আরেক রকম ● একাদশ বর্ষ প্রথম সংখ্যা ● ১-১৫ জানুয়ারি, ২০২৩ ● ১৬-২৯ পৌষ, ১৪২৯

প্রবন্ধ

সঞ্জয় উবাচ


রাস্তাই রাস্তা

সঞ্জয় বললেন, মহারাজ আপনি ত্রিকালদর্শী প্রজ্ঞাচক্ষু কুরুবৃদ্ধ। রাজ্য ও রাষ্ট্রশক্তির উত্থান পতন বিষয়ে আমি আর আপনাকে কী বলব। ক্ষমতার দ্বন্দ্ব, রেষারেষি, স্বার্থের টানাপোড়েন, আপনি কিছু কম দেখেননি। তাও আমি প্রজাতন্ত্রে এ বিষয়ে সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে দু-একটা সংবাদ দেব।

বলো সঞ্জয়, তুমি আমাকে যা সংবাদ দেবে তাতেই আমার জ্ঞানচক্ষু আরো উন্মীলিত হবে আমি জানি।

আজ আমি দুটো আলাদা আলাদা বিষয়ে চিন ও পারস্যদেশের কিছু সাম্প্রতিক ঘটনা আপনার কাছে বিবৃত করব। অনুমতি প্রার্থনা করি মহারাজ।

আমাকে কোনো ঘটনার বর্ণনা শোনাবার জন্য তোমার অনুমতির কোনো প্রয়োজন নেই সঞ্জয়। সেকাজেই তুমি দৈবাদিষ্ট।

সে বিষয়ে আমি সম্যক অবহিত। তবু আমার কুণ্ঠার কারণ এই যে, এখন আমি যে-কথা আপনাকে জানাতে মনস্থ করেছি তার ঘটনাস্থল ঘটনাক্রমে ভারত ভূখণ্ডের বাইরে অবস্থিত।

এ নিয়ে তুমি দ্বিধা কোরো না, সঞ্জয়। আমি জানি আমাদের কালের ভৌগোলিক পরিধিতে আজকের বাস্তব পৃথিবী কিংবা মানস পৃথিবী, এর কোনোটাই ধারণ করা সম্ভব না।

মহারাজ, এই আপনার প্রকৃত প্রজ্ঞাদৃষ্টি। নিজের সময়ে বাঁধা পড়ে যাননি আপনি। আপনার সঙ্গ তাই আমার এত অভীষ্ট।

বলো, তুমি যে চিন ও পারস্যের কথা তুলেছ তাতে আমি কৌতূহলী। অতি প্রাচীন দুই সভ্যতা। আর ভারত সংস্কৃতির সঙ্গে এই দুই মহান সংস্কৃতিও নানাস্তরে সম্পৃক্ত। সেইসব প্রাচীন জনপদের আধুনিক খবর তুমি আমাকে জানাও, সঞ্জয়।

চিন এ কালের পৃথিবীর এক বৃহৎ শক্তি। এ কালের ভাষায় যাকে বলে সুপার পাওয়ার। এই অতি শক্তির দেশ চিন এক আধুনিক মহামারীর কবলে কাঁপছে।

মহামারী কথাটা কি তুমি কোনো রূপকার্থে ব্যবহার করছ?

না মহারাজ, একেবারে আক্ষরিক অর্থে। করোনা মহামারী এক ভাইরাস জনিত ইন্ফ্লুয়েঞ্জা। ভয়ানক সংক্রামক। প্রাণঘাতী। শ-খানেক বছর আগে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরে পরে ঠিক এবারের মতোই বিশ্ব কাঁপিয়ে দিয়েছিল। দু-তিন বছর ধরে। এবারেও তাই। অসুখের নামকরণ হয়েছে কোভিড-১৯। এটা একটু নতুন ধরনের ভাইরাস। ১৯ সংখ্যার তাৎপর্য এই যে এটা প্রথম শনাক্ত হয়েছিল ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে। সমস্ত পৃথিবীকে বিপর্যস্ত করে দিয়ে এই ২০২২-এর শেষের দিকে ভাইরাসের রোষ খানিকটা প্রশমিত হয়েছে। সারা পৃথিবীর মোট মৃতের পরিসংখ্যান শুনিয়ে আপনার মন ভারাক্রান্ত করতে চাই না, মহারাজ।

আমার মন তুমি আর কি বেশি ভারাক্রান্ত করবে সঞ্জয়। আমি যে-মৃত্যু মহামারীর মুখোমুখি দাঁড়িয়েছি আজ, ভবিতব্য আমার কিছু অজানা নয়। আমি জানি আমি সান্ত্বনাহীন। তুমি বলো তোমার চৈনিক সংকটের কথা।

