দশম বর্ষ ষষ্ঠ সংখ্যা ● ১৬-৩১ মার্চ, ২০২২ ● ১-১৫ চৈত্র, ১৪২৮

প্রবন্ধ

সকলি ফুরাল অ্যাপের পায়

অম্লানকুসুম চক্রবর্তী


‘বৃষ্টির তেজ কতটা বাড়ল তা দেখার জন্য ঘরের পর্দা সরানো নিষ্প্রয়োজন। শুধু উবের-ওলার ভাড়াটা দেখে নিলেই চলবে।’ আন্তর্জালে এক রসিক মানুষের লেখা এই লাইন দুটোর কথা মনে আছে বেশ। শহরের এক খ্যাতনামা কলেজের অর্থনীতির এক তাবড় অধ্যাপককে বলতে শুনেছিলাম, ‘কুড়ি বছর ধরে পড়িয়ে পড়িয়ে ইকনমিক্সের বহু জটিল সমীকরণ জলভাত। শুধু অ্যাপ ক্যাবের ভাড়া কিভাবে বাড়ে কমে, তা বোঝা আমার বুদ্ধিতে কুলোল না।’ ফ্রেঞ্চ কাটে হাত বুলিয়ে, দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলছিলেন, ‘সূত্র একটা আছে নিশ্চয়ই। তবে তাতে ভূতে ভর করে।’

সপ্তাহখানেক আগে ভোরবেলা হাওড়া যাওয়ার সময় অ্যাপ ক্যাব চালককে জিজ্ঞেস করেছিলাম, ‘চা খাবেন?’ ভদ্রলোক মাথা নেড়ে না জানালেন। স্টেশনের সামনে আমাকে ছেড়ে দেওয়ার পরে মুখের দিকে তাকিয়ে রইলেন। ওঁর চোখের মধ্যে প্রশ্ন লুকিয়ে ছিল। বললেন, ‘চা খাওয়াতে চেয়েছিলেন না দাদা? মূল্যটা ধরে দিন। দশ টাকা এক্সট্রা দিন। আমাদের যে আর চলে না।’

লজঝড়ে হলুদ ট্যাক্সিকে দুয়ো দিয়ে বছর দশেক আগে যে অ্যাপ ট্যাক্সি কলার তুলে হাজির হয়েছিল, আজকের দিনে তার কাহিনিকে জয়গাথা না বলে অদ্ভুতুড়ে সিরিজ বলাই ভাল। মোবাইলের পর্দায় আঙুল ছোঁয়ানো মাত্র লাগ্ ভেল্কি লাগ্। অ্যাপ খোলার সময় মোবাইল স্ক্রিনের কোণায় মৌমাছির চাকের মতো যে গাড়িগুলোকে দেখায় প্রথমে, গন্তব্যস্থল দেওয়ার পরেই তারা চকিতে উধাও হয়ে যায় স্ক্রিন থেকে। যে ভাড়ার চেহারা হওয়া উচিত ছিল এক মার্জারের মতো, তা জিরাফের রূপ নেয়। চোখ রগড়াই। গায়ে চিমটি কাটি। ঠিক দেখছি তো আমি? অ্যাপ বন্ধ করে খুলি ফের। এবারে দেখি ভাড়া বেড়ে গিয়েছে আরও। বাধ্য হয়ে বুক করি। ক্ষ্যাপার পরশপাথর খোঁজার মতো অ্যাপ খুঁজতে থাকে নিকটবর্তী ড্রাইভারকে। মোবাইলের পর্দার বাঁ দিক থেকে ডান দিকে প্রোগ্রেস বার এগোতে থাকে, একটি শিশুর ইংলিশ চ্যানেল পেরনোর মতো। ধৈর্য্যের পরীক্ষা দিয়ে ক্লান্ত হওয়ার সময় ভগবানকে ডাকি। ভূতের রাজাকে ডাকি। বলি, গুপি বাঘার মতো একজোড়া জুতো দাও রাজামশাই। বলি, পরজন্মে আমায় পাখি জন্ম দিও ঈশ্বর। মরে যাওয়ার আগে স্ক্রিন ড্রাইভার খুঁজে পায়। ফুটে ওঠে, ইয়ে! অমুক কুমার তমুক ইজ অন দ্য ওয়ে। ঊনিশ মিনিট রিমেইনিং। অ্যাপ ক্যাব নিয়ে অভিজ্ঞতা সমগ্র জানান দেয়, এই ঊনিশ মিনিট আধ ঘন্টাকেও হার মানাবে হেলায়। এমন সময় ফোন করেন অমুক কুমার তমুক। পুতিনের মতো বলে ওঠেন, ‘একশ টাকা এক্সট্রা। না হলে মরো।’ মৃতপ্রায় আমি মিনমিন করার সুযোগও পাই না। ফোনটা কেটে যায়। কিছুক্ষণ পরে স্ক্রিনে দেখি, অমুকবাবু আমার রাইডটি বাতিল করে দিয়েছেন। অ্যাপের প্রোগ্রেস বার আবার শ্লথগতিতে অন্য কোনও চ্যানেল পাড়ি দিতে নামে। সময় বহিয়া যায়। রণ পা লাগিয়ে দৌড়তে ইচ্ছে করে।

