণতন্ত্রের ঘেউ ঘেউ। এই জায়গায় গোটা দেশের জনগণ খুবই উদগ্রীব এবং উৎসুক হয়ে আছেন। সব ভুলে তাই বহিষ্কারের প্রেক্ষিতে হেনরির কথা জানতে চায় সারা ভারত।

আগামী লোকসভায় কৃষ্ণনগরে কে প্রার্থী হবেন তাই নিয়ে তৃণমূলের চিন্তনদল বেশ ব্যস্ত, তাই শুরুতে মহুয়া সংক্রান্ত বিষয়ে তাঁরা দূরত্ব বজায় রেখেছিলেন - সেই সময় সব দায় ব্যক্তিগত। তারপর লোকসভায় হাওয়া গরম হতেই তৃণমূল আবার দলগতভাবে মহুয়ামুখী। বিজেপিরও দেশের এক নম্বর দল হিসেবে এই প্রশ্ন কেনাবেচা নিয়ে প্রশ্ন তোলার দায় আছে। তাঁদের চিন্তনদলেও চিন্তাবিদের অভাব নেই। সঙ্গে আছে আরএসএস-এর গভীরতর ভাবনা। ফলে সেখানে অবশ্যই অঙ্ক কষা হয়েছে যে, প্রশ্ন না করে কেউ আবার সুবিধে পেলেন কিনা।

রাজনীতির দোসর সংবাদ-ব্যবসায় তত্ত্বের চেয়ে ফলিত কৌশল বেশি কাজের। সেখানে অনেক বেশি আকর্ষণীয় বিকেলের খুচরো খবর। সেই প্রেক্ষিতে রটওয়েলার প্রজাতির হেনরি যে গত কয়েক বছরে সিকি কোটি কোটি (দুটো কোটি ভুল করে লেখা হয়নি) তামাদি হয়ে যাওয়া সরকারি ব্যাঙ্কের টাকার বিষয় ভুলিয়ে দিতে অনেক বেশি মুচমুচে, সেকথা গোটা দুনিয়ার শাসক জানে। স্বাভাবিক অঙ্কেই আমাদের দেশ এবং রাজ্যের দুই শাসক দলও বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত। পেট ভরা থাকলে এই ধরনের উচ্চ প্রজাতির সারমেয় নিয়ে রাজনীতি অবশ্যই শীতাতপনিয়ন্ত্রিত বৈঠকখানায় চিন্তাশীলতায় শান দিতে সাহায্য করে। এর মধ্যে তুলনায় আসে মহাভারত, মহুয়ার সঙ্গে এথিকস কমিটির টানাপোড়েনে। তবে শেষ বাজারে সুকান্ত, যার জন্মদিন ১৫ই আগস্ট আর মৃত্যুর বছর ১৯৪৭।

এবার উপরোক্ত দৃষ্টিবিভ্রম থেকে ফিরে একটু ভাবুন তো সংসদের সার্ভারের কথা, মহুয়া মৈত্র যে কারণে কেস খেলেন। তিনি যখন দুবাইতে ছিলেন না তখন নাকি সেখান থেকে লগইন করা হয়েছে তাঁর অ্যাকাউন্টে। এর সমস্ত ডেটা লগ থাকে সার্ভারে। সুতরাং এখানে মূল প্রশ্ন হল গোটা বিষয়টার সুরক্ষা সংক্রান্ত নীতির বিষয়ে। দেখার প্রয়োজন প্রতিটি সাংসদ ঠিক কীভাবে তাঁর অ্যাকাউন্ট অ্যাকসেস করেছেন। কেউ তো মাথার দিব্যি দেয়নি যে সব সাংসদকে কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ হতে হবে। ফলে তাঁদের সচিবালয়ের দায়িত্ব এই বিষয়গুলিতে নজর রাখার। অবাক করার মতো বিষয়, কোনো রাজনৈতিক দল জনসমক্ষে এই স্ট্যাটিস্টিক্স নিয়ে অনুসন্ধানের কথা বলছেন না। এটা বিশ্লেষণ করলেই কিন্তু বোঝা যেত অনলাইনে কে কীভাবে বাইরে থেকে কতবার সার্ভার দর্শন করছেন। সত্যিই কি মহুয়া মৈত্র যা করেছেন সেই কাজ অন্য কেউ করেননি? আইনের বিচার নয়, দেশের সাংসদদের সুরক্ষার জন্যে এবং সর্বোপরি দেশের সুরক্ষার জন্যে এই বিষয়টি বোঝা সবথেকে জরুরি। বলাই বাহুল্য, আমাদের দেশের প্রতিটি নাগরিকের অধিকার আছে সেই তুলনামূলক সার্ভার ব্যবহার সংক্রান্ত তথ্যের নির্যাস জানা। অত্যন্ত অদ্ভুত বিষয়, কোনো রাজনৈতিক দল থেকেই এই প্রশ্ন উঠছে না। এর মধ্যে বামপন্থীরাও আছেন।

এমনিতেই সংসদে বামপন্থীদের সংখ্যা হ্রাস গোটা দেশের কাছে শঙ্কার কারণ। রাষ্ট্রবাদী এবং পুঁজিবাদী শক্তি তো চাইবেই সংসদীয় ব্যবস্থায় কম্যুনিস্টরা না থাকুক। একইসঙ্গে একটি দেশের জনমুখী ব্যবস্থা আশা করে বাম ধারার প্রতিনিধিত্ব বজায় থাকুক সংসদে, যারা নীতির ভিত্তিতে নিম্নবিত্ত মানুষের কথা বলবে, তত্ত্বের ভিত্তিতে সমাজতন্ত্রের কথা বলবে, শুধু ভোটের জন্যে নয়। অন্যদিকে সংসদে আসতে গেলে ভোটেই জিততে হবে। এই দ্বন্দ্বের সমাধান করাই আপাতত গত প্রজন্মের কালিদাসী বামপন্থীদের সামনে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ, যাঁরা প্রথম ইউপিএ সরকারে নিজেদের বিপুল সাফল্যকে অসামান্য দক্ষতায় ত্যজ্যপুত্র করে বেরিয়ে এসেছেন। দেশের মানুষের স্বার্থ ভুলে মার্কিন দেশের পরমাণু চুক্তি কপচাতে গিয়ে সংসদে এখন তাঁরা এক অঙ্কে। 'লায়ন কিং' সিনেমায় দূরদৃষ্টিসম্পন্ন বাঁদর বেচারা সিংহকে মনে করিয়ে দিয়েছিল, “আই নো হু ইউ আর”। বামপন্থী নেতা নয়, সাধারণ জনগণকেই সম্ভবত সেই দায় নিতে হবে। নইলে প্রধানমন্ত্রীর পোশাক, মুখ্যমন্ত্রীর চটি, কিংবা সাংসদের উপহারী স্নো-পাউডারের দাম নিয়েই আলোচনা চলবে। সেই দুর্ভাগ্যেই শেষ করতে হচ্ছে 'বোধন' কবিতার দুটি পঙক্তি দিয়ে -

"ভাঙা ঘর, ফাঁকা ভিটেতে জমেছে নির্জনতার কালো,
হে মহামানব, এখানে শুকনো পাতায় আগুন জ্বালো।"