আরেক রকম ● একাদশ বর্ষ একবিংশ সংখ্যা ● ১-১৫ নভেম্বর, ২০২৩ ● ১৬-৩০ কার্তিক, ১৪৩০

সম্পাদকীয়

অত্যাচারিত প্যালেস্তাইনের পক্ষে


৩৬৫ বর্গকিলোমিটার এলাকায় ২৩ লক্ষ মানুষের বাস। অর্থাৎ প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ৬,৫০৭ মানুষ। যাদের একদিকে ভূমধ্যসাগর, অন্যদিকে তাদের দেশ যেখান থেকে বহু বছর আগে তারা বিতাড়িত, যা এখন হানাদারদের দখলে। এলাকার সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য ৪০ কিলোমিটার, প্রস্থে সর্বনিম্ন ৬ এবং সর্বোচ্চ ১২ কিলোমিটার। মানুষগুলির কোথাও যাওয়ার নেই। কেউ তাদের সঙ্গে দেখা করতে আসে না। কোথাও যেতে হলে অথবা কাউকে আসতে হলে দখলদারদের অনুমতি লাগে। গাজা ভূখণ্ড, পৃথিবীর সর্ববৃহৎ খোলা জেলখানা।

কথাটি বহুল প্রচলিত হলেও আসলে বিভ্রান্তিকর। জেলখানাতেও আপনার আপনজনের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি পাওয়া যায়। শাস্তির মেয়াদ শেষ হলে আপনি জেলখানা থেকে বেরোতে পারেন। জেলে থাকাকালীন আপনি শিক্ষা-স্বাস্থ্য-খাদ্য এই পরিষেবাগুলি পেয়ে থাকেন। সর্বপরি জেলে থাকলেও আপনার উপরে দিবারাত্র বোমা-গুলি বর্ষণ হয় না। কিন্তু গাজাতে হয়।

সেখানকার মানুষ নিজের দেশেই বন্দী। তাদের স্বাধীনতা বলে কিছু নেই। তাদের চাকরি নেই। নামমাত্র শিক্ষা-স্বাস্থ্য তাদের প্রাপ্য, যার অধিকাংশই আন্তর্জাতিক অনুদানের উপর নির্ভরশীল। সেই গাজায় ইজরায়েল বন্ধ করে দিয়েছে জ্বালানি সরবরাহ, জল সরবরাহ, বিদ্যুৎ। এমনকি খাদ্য নিয়ে লরি পর্যাপ্ত পরিমাণে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। ১০ লক্ষ মানুষকে বলা হয়েছে দক্ষিণ গাজায় সরে যেতে কারণ ইজরায়েলি সেনা স্থলপথে ঢুকছে গাজায়। তদুপরি চলছে নিরন্তর বোমাবর্ষণ। সমস্ত ইন্টারনেট, টেলিফোন বন্ধ রেখে চলছে বোমাবর্ষণ, ট্যাঙ্কের আক্রমণ। কেউ জানতে পারছে না কী হচ্ছে গাজাতে। আপাতত জানা গেছে ৭ অক্টোবরের পরে গাজায় নিহত মানুষের সংখ্যা ৮৫০০ ছাড়িয়ে গেছে। এর প্রায় ৫০ শতাংশ শিশু।

কিন্তু তাই বলে কি পৃথিবীর ক্ষমতাবান মানুষেরা এই ভয়ঙ্কর নরসংহারের বিরুদ্ধে মুখ খুলছে! যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গোটা দুনিয়ার ঠেকাদার, যারা নাকি গণতন্ত্র রপ্তানি করার জন্য অন্য দেশকে আক্রমণ করতেও পিছপা হয় না, তারা বুক ঠুকে বলছে যে তারা ইজরায়েলের পক্ষে। ইজরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে, কারণ ইজরায়েলের উপর ৭ অক্টোবর যেই আক্রমণ সংগঠিত করেছে গাজার শাসক হামাস, তার যোগ্য জবাব দিতে হবে।

হামাসের ভয়াবহ আক্রমণে ইজরায়েলে ১,৪০০-র বেশি মানুষের প্রাণ গেছে। সন্দেহ নেই যে এই ভয়ংকর আক্রমণ মেনে নেওয়া যায় না। ইজরায়েলের নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করার অধিকার হামাসকে কেউ দেয়নি। কিন্তু গাজার শিশুরা, মহিলারা, গাজার আপামর জনসাধারণ সবাই কি হামাসের সদস্য? কখনই নয়। তাহলে কেন গোটা এলাকাকে অবরুদ্ধ রেখে তাদের উপর এই পৈশাচিক আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে ইজরায়েল?