কোভিড-১৯-এর সূত্রপাত নাকি চিন থেকেই। প্রথম মৃত্যুর খবর সে দেশ থেকেই নাকি এসেছিল। তার পরে যে কী হয়েছিল তা খুব পরিষ্কার কিনা জানি না মহারাজ। পৃথিবীর দেশে দেশে যখন এই অসুখ নিয়ে তুলকালাম চলছে ও অন্তহীন বিবাদের জন্ম হচ্ছে চতুর্দিকে, তখন চিনে সংক্রমণ হয়তো নিয়ন্ত্রিত ছিল। চিনের আভ্যন্তরিক ব্যবস্থার জন্যেই চিনের খবর বাইরে অত সোজাসুজি পাওয়া শক্ত। এইটুকু জানা গিয়েছিল চিন কঠোর হাতে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ নীতি চালু করেছে। বলা হত জিরো কোভিড পলিসি। এখান থেকেই বোধহয় একটা সমস্যা তৈরি হয়েছে।

কেন, সমস্যা কেন হবে? কারো যাতে কোভিড না হয় সেই নীতি। এতে সমস্যার কী আছে?

মহারাজ, আপনি বহুদর্শী মানুষ, শুধু রাজনীতি নয়, পরিস্থিতির জটিলতা, আমি আপনাকে কী বোঝাব। ওই জিরো কোভিড পলিসির জন্যে জনজীবনের পক্ষে দারুণ কঠোর নিয়মকানুন জোর করে চালু করা হল। মেলামেশা বন্ধ। সংক্রমণ হতে পারছে না, কিন্তু তারই জন্যে মানুষের শরীরে আবার সংক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ শক্তিও গড়ে উঠছে না। যাকে বলে ইমিউনিটি। জনপ্রতিরোধ থেকে গেল দুর্বল। টিকাকরণও সম্ভবত কম হয়েছিল। ওই যে প্রথম করোনা আক্রান্তের খবর পাওয়া গিয়েছিল চিনের উহান থেকে, বোধহয় তারপর থেকেই এই কড়াকড়ির নিয়মগুলো বেশি করে চেপে বসেছিল চিনের জনজীবনে।

তা বেশ তো। সংক্রমণ প্রথম শনাক্ত করা গেল চিনে, চিন তারপরেই বেশি সাবধান হয়ে গেল। অসুখটা নিয়ন্ত্রিত রইল। তাতে অসুবিধা কি হচ্ছে।

অসুবিধা এই যে পৃথিবীর অন্যত্র যখন অসুখটা কমে এসেছে তখন সেই চিনেই আবার অসুখটা খুব বেশি করে মাথাচাড়া দিচ্ছে। ২০২২-এর নভেম্বর থেকে এই সমস্যা চিনের কর্তৃপক্ষের মাথাব্যথার কারণ হয়েছে। এবং জনসাধারণের উপরে আরো কঠোর নিয়ন্ত্রণ চাপানো হয়েছে। সেখানটাতেই এবার একটু মুশকিল দেখা দিয়েছে।

এতে মুশকিলের কি আছে। সব দেশেই তো শুনছি তাই করা হয়েছে এবং যেখানেই প্রয়োজন এখনও হচ্ছে।

হ্যাঁ, কিছুটা নিয়ন্ত্রণ, কিছুটা ছাড়, এই দুইয়ের মধ্যে এক ধরনের ভারসাম্য বজায় রেখে সবাই ত্রাণের পথ খুঁজেছে। চিনের বেলাতে সম্ভবত নিয়ন্ত্রণের দিকে জোর বেশি দেওয়া হয়েছিল। আপনার প্রজ্ঞায় আপনি ঠিকই বুঝবেন যে এইসব কথা বাইরের প্রতিবেদকের পক্ষে নিশ্চিত করে কিছু বলা শক্ত। জীবনযাপনের অভিজ্ঞতায় যা ধরা পড়ে তা আর অন্য কিছুতে হয় না।

তুমি ঠিকই বলেছ সঞ্জয়। আজ এই বয়সে পৌঁছে আমি বুঝেছি আমাদের দৈনন্দিনের চলাফেরার পথে যে অভিজ্ঞতা আময়া সঞ্চয় করি তার কোনো জুড়ি হয় না। তাও আমার বাহির চোখে কোনো দৃষ্টি নেই।

এখন আর তা নিয়ে আপনি আক্ষেপ করবেন না মহারাজ। আপনার মনোভূমির প্রশান্তিতে আপনি এই অভাব অতিক্রম করুন।

তোমার সঙ্গে আলাপ করলে আমি সত্যিই প্রশান্তির স্পর্শ পাই। যা হোক, তোমার বর্ণনা তুমি আবার শুরু করো।

যা বলছিলাম, নিয়ন্ত্রণ বেশি হয়ে গেছে বলে এই নভেম্বর থেকে সেখানে আর এসব কেউ মানতে চাইছে না। সত্যি বলতে এই নিয়ন্ত্রণ বিরোধিতা এর আগে অন্য দেশেও দেখা গেছে। পাশ্চাত্য দেশের একাধিক জায়গায় এ নিয়ে প্রচুর বিক্ষোভ সমাবেশ ইত্যাদি হয়েছে।

তাহলে চিনের বেলায় নতুন কি দেখা গেল?