অ্যাপ ট্যাক্সির খামখেয়ালিপনার জন্য কত মানুষ প্রতিদিন ট্রেন কিংবা প্লেন মিস করেন তা নিয়ে কোনও সমীক্ষা করা হলে বেশ হত। ‘তুমি আসবে বলে তাই, আমি স্বপ্ন দেখে যাই’ জপতে জপতে কত লক্ষ ঘন্টা আমাদের জীবন থেকে উধাও হয়ে যায় দৈনিক, তা কাজে লাগাতে পারলে দেশের জিডিপি কতটুকু পাখনা মেলতে পারত আরও, তা জানার শখ হয় খুব। তবে তিতিবিরক্ত লোকজন বলা শুরু করেছেন, এভাবে যে আর চলে না। কপালের ঘাম মুছে চালকরাও একইসঙ্গে বলছেন, আর চলেনা এভাবে। অ্যাপ ক্যাব কর্তারা ল্যাপটপের ব্রাইটনেস বাড়িয়ে, চশমাটা নাকের উপরে আরও একটু ঠেলে দিয়ে বলে উঠছেন, ‘ব্যান্ডেড যেভাবে লাগিয়ে দিয়েছি তাতে তো রক্তপাত বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। হয়নি বুঝি?’

মোবাইল ফোন থেকে গাড়ি বুক করার সোনার কাঠির সন্ধান পাওয়ার পর অজান্তেই ট্যাক্সিকে ক্যাব বলতে শিখেছিলাম আমরা। আমার এক গায়ক বন্ধু বলেছিল, "ট্যাক্সি কথাটার মধ্যে কেমন যেন ঘামের গন্ধ মিশে থাকে। বালতি থেকে মগে করে জল নিয়ে স্নান। ক্যাব শব্দে সুগন্ধ। দামী শাওয়ারের জল।" শহরের রাজপথে সদ্য নামা দুধসাদা গাড়িগুলোর পিছনের উইন্ডশিল্ড মাসে সত্তর আশি হাজার টাকা উপার্জনের স্বপ্ন ছড়াতো। নিজেই নিজের বস্ হওয়ার ইচ্ছেকুসুম। হালে এই কথাগুলোর রেশ টানাতে এক অ্যাপ ক্যাব চালক গাড়িতে দুম করে ব্রেক কষে বলেছিলেন, ‘দাদা আপনি নেমে যান প্লিজ। আমায় জঘন্য রেটিং দিন। কিন্তু নামুন। এক্ষুণি। মস্করা করছেন?’