কারণ ইজরায়েলের লক্ষ হামাসকে খতম করা নয়। বরং ইজরায়েলের সংবাদপত্র 'হারেৎজ'-এর পাতা উলটে দেখুন। তারা বহু প্রতিবেদনে তথ্য দিয়ে জানিয়েছে কীভাবে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতিনেয়াহু হামাসের সঙ্গে সখ্য পাতিয়েছেন। হামাসের আক্রমণের ঠিক আগে নেতিনেয়াহু-র বিরুদ্ধে গোটা দেশে আন্দোলন চলছিল। কিন্তু হামাসের আক্রমণ সেই আন্দোলনকে খতম করেছে। এখন নেতিনেয়াহু দেশের ভিতর নয় লড়ছেন দেশের বাইরে, পালেস্তাইনের সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে।

ইজরায়েলের আসল লক্ষ প্যালেস্তিনি আরবদের নিকেশ করা। ঐতিহাসিক প্যালেস্তাইন থেকে সমস্ত আরবদের বিতাড়িত করা যায়নি। তাদের জমি কেড়ে নেওয়া হলেও তারা রয়ে গেছে ইজরায়েলের গায়ে লেগে। তাই তাদের সরিয়ে দিলেই শান্তি। দুটি উপায় আছে। এক তাদের তাড়িয়ে অন্য দেশে পাঠানো। অথবা তাদের নিকেশ করা। তাই যখন আপাত শান্তি, যখন হামাস রকেট ছুঁড়ছে না, তখনও প্যালেস্তিনি সাধারণ মানুষদের নির্বিচারে হত্যা করছে ইজরায়েল সেনা। কয়েকটি তথ্যের দিকে তাকানো যেতে পারে। রাষ্ট্রপুঞ্জের হিসাব অনুযায়ী ২০০৮ থেকে ২০২২ অবধি গাজায় ইজরায়েলি হানায় মৃত্যু হয়েছে ৫,৩৩১ জনের যাদের মধ্যে ৩,১৭৭ জন মৃত হয়েছেন ইজরায়েলি বিমান হানায়। প্যালেস্তাইনের অন্য ভূখণ্ড ওয়েস্ট ব্যাঙ্কে এই একই সময় একই কারণে মৃত্যু হয়েছে ৮১৮ জনের। অর্থাৎ মোট মৃতের সংখ্যা ৬,১৪৯ জন পালিস্তিনি মানুষের। এই একই সময় ইজরায়েলে মৃত মানুষের সংখ্যা ৩১। অর্থাৎ যখন ইজরায়েলের ১,৪০০ মানুষ এক লহমায় মৃত্যুবরণ করা দূরে থাক, যখন ১৪ বছরে ইজরায়েলের মাত্র ৩১ জন মানুষ মারা গেছেন তখন পালেস্তাইনের ৬,১৪৯ জন মৃত। কে তাহলে আগ্রাসন চালাচ্ছে? প্যালেস্তাইনের মানুষ, নাকি ইজরায়েলের রাষ্ট্র?