নতুন এই যে, চিনে সরকারি নীতির বিরোধিতা জিনিসটাই নতুন। আর এই সরকার বিরোধী প্রতিবাদ এবার এতই উঁচু তারে বাঁধা যে সঙ্গে সঙ্গে সরকারের টনক নড়েছে। এমনকি বর্তমান চিনের সর্বশক্তিমান শি জিনপিঙের পদত্যাগও দাবি করা হয়েছে।

টনক যে নড়েছে তার পরিচয় কী?

পরিচয় এই যে, এবার বিক্ষোভ পথে নেমেছিল। সরকারের চোখে চোখ রেখে বিক্ষোভের বাণী এবার জাহির হয়েছিল, এত নিষেধাজ্ঞা মানা যাবে না, মানব না। সঙ্গে সঙ্গে নিষেধাজ্ঞা অনেক জায়গায় শিথিল করা হয়েছে। অর্থাৎ, কথা এই যে মানুষ এবার পথে নেমেছিল, বেরিয়ে এসেছিল রাস্তায়। এবারের বিক্ষোভে বিশ্বের জনমনে তিয়েন আন মেনের স্মৃতি ফিরে এসেছে।

সেবারে যেমন সামরিক ট্যাঙ্কের নীচে বিক্ষোভকে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল এবারেও কি সেরকম কিছু ঘটেছে?

না, মহারাজ। এবার সামনের দিক থেকে দেখলে মনে হবে অনেক সন্তর্পণে ব্যাপারটা সামলে নেওয়া হয়েছে। যেন দাবি খানিক মেনে নেওয়া হল।

রাষ্ট্রীয় অত্যাচার কি তবে অন্য কোনো পথ খুঁজে নিয়েছে?

কূটনীতির উপরে মহারাজের দখল এই সূক্ষ্ম প্রশ্নের মধ্যেই নিহিত আছে। রাস্তার বিক্ষোভ ঘরে ঢুকে গেলে এবার নেমে এসেছে গ্রেপ্তারের পরোয়ানা। এই ঘটনা কতটা ব্যাপক তা এখনো পরিষ্কার নয়। গুয়াংঝু প্রদেশে কয়েকজন ছাত্র যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ডিসেম্বরের ৪ তারিখে। অভিযোগ তারা নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে সরকার বিরোধী প্রতিবাদে যোগ দিয়েছিল। ওই সময়ে অন্য যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তাদের অনেককেই দেশের আইন মেনে চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। নইলে চার্জশিট দিতে হয়। এই কয়েকজন যুবককে এমনিই আটকে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ। আশঙ্কা প্রতিবাদের মূল পর্ব একটু নরম হয়ে আসতেই ধরপাকড় বেশি করে শুরু হবে। রাষ্ট্রের হাতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের এই রীতি, মহারাজ।

হ্যাঁ, তা আমি জানি। এরকম আশঙ্কা থাকে। তুমি পারস্যের কথা বলছিলে। সেখানেও কি এইরকম কিছু ঘটছে?

হ্যাঁ মহারাজ। হয়তো আরও একটু বেশি।

বলো সে কথা। পারস্যের সংস্কৃতিও অতি প্রাচীন।

সেই প্রাচীন সংস্কৃতিতে একদিন লেগেছিল পশ্চিমের টান। তার সঙ্গে জড়িয়ে গেল আধুনিকতার ধারণা। পহ্লবী রাজবংশের শাসনকালে ইরান ক্রমে ক্রমে পরিণত হল আধুনিক রাষ্ট্রে। তলায় তলায় জমে উঠল পালটা প্রতিক্রিয়া। ১৯৭৯-তে তারই পরিণতি ইসলামিক প্রতিবিপ্লব। আয়াতুল্লারুয়োল্লা খোমেইনির নেতৃত্বে এই ইরান ‘আধুনিকতা’র থেকে মুখ ফেরাল। গত চল্লিশ-বিয়াল্লিশ বছর ধরে সে দেশে কায়েম হয়েছে গোঁড়ামির রাজত্ব।

