আরেক রকম ● একাদশ বর্ষ দশম সংখ্যা ● ১৬-৩১ মে, ২০২৩ ● ১-১৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০

সম্পাদকীয়

অশান্ত মণিপুর


মে মাসের প্রথম সপ্তাহে হঠাৎ করে দেশের উত্তর পূর্বের প্রান্তিক রাজ্য মণিপুরে অশান্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। রাজ্যের একাংশে কার্ফু জারি থেকে শুরু করে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ সহ নানান পদক্ষেপ প্রশাসনকে করতে হয়েছে। মে মাসের ৩ তারিখ সংঘাত শুরু হয়। হিংসায় এখনও পর্যন্ত সরকারি ভাষ্যে ৭১ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আহত অন্ততঃ শ' আড়াই। তা ছাড়া, কমপক্ষে ১,৭০০ বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাস্তুহারা ২০ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে পাঠানো হয়েছে। আরও ১৫ হাজার মানুষ আশ্রয়হীন। অনেকেই পালিয়ে গিয়েছেন পাশের রাজ্য আসাম বা মিজোরামে। নামানো হয়েছে সেনা। আকাশপথে চলছে চব্বিশ ঘন্টার নজরদারি। বাদ যায়নি ধর্মস্থান। মিজোরামের সাংসদ কে. ভানলালভেনা জানিয়েছেন যে ৪২টি গির্জা জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থল মূলতঃ চূড়াচাঁদপুর জেলা।

রাজ্যের মোট ভৌগোলিক আয়তনের প্রায় একুশ শতাংশ নিয়ে গঠিত এই জেলায় ২০১১-র আদমশুমারি অনুযায়ী ৩ লক্ষ ৬২ হাজার মানুষের বসবাস, যা রাজ্যের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১৩ শতাংশ। এবং রাজ্যের পাঁচটি পার্বত্য জেলার অন্যতম হল চূড়াচাঁদপুর। বাকি চারটি জেলা ইম্ফল নদীর অববাহিকায় অবস্থিত। এখন অবিশ্যি নয়টি জেলা ভেঙে মোট ষোলটি জেলা করা হয়েছে।

মণিপুরের বাসিন্দাদের ৫৪ শতাংশ মেইতেই এবং ধর্মবিশ্বাসে হিন্দু। এবং সাংবিধানিক ও সরকারি সংরক্ষণের নিয়মে হয় তাঁরা তফসিলি জাতি অর্থাৎ এসসি ও ওবিসি হিসেবে স্বীকৃত। ফলে সরকারি সুযোগ-সুবিধার বেশিরভাগই তাদের করায়ত্ত। এমনকি বিধানসভার ৬০ জন বিধায়কের মধ্যে ৪০ জনই মেইতেই সম্প্রদায়ের। বাদবাকি ৩৪টি জনজাতির মানুষ সাধারণভাবে নাগা ও কুকি নামেই পরিচিত। নাগা জনজাতির অন্ততঃ পনেরোটি ভিন্ন গোষ্ঠী ছাড়াও কুকি জনজাতির অন্তর্গত জোমি, থাডাউ, পাইতে, ভাইপেই, মার, জৌ প্রভৃতি উনিশটি জনজাতির মানুষ মণিপুরের পার্বত্য জেলাগুলিতে বসবাস করেন। কুকি ও নাগা জনজাতির মানুষ মূলতঃ খ্রিস্টান। এবং সরকারি সংরক্ষণের নিয়মে সবকটি জনজাতিই তফসিলি জনজাতি বা এসটি হিসেবে চিহ্নিত।

অষ্টাদশ শতাব্দীতে মণিপুরের তৎকালীন রাজা পামহেইবা হিন্দু ধর্মকে সরকারের ধর্ম হিসেবে ঘোষণা করার পর ধীরে ধীরে প্রচলিত সানামাহি ধর্মে বিশ্বাসী মানুষের সংখ্যা কমতে শুরু করে। ঊনবিংশ শতকে ব্রিটিশ সরকার মণিপুরের সার্বভৌমত্ব কেড়ে নেওয়ার আগে থেকেই খ্রিস্টধর্ম প্রচার শুরু হয়ে যায়। এত কিছুর পরেও মণিপুরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অভাব ছিল না। একমাত্র ব্যতিক্রম ১৯৯৩-তে পাঙ্গাল জনজাতির সঙ্গে মেইতেই সম্প্রদায়ের এক ভয়ঙ্কর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা। পাঙ্গাল গোষ্ঠীর সঙ্গে ঘটে যাওয়া এই দাঙ্গায় কুকি ও নাগা, যারা সাধারণভাবে খ্রিস্টান, জনজাতির মানুষ জড়িয়ে পড়ে। একদিনে শতাধিক কুকি মানুষের প্রাণহানি হয় এবং কয়েক হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়।