প্যালেস্তাইন এবং ইজরায়েলের সংঘর্ষের দীর্ঘ ইতিহাস এই সম্পাদকীয় কলামে লেখা সম্ভব নয়, বা উদ্দেশ্যও নয়। কিন্তু আন্তর্জাতিক ও ভারতীয় মিডিয়া যেইভাবে ইজরায়েলের হয়ে সওয়াল করে চলেছে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তথা ইংল্যান্ড, ফ্রান্স-সহ সমস্ত ইউরোপীয় দেশ ইজরায়েলকে সমর্থন করে চলেছে তার থেকে দুটি বিষয় স্পষ্ট। প্রথমত, ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী বা শক্তি কখনও ন্যায়ের পক্ষে থাকে না। যারা বর্তমান দুনিয়ায় ক্ষমতার অধিকারী, যারা তথাকথিত গণতান্ত্রিক পরিকাঠামোর মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় এসেছেন, যারা সাম্য-ন্যায়ের কথা বারংবার বলে যান, আসলে সাম্য-ন্যায় তাদের হাতেই বারংবার ভূলুন্ঠিত হয়। তাই একদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া হানাদার এবং তারা অসামরিক ব্যক্তিদের ইউক্রেণে আক্রমণ করছে, এই অভিযোগ তুলে ইউক্রেণকে অর্থ-অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করে, তারাই আবার ইজরায়েলের আগ্রাসী ও দখলদারি আক্রমণ যা হাজার হাজার নিরস্ত্র মানুষের মৃত্যুর কারণ, তার জন্যেও অর্থ-অস্ত্রের সাহায্য পাঠায়। সাধারণ মানুষ এই নীতিকে দ্বিচারিতা বলবেন। কিন্তু আন্তর্জাতিক রাজনীতির আঙিনায় ক্ষমতাবানদের, বিশেষ করে যাদের সামরিক শক্তি প্রশ্নাতীত, তারা তাদের গায়ের জোরে যেই পৃথিবী তৈরি করতে চান, সেখানে ন্যায় বলে কিছু নেই। ক্ষমতা যেটাকে ন্যায় বলে মনে করবে, সেটাই ন্যায়। ক্ষমতা যাকে অন্যায় বলে মনে করবে সেটাই অন্যায়। তাকে দমন করতে হাজারো সাধারণ নিরস্ত্র মানুষকে যদি হত্যা করা হয়, তাহলে ক্ষমতাবানরা হোয়াইট হাউস থেকে বলবেন অশ্রু সংবরণ করতে। কারণ যুদ্ধ বিভৎস ও নির্মম। সেখানে সাধারণ মানুষদের নিয়ে অত ভাবলে চলে না।

অন্যদিকে, প্যালেস্তাইনের বাসিন্দাদের উপর লাগাতার অত্যাচার চললেও তারা পৃথিবীর সমর্থন প্রায় পান না বললেই চলে। যারাও বা সমর্থন করে, তারা দুই-একটা বিবৃতি দিয়েই তাদের কর্তব্য সম্পূর্ণ করেন। কিন্তু পালেস্তিনিদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করার ইচ্ছা এমনকি আরব দেশগুলির মধ্যেও দেখা যায় না। কারণ পালেস্তাইনের মানুষ, গরীব, দরিদ্র। তাদের না আছে অর্থবল, না আছে অস্ত্রবল। তাই তাদের কী হল না হল তা নিয়ে দুঃখ হতেই পারে, কিন্তু রাষ্ট্রশক্তির হিসেবে সেই দুঃখ কখনই প্রতিরোধে পর্যবসিত হয় না, কারণ প্যালেস্তাইনের মানুষের কাউকে কিছু দেওয়ার নেই।

তবু প্যালেস্তাইন লড়ছে এবং লড়বে। পৃথিবীর সমস্ত ক্ষমতাবানদের থেকেও অধিক ক্ষমতাবান সাধারণ মানুষের মুক্তির জন্য লড়াইয়ের জেদ। অবদমিত মানুষ শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়বে। প্যালেস্তাইনকে তাই বোমা দিয়ে ধ্বংস করা যাবে না। হাজারো মানুষের মৃত্যু হচ্ছে এবং হবে। কিন্তু প্যালেস্তাইনের লড়াই একদিন সফল হবেই। কারণ মুক্তিকামী মানুষ কখনও পরাজিত হতে পারে না। ইতিহাস আমাদের সেই শিক্ষাই দেয়।

কিন্তু এই জয় অনায়াসে আসবে না। প্যালেস্তাইনের মানুষের সপক্ষে গোটা ইউরোপ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে যে লাখো মানুষ রাস্তায় নেমেছেন, তাদের লড়াই আরো জোরদার করতে হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইংল্যান্ডের মতন দেশগুলির সরকারকে বাধ্য করতে হবে ইজরায়েলকে সমর্থনের নীতি থেকে সরে আসতে। গোটা বিশ্বে ধিকৃত ইজরায়েলের মাথার উপর থেকে আমেরিকার হাত সরে গেলে ইজরায়েলের দাদাগিরির দিন ফুরিয়ে যাবে। তাই শুধুমাত্র পালেস্তিনি মানুষের পক্ষে থাকাই যথেষ্ট নয়। ইউরোপ, আমেরিকার দেশগুলিকে বাধ্য করতে হবে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করতে।