* * *

মহারাজ, আপনার অনুমতি নিয়ে প্রসঙ্গ থেকে একটু সরে যাচ্ছি। এইমাত্র জরুরি খবর পাওয়া গেল চিনে হুহু করে বাড়ছে সংক্রমণ। মৃত্যুও বাড়ছে প্রচুর। স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সংকটে। হাসপাতালে রোগীর চাপ। যা আশঙ্কা ছিল তাই সত্যি হল। বেশি কড়াকড়িতে মানুষের জীবনযাপন দুর্বিষহ। শিথিল করলে সংক্রমণ বৃদ্ধি। সেইসঙ্গে এবারে জাপান, আমেরিকা, দক্ষিণ কোরিয়া ও ব্রাজিল, এই কয়েকটি দেশেও নতুন করে কোভিড বৃদ্ধি ভাবিয়ে তুলেছে বিশ্ব সংসারকে।

যা অনিবার্য, যা হবার ছিল তাই হল। আক্ষেপ কোরো না সঞ্জয়। এগিয়ে যাও তোমার কাহিনি নিয়ে। বলো তোমার পারস্য উপাখ্যান।

বর্তমান পৃথিবীর নানা দেশে মুসলমানীর পোশাক নিয়ে বড্ড মাথাব্যথা চলছে।

সে কী! এ তুমি আমাকে কী কথা শোনালে সঞ্জয়। আমি শুনেছি নতুন পৃথিবীতে ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যের জয়গানের কথা। পোশাক ব্যক্তির আপন রুচিনির্ভর। তা হলে সেখানে এ নিয়ে সমস্যা কেন?

মেয়েদের পোশাক ও শালীনতার প্রশ্নে সমাজের চোখে ঘুম আসে না, মহারাজ। উপরন্তু, মুসলমান মেয়ের কেশাবরণের প্রশ্নে জড়িয়ে আছে ধর্মীয় অনুশাসন। এই অনুশাসনগুলিও আবার অনেক ক্ষেত্রে সমাজের পুরুষ-দৃষ্টির ধর্মীয় রূপান্তর। মুসলমান মেয়েরা মাথায় হিজাব পরবেন কিনা এই নিয়ে বর্তমানে দেশে দেশে নানান কেতার আন্দোলন চলছে। কোথাও হিজাব পরাই ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যের ঘোষণা। কোথাও তা না পরাই স্বাধীনতার চিহ্ন। ইরানে সেপ্টেম্বর মাস থেকে এই হিজাব নিয়ে তোলপাড় কাণ্ড ঘটছে, মহারাজ।

সে কী! তোমাদের এই একুশ শতকের পৃথিবীতেও এইসব।

কী বলব আপনাকে, এই একুশ শতকেই হয়তো আবার নতুন করে এইসব জেগে উঠছে। তা ওই সেপ্টেম্বর মাসের ১৬ তারিখে মহসা আমিনি নামে ২২ বছরের এক মহিলার মাথায় প্রকাশ্যে হিজাব ঠিকমতো পরা ছিল না বলে ইরানের নীতি পুলিশের রক্তচক্ষুর সামনে পড়তে হয় তাঁকে। মহিলাকে গ্রেপ্তার করা হয়, পরে পুলিশি হেফাজতে তাঁর মৃত্যু হয়।

এই নীতি পুলিশ কী ব্যাপার তাও জানি না আমি।

ইরানের গোঁড়া জমানায় এদের দায়িত্ব নৈতিকতার বিচারে আপত্তিজনক কোথাও কিছু ঘটছে কিনা তার উপরে নজর রাখা।

আছে বুঝি এরকম?

হ্যাঁ মহারাজ, আছে তো বটেই এবং তাদের প্রচণ্ড উপস্থিতির জন্য ইরানবাসী দৈনন্দিন জীবনে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। সেই মেয়ের উপরে নির্যাতনের পরে দলে দলে মানুষ পথে নেমে আসে, বিক্ষোভে কেঁপে ওঠে ইরানের সরকার। যা অভাবনীয়। এমনকি তড়িঘড়ি ওই নীতি পুলিশ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।

এক অর্থে এতে প্রতিবাদী কণ্ঠের জয় সূচিত হয়। প্রজাতন্ত্রের পক্ষে এ সুলক্ষণ।

তা ঠিক মহারাজ। তবে এখানেও প্রতিবাদের প্রথম ঢেউ কেটে যাবার পরে রাষ্ট্রের কঠোরতা প্রকাশ পাচ্ছে। ডিসেম্বরের ৯ তারিখে মোহসেন শেকারি নামে একজন হিজাব আন্দোলনকারীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। অস্কারজয়ী অভিনেত্রী তারানে আলিদুস্তিকে সমাজমাধ্যমে আন্দোলনের সমর্থনে পোস্ট লেখার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরকম চলছে, এখানেও আশঙ্কা আছে বাড়বে। আমার প্রশ্ন মহারাজ, রাস্তায় না নামলে টনক নড়ে না, নামলে ফাঁক পেলেই নেমে আসে রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়ন। প্রজাতন্ত্রের সামনে তাহলে পথ কি?


[সৌরীন ভট্টাচার্য]