১৯৯২-এ মণিপুরি ভাষা ভারতীয় সংবিধানের অষ্টম তফসিলের অন্তর্ভুক্ত হয়। ধর্মীয় ও সাম্প্রদায়িক বিভাজনের সঙ্গে এইবার শুরু হয় ভাষাগত বিভাজন প্রক্রিয়া। মণিপুরের রাজারা বৈষ্ণব। কাজেই হিন্দুধর্ম রাজধর্ম হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার পর বাংলা লিপি মেনে মণিপুরি ভাষার ব্যাকরণ প্রণীত হয়। সাংবিধানিক স্বীকৃতি পাওয়ার পর মেইতেই-মায়েক বর্ণমালা প্রচলনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এবং ২০০৫ নাগাদ ইশকুলে বাংলা বর্ণমালায় লিখিত বইয়ের বদলে মেইতেই-মায়েক বর্ণমালায় লেখা বই পাঠ্য করা হয়। অর্থাৎ ধর্মীয় ও সাম্প্রদায়িক বিভাজনের সঙ্গে শুরু হয় ভাষাগত বিভাজন।

ত্রিমাত্রিক বিভাজনের পরেও মণিপুরি সমাজে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় ছিল। ২০২২-এর আগস্টে চূড়াচাঁদপুর জেলার ৩৮টি গ্রামকে অবৈধ বলে সরকারের তরফে ঘোষণা করা হয়। অভিযোগ - গ্রামগুলি সদ্য বিজ্ঞাপিত/নির্ধারিত সংরক্ষিত অরণ্যের মধ্যে অবস্থিত। ২০০৬-এর অরণ্য সুরক্ষা আইন অনুসারে জঙ্গলের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বসবাসকারী জনজাতির মানুষের সঙ্গে আলোচনা না করে একতরফাভাবে এমন নির্দেশনামা জারি করা যায় না। সেই আইনকে নস্যাৎ করে জারি করা হয় এমন অধ্যাদেশ। রাজ্য সরকারের এহেন আইন বহির্ভূত ঘোষণায় স্বাভাবিকভাবেই ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। শুরু হয় প্রতিবাদ। এই আবহে ২০২৩-এর ফেব্রুয়ারিতে রাজ্য সরকার ওই ৩৮টি গ্রামের বাসিন্দাদের উৎখাত করে জমি দখলের চেষ্টা করলে স্থানীয় স্তরে শুরু হয় সংঘাত। ফলে ভাষা-ধর্ম-জাতির ত্রিমাত্রিক বিভাজনে যুক্ত হয় আরও একটি নতুন মাত্রা।

চলমান বিবাদ-সংঘর্ষের মধ্যে ২৭ মার্চ মণিপুর হাইকোর্ট সে রাজ্যের সরকারকে মেইতেই জনগোষ্ঠীর তফসিলি জনজাতি তালিকায় অন্তর্ভুক্তিকরণের বিষয়টি বিবেচনা করে দেখার জন্য নির্দেশ দেয়। এতদিন ধরে জ্বলতে থাকা ধিকিধিকি আগুনে যেন ঘি নিক্ষেপ করা হল। এর বিরুদ্ধে ৩ মে মণিপুরি ছাত্র সংগঠন ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অব মণিপুর’ (এটিএসইউএম) একটি মিছিল বার করে চূড়াচাঁদপুরে। সেখান থেকেই সংঘর্ষের সূচনা।

মেইতেই সম্প্রদায়ের মানুষ দীর্ঘদিন ধরেই তফসিলি জনজাতি (এসটি) তকমার দাবিতে আন্দোলন করছেন। এই দাবির বিরোধিতা করে মণিপুরি ছাত্র সংগঠন ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অব মণিপুর’ (এটিএসইউএম)-এর তরফে বুধবার ৩ মে একটি মিছিল বার করা হয়েছিল। এই মিছিল কেন্দ্র করেই শুরু হয় সংঘাত-সংঘর্ষ। ভাষা-ধর্ম-জাতি-জমির বিভাজনে বিভক্ত সমাজে যুক্ত হয় আরও একটি নতুন মাত্রা।