জানলাম, অল্প দূরত্বের রাইডে দিন চলে না আর। কম দূরত্ব মানেই কম ভাড়া। শহরের মধ্যে এদিক ওদিক। তৃতীয় গিয়ারের উপরে গাড়ি চালানোর সীমিত সুযোগ। ‘জ্যামের মধ্যে থাকলে ইঞ্জিনটা হাঘরের মতো তেল খায় দাদা।’ জানলাম, উপার্জনের কুড়ি শতাংশই খেয়ে নেয় সার্ভিস প্রোভাইডার, মানে কোম্পানি। অল্প দূরত্বের রাইড মানে তাতে ভাড়া কম। আর শহরের মধ্যেই চালাতে হলে যানজটের কল্যাণে গাড়ির মাইলেজ ঠেকে তলানিতে। ফলে খেটেখুটে কাজ করার পরে গাড়িচালকের উপার্জন বলতে থাকে না কিছু। ‘যাত্রীরা সব বড় বড় ভগবান তো, তাই আগে ডেস্টিনেশন দেখাত না জানেন, হালে দেখাচ্ছে। শর্ট ট্রিপ দেখলেই ক্যানসেল করে দিই। কে অত হ্যাপা নেবে জীবনে?’ গাড়ি চালাতে চালাতে নিজের সঙ্গেই যেন কথা বলছিলেন এক অ্যাপক্যাব চালক। জানা গেল, তিনশ টাকা ভাড়া দেখালে কুড়ি শতাংশ, মানে ষাট টাকা কেড়ে নেয় অ্যাপ ক্যাব সংস্থা। রইল পড়ে দুশ চল্লিশ। এই তিনশ টাকার মহার্ঘ রাইডে যদি দেড় লিটারও পেট্রোল পোড়ে, তাহলে নাকি চালকের হাতে সত্তর-আশি টাকার বেশি থাকে না। সঙ্গে রয়েছে গাড়ি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আনুষঙ্গিক খরচ। মাস শেষ হলেই কড়া নাড়ে গাড়ির ইএমআই। ড্রাইভারসাহেব বলছিলেন, ‘কারও যদি তুমুল ক্ষতি করতে চান কখনও, জ্যোতিষীর কাছে গিয়ে বান মারার দরকার নেই। একবার কষ্ট করে আপনার শত্রুর নামে একটা অ্যাপ ক্যাবের মালিকানার বন্দোবস্ত করে দিন। সারা জীবন ও তিলে তিলে মরবে। আমাকে দেখুন।’

অন্য দিকে, চিরাচরিত হলুদ ট্যাক্সির মালিকরা আক্ষেপ করে বলছেন, ‘সরষের তেল দেড়শো থেকে দুশো হল, রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার প্রায় হাজার ছুঁলো, পনেরো টাকার অটো ভাড়া পঁচিশ টাকা হল, শুধু আমাদের গাড়ির ভাড়া বাড়ল না।’ এ প্রসঙ্গে বলা যায়, হলুদ ট্যাক্সির ভাড়া শেষ বারের মতো পরিবর্তন করা হয়েছিল সাত বছর আগে, ২০১৪ সালে। তখন কলকাতায় ডিজেলের দাম ছিল লিটারপিছু ৬০ টাকা। আজকের দিনে তা ৯৫। একই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণের খরচও। হলুদ ট্যাক্সির রেক্সিন উঠে যাওয়া স্টিয়ারিং ধরে এক চালক বলছিলেন, ‘অ্যাপে ভাড়া বেশি দেখালে পাবলিক মেনে নেয়। হাইফাই প্যাসেঞ্জার তো! আর আমরা মিটারের থেকে ৫০ টাকা বেশি চাইলেই ধোপদুরস্ত মানুষের মুখ থেকে খিস্তির তুফান ওঠে। কোথায় যাই বলুন তো দাদা? গাড়িটা দেখেছেন তো? ১৪ বছর হল। আর এক বছর পরেই আমার এই এত বছরের বন্ধুর ইলেকট্রিক চুল্লী।’ অযান্ত্রিকের কালী ব্যানার্জি দুম করে বসে পড়েছিলেন আমার সামনে। জগদ্দলের ক্ষয়াটে ড্যাশবোর্ডের উপরে পড়ে থাকা লাল কাপড়টা দিয়ে চোখের তলায় কি মুছছিলেন তিনি?