এই প্রসঙ্গেই আসতে হয় ভারতে। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের অবিসংবাদী নেতা মহাত্মা গান্ধী সরাসরি মত দিয়েছিলেন যে প্যালেস্তাইনকে ইহুদিদের ভূমি হিসেবে গড়ে তোলা অন্যায়। প্যালেস্তাইনের মানুষই প্যালেস্তাইনের মালিক। স্বাধীনতা সংগ্রামের পরে স্বাধীন ভারত জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনে নেতৃত্বপ্রদান করে প্যালেস্তাইনের প্রশ্নে বরাবর প্যালেস্তাইনের মানুষের পক্ষে থেকেছে তাদের স্বাধীনতার জন্য আন্তর্জাতিক মঞ্চে জোরালো দাবি জানিয়েছে।

কিন্তু বর্তমানে হিন্দুত্ববাদীদের মধ্যে ইজরায়েলকে সমর্থন করার এক ভয়ঙ্কর ঝোঁক লক্ষ্য করা যাচ্ছে। হিন্দুত্ববাদীরা সামাজিক মাধ্যমে বলছেন যে মুসলমানদের উচিত শিক্ষা দিতে তারা ইজরায়েলের হয়ে যুদ্ধ করতেও প্রস্তুত। ইজরায়েলের জয়ের জন্য মন্দিরে পূজা দেওয়া হচ্ছে, মিছিল বেরোচ্ছে। যেই দেশ ২০০ বছর পরাধীন ছিল, সেই দেশের কিছু হিন্দুত্ববাদী মূর্খ আরেকটি দেশকে পরাধীন রাখার পক্ষে লাগাতার প্রচার চালাচ্ছে। অন্য কোনো সময় হলে বিষয়টিকে হয়ত এত গুরুত্ব দেওয়ার দরকার পড়ত না। কিন্তু বর্তমান ভারতের শাসকরাও এই একই হিন্দুত্ববাদী মতাদর্শে বিশ্বাসী। তাই প্রধানমন্ত্রী ইজরায়েলের সপক্ষে বক্তব্য রাখেন হামাসকে নিন্দা করে। কিন্তু যখন রাষ্ট্রপুঞ্জে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করার পক্ষে প্রস্তাব পেশ করা হয়, তখন ভারত সরকার সেই প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত থাকে। মতাদর্শ যাই হোক না কেন, মানবিকতার খাতিরে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দিচ্ছে সেই দেশ, যারা গোটা পৃথিবীকে অহিংসার রাজনীতি শিখিয়েছে। যেই প্রধানমন্ত্রী স্বঘোষিত বিশ্বগুরু, সেই প্রধানমন্ত্রী পৃথিবীর অধিকাংশ দেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছেন রাষ্ট্রপুঞ্জে। এশিয়ার সমস্ত দেশ যেই প্রস্তাবের পক্ষে, ভারত তাতে বিরত থাকল। মধ্য প্রাচ্য তথা আরব দুনিয়ায় ভারতের যে উচ্চ আসন রয়েছে, ভারতের যে সম্মান রয়েছে তা ভূলুন্ঠিত হল কারণ ভারতের সরকার যেকোনো সমস্যাকেই তাদের ক্ষুদ্র এবং সংকীর্ণ সাম্প্রদায়িক হিন্দুত্ববাদী মানসিকতা দিয়েই দেখে।

অতএব, আমরা যারা ভারতে থাকি এবং যেকোনো সাম্রাজ্যবাদী তথা উপনিবেশবাদী নীতির বিপক্ষে, আমাদের লড়াইয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিন্দুত্ববাদ তথা বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন জোরদার করা। আমরা যদি ভারতে থেকে প্যালেস্তাইনের মানুষের পক্ষে অবস্থান নিয়ে তাদের লড়াইকে শক্তিশালী করতে চাই, তাহলে আমাদেরকে দেশে আন্দোলন সংঘটিত করে ভারত সরকারকে বাধ্য করতে হবে প্যালেস্তাইনের পক্ষে অবস্থান নিতে, যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবকে অবিলম্বে সমর্থন করতে। মোদী সরকার প্যালেস্তাইনের স্বাধীনতার প্রশ্নে ভারতের পুরোনো অবস্থান থেকে খুব বেশি সরে আসেনি। কিন্তু তারা অনেক বেশি করে ইজরায়েল ও আমেরিকার অক্ষের অংশ হয়ে উঠেছে। এই প্রবণতা আটকাতে হলে হিন্দুত্ববাদী মোদী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগঠিত করতে হবে। ভারতে হিন্দুত্ববাদী সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়াই বিশ্বের প্রেক্ষাপটে প্যালেস্তাইনের মানুষের স্বাধীনতার লড়াইকেই জোরদার করবে।