মেইতেই জনগোষ্ঠীকে জনজাতি হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে সাম্প্রতিক সমস্যার শুরু। মেইতেই সে রাজ্যের সংখ্যাগরিষ্ঠ গোষ্ঠী। প্রায় ৫৪ শতাংশ মানুষ তার অন্তর্ভুক্ত। এতদিন কুকি ও নাগারা জনজাতি হিসাবে গণ্য হলেও মেইতেই-রা ছিল তার বাইরে। সাধারণ দৃষ্টিতে তাতে কোনও অসঙ্গতি ছিল না, কেননা আর্থসামাজিকভাবে মেইতেই-রাই অনেক এগিয়ে, বাকিরা পিছিয়ে। এবং মেইতেই-রা এসসি ও ওবিসি সংরক্ষণের সুযোগ-সুবিধা পায়। কিন্তু তবু, সংরক্ষণের ক্ষেত্রে জনজাতি পরিচয়ের কিছু বাড়তি সুবিধার পরিপ্রেক্ষিতে মেইতেই-রা নিজেদের জনজাতির স্বীকৃতি দাবি করে যাচ্ছিল। আদালতের নির্দেশে এতদিনে সেই ক্ষোভের ফল ফলল। জনজাতিকরণ প্রক্রিয়া একধাপ এগিয়ে এল। স্বভাবতই বাকি জনগোষ্ঠীরা এতে প্রবল রুষ্ট। তাদের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে তাদের জন্য সংরক্ষিত জায়গাটিতে এ বার মেইতেই-রাও ভাগ বসাতে আসছে। জমি থেকে চাকরি, শিক্ষার সুযোগ থেকে পারিবারিক নিরাপত্তা, সবকিছুই সংরক্ষণের সঙ্গে যুক্ত। সুতরাং, মণিপুরি সমাজের এক বড়ো অংশ প্রবলভাবে বেঁকে বসেছে। কোনও মতেই মেইতেই-দের জনজাতি পরিচয়ের স্বীকৃতি সে রাজ্যে দেওয়া যাবে না, এই মর্মে তারাও প্রতিবাদ মুখর। তার থেকেই অগ্নিকাণ্ড, হত্যালীলা। মানুষের প্রাণনাশ ও সহস্র মানুষকে বিপন্নতায় পর্যবসিত করে সে রাজ্যে নেমে এসেছে মাৎস্যন্যায়।

মে মাসের ৩ থেকে ১৩ তারিখ পর্যন্ত ঘটে যাওয়া প্রাণনাশী সংঘর্ষ নিরসনে রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিঃসন্দেহে নিন্দনীয়। তার চেয়েও খারাপ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ভারত সরকার। ভারত সরকারের রথী-মহারথীরা তো কর্ণাটক, রাজস্থানে নির্বাচন ফেরি করতে ব্যস্ত। মণিপুরের মতো ছোটো রাজ্য যেখান থেকে মাত্র দু'জন সদস্য নির্বাচিত হয়ে লোকসভায় যান তা নিশ্চয়ই নির্বাচনের মরশুমে গুরুত্বপূর্ণ নয়। প্রান্তিক রাজ্য মণিপুরের অশান্ত পরিস্থিতি নিয়ে ভাববার সময় কোথায়? রাজ্যে সেনা মোতায়েন করে এবং বাইরে থেকে আরও কয়েক হাজার আধা-ফৌজি পাঠিয়েই দায়িত্ব শেষ।

এই পরিপ্রেক্ষিতে নতুন এক নিদানপত্র পেশ করেছেন রাজ্যের দশ জন বিধায়ক, যাঁদের মধ্যে দু' জন আবার মন্ত্রী। তাঁদের দাবি, পার্বত্য জেলাগুলোর জন্য অবিলম্বে পৃথক প্রশাসন গড়ে তুলতে হবে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বা গেরুয়া শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেননি।

মণিপুরে এখন গেরুয়া রাজনীতির রাজত্ব। প্রধানমন্ত্রীর মতে সেখানে চলছে ডাবল ইঞ্জিনের সরকার। রাজ্যে ও কেন্দ্রে একই দলের শাসন চালু থাকা সত্ত্বেও সরকারি নথি অনুযায়ী আজও চূড়াচাঁদপুর দেশের অন্যতম গরিব জেলা হিসেবে কেন পরিচিত, সে প্রশ্ন কেউ তোলে না। কেন আধিপত্যের দাপটে গুঁড়িয়ে যাবে জনজাতি অধ্যুষিত ৩৮টি গ্রাম? কেন সংখ্যাগরিষ্ঠর আগ্রাসনের পক্ষে সরকার সায় দেয়? সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিল অনুযায়ী স্বীকৃত জনজাতির সংজ্ঞা পরিবর্তনের জন্য আদালত সরকারকে নির্দেশ দিতে পারে কি না সেই প্রশ্নও বিবেচনা করা দরকার। স্বল্পসংখ্যক মানুষের ৩৪টি জনজাতির গোষ্ঠীকে আধিপত্যবাদী আগ্রাসনের শিকার হয়ে কেন প্রাণনাশী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়তে হবে?