ওয়াকিবহাল শিবিরের বহু মানুষ বলছেন, শহরের রাজপথ থেকে হলুদ ট্যাক্সির গায়েব হয়ে যাওয়া এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। তাঁদের আশঙ্কা, এমন ট্যাক্সি টিকে থাকবে শুধু পিকচার পোস্টকার্ডে, হেরিটেজ শহরের তকমা দেওয়া কোনও কফি টেবিল বইয়ে। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম পেয়ালায় চুমুক দিতে দিতে হয়তো দেখবে এই ফসিল গাড়ি। যানবাহনের ইতিকথা নামক বইয়ে আমরা তো আজ এভাবেই দেখি পালকিকে। সাবেকি ট্যাক্সিচালকদের পক্ষ থেকে বার বার দাবি করা হচ্ছে হলুদ হয়ে যাওয়া ভাড়ার চার্ট সংশোধন করার কথা। তা হয়নি। কবে হবে সেকথাও স্পষ্ট করে বলতে পারছেন না কেউ। কথা বলে বুঝেছি, হলুদ ট্যাক্সির চালকরা অ্যাপ গাড়ির 'সার্জ' কথাটিকে ঈর্ষা করেন, ঘেন্নাও। কারণ, অ্যাপের মাধ্যমে তিন গুণ ভাড়া হাঁকা হলে তা মান্যতা পায়। ট্রিপ শেষে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তৈরি হয়ে যায় ডাকাতিমাখা ইনভয়েস। হলুদ ট্যাক্সি তা করার চেষ্টা করলেই তা চুরির নামান্তর। জড়ভরত হয়ে বসে থাকা ট্যাক্সি থেকে পিকটা সজোরে ছুঁড়ে দিয়ে এক হলুদ ট্যাক্সির চালক বলেছিলেন, ‘ইয়ে এক হারামী দুনিয়া হ্যায় স্যার।’