দেশের উত্তর-পূর্ব প্রান্তের জনজাতি অধ্যুষিত সমাজগুলির প্রতি জাতীয় স্তরে এখনও কী গভীর অবজ্ঞা আর অবহেলা বিরাজমান মণিপুরের সাম্প্রতিক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ আবারও সেই বার্তা নিয়ে এল। ‘দেখামাত্র গুলির আদেশ’ দেওয়ার মতো পরিস্থিতি এ দেশে সহসা দেখা যায় না। কেন্দ্রীয় বাহিনী নামিয়ে আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার মতো ঘটনাও অন্যত্র সচরাচর ঘটে না। বুঝতে অসুবিধা নেই, এই সমস্যা আকস্মিকভাবে তৈরি হয়নি, ভাষা-ধর্ম-জাতি-জমি ও জনজাতির বিভাজনের শিকড় অনেক গভীরে ছড়িয়ে না পড়লে এত প্রবল ও রক্তাক্ত সংঘর্ষ ঘটতে পারত না। কাজেই মণিপুরে যে সংঘর্ষ চলছে তা সামান্য নয় এবং সহজে সমাধানযোগ্য নয়। রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে কেন্দ্রকেও এর দায়িত্ব নিতে হবে। জনসভায় ডাবল ইঞ্জিনের মাহাত্ম্য নিয়ে হুঙ্কার দিলেই চলবে না, কাজেও করে দেখাতে হবে। রাজ্য ও কেন্দ্রের সরকার ঠিক সময়ে পদক্ষেপ করলে ঘটনা এমন ভয়াবহতায় পৌঁছত না।

সমস্যাটি জটিল ও বহুমাত্রিক এবং সমস্যার প্রতি প্রশাসনিক দৃষ্টিভঙ্গিও অক্ষমণীয় রকমের অতিসরল। জনজাতির মর্যাদা বস্তুটিকে সংরক্ষণ নীতির সঙ্গে যুক্তভাবে দেখা ছাড়া গত্যন্তর নেই, এ কথা যদি মেনে নেওয়া হয়, সে ক্ষেত্রে ঐতিহাসিক, ভৌগোলিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক প্রেক্ষিত বিচার করে এই মর্যাদা কারা পাবেন আর কারা পাবেন না তা বিবেচনা করা জরুরি। আধিপত্যের দাপটে উপর থেকে চাপিয়ে দেওয়ার এই প্রশাসনিক প্রবণতার কারণেই এত বড়ো সংঘর্ষ পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে। উপরন্তু, কেন্দ্রীয় সরকার এখন যেভাবে সঙ্কটের মোকাবিলা করছে তার মধ্যেও আগ্রাসী দমনের প্রবণতাই স্পষ্ট। এর ফলে সঙ্কট আপাতত ও আপাতভাবে কমানো গেলেও ভবিষ্যতে তা আবার মাথাচাড়া দেওয়ার সম্ভাবনা মজুত রইল। পার্বত্য জেলাগুলির জন্য পৃথক প্রশাসন স্থাপনের প্রস্তাব দেশের মৌলিক ধারণার, 'বিভেদের মধ্যে ঐক্য'-র পরিপন্থী। উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে ভাষা-ধর্ম-জাতি-জমি নিয়ে যেভাবে জনজাতির মানুষের মধ্যে বিভাজনের বিষ ছড়িয়ে দেওয়া হয়ে থাকে মণিপুরের সাম্প্রতিক সংঘর্ষ তারই প্রতিফলন। কোনও যুক্তরাষ্ট্রীয় গণতন্ত্রে কেন্দ্র-রাজ্যের সম্পর্ক বশ্যতার বা আগ্রাসী আধিপত্যের নয়। বহুমাত্রিক সমস্যার সমাধানসূত্র খুঁজে বের করার জন্য অবিলম্বে সমন্বয়ের পথে এগোতে হবে। অন্যথায় বিভাজনের রাজনীতি নতুন করে বিচ্ছিন্নতাবাদের প্রসার ঘটাতে পারে। অবিলম্বে বিভাজনের রাজনীতি পরিহার করে সম্প্রীতির আবহ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এবং ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণের বন্দোবস্ত করতে হবে।