অপেক্ষাপর্ব কমিয়ে দুয়ারে গাড়ি হাজির করার যে সু-প্রকল্প নিয়ে অ্যাপ গাড়ির যাত্রার সূচনা হয়েছিল, তা আপাতত অস্তাচলে। অভিজ্ঞতা বলে, গাড়ি বুক করার পরে অপেক্ষার এই মিনিট শুধু ফোনগড়া নয়, মনগড়াও। তবে এই অপেক্ষাপর্ব যেন ‘তোমার শেষ যে না পাই’ হয়ে ওঠে, তা নিয়ে কিছু নির্দেশ জারি করা হয়েছে সম্প্রতি। বলা হয়েছে, কোনও কারণে যদি অ্যাপ ক্যাবের চালক রাইডটি নিতে অস্বীকার করেন, তাহলে ভাড়ার মূল্যের দশ শতাংশ জরিমানা গুণতে হবে তাঁকে। সর্বাধিক ১০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। এই টাকা পাবেন যাত্রী। অন্য দিকে, বুক করার সময় স্ক্রিনে দেখানো সময়ের মধ্যে যদি অ্যাপ গাড়ি নিয়ে চালক হাজির না হতে পারেন, তাহলে রাইডটি বাতিল করে দেওয়ার সুযোগ থাকবে যাত্রীর, কোনও অতিরিক্ত টাকা না গুণেই। তবে ওয়েটিং টাইমের মধ্যে রাইডটি বাতিল করলে ভাড়ার ১০ শতাংশ টাকা জরিমানা হিসেবে গুণতে হবে যাত্রীকেও। এখানে মস্ত বড় গোল বেঁধেছে। অ্যাপ ক্যাব চালকের একাংশ বলছেন, যাত্রীর মোবাইলের পর্দায় ১৫ মিনিট দেখানো মানেই যে ওই সময়ে যাত্রীর কাছে পৌঁছনো যাবে, তার নিশ্চয়তা কোথায়? ট্রাফিক সিগনাল কি অ্যাপ ক্যাবের ভাষা জানে? ১৫ মিনিটটি যদি ১৭ মিনিট হয়ে যায় আর ঠিক ১৬ মিনিটের মাথায় যদি রাইডটি বাতিল করে দেন যাত্রী, তাহলে সেই তেলের মূল্য পোষাবে কে? প্রশ্নগুলো হাওয়ায় ওড়ে। পরে কোনও গুরুতর সমস্যা হলে ওয়েটিং টাইমের এই হিসাব রাখার দায়িত্ব বর্তাবে কার উপরে? জানা নেই। নতুন নিয়ম বলছে, সার্জরুপী দৈত্য যখন নখ-দাঁত মেলতে শুরু করবে প্রবল আক্রোশে, তাকে অকালে বধ করা হবে। এসি ট্যাক্সির ভাড়াকে মাপকাঠি ধরে নিয়ে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ভাড়া ওঠাতে কিংবা নামাতে পারবে অ্যাপ ক্যাব। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ট্যাক্সির ভাড়া এখন কিলোমিটার পিছু ১৮.৭ টাকা। নয়া বিধান অনুযায়ী, এক্ষেত্রে ভাড়া ৯.৫০ টাকা থেকে ২৮ টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করবে, কিলোমিটার পিছু। ভাড়ার এই উথালপাথালের নেপথ্যে কোন যুক্তি মানা হল, তা নিয়েও স্পষ্টভাবে জানানো হয়নি কিছু। যাত্রীরা অবশ্য বলছেন, নিয়ম বলবৎ হয়েছে কাগজে কলমে। সার্জ যখন আকাশ ছোঁয়, এই রোকো রোকো বলার লোক আগেও ছিল না, এখনও কেউ নেই কার্যত।

হলুদ ট্যাক্সির শেষ যাত্রার পাশাপাশি অ্যাপ ক্যাব ঘিরেও বহু প্রশ্ন চাউমিনের মতো পেঁচিয়ে রয়েছে একে অন্যকে। ডিমান্ড ও সাপ্লাইয়ের কোন সূত্র মেনে এমন ভৌতিক ভাড়া স্থির হয়, সামান্য ধারাপাতেই কিভাবে যান্ত্রিক প্রলয় ঘটে, তা হয়তো চিরকালই থেকে যাবে না বলা বাণীর মতো। লোকে তাও সফর করতে বাধ্য হবেন, অ্যাপ ক্যাবের চরণে (না না, ওয়ালেটে) কষ্টের রোজগার সঁপে দিয়ে রিক্ত হবেন, হয়তো আর অন্য কোনও উপায় নেই বলেই। বছরখানেক আগে হোয়্যাটসঅ্যাপে দমকা হাওয়ার মতো ঘুরেছিল একটি অ্যাপ ক্যাব সংস্থার স্ক্রিনশট। আঙুলের ছোঁয়ায় গাড়ি বুক করার পরে এক যাত্রীর মোবাইলে ফুটে উঠেছিল, যমরাজ (ব্র্যাকেটে দেওয়া ছিল গাড়ির নম্বর) এসে গেছেন এবং আপনার লোকেশনে অপেক্ষা করছেন!

স্টিয়ারিং হাতে বসে থাকা অ্যাপ ক্যাবের বহু রাম-শ্যাম-যদু-মধুর নাম বদলে যাচ্ছে দ্রুত।