আরেক রকম ● দশম বর্ষ দ্বিতীয় সংখ্যা ● ১৬-৩১ জানুয়ারি, ২০২২ ● ১-১৫ মাঘ, ১৪২৮

প্রবন্ধ

কোভিডের নবতম সংস্করণ ওমিক্রন

স্বপন ভট্টাচার্য


করোনাভাইরাসের গতিপ্রকৃতি একশো বছর আগের আর এক অতিমারির কথা শুরু থেকেই মনে করিয়ে দিচ্ছে, এমন কি তার চলনও এখনো পর্যন্ত অবিকল আজি হতে শতবর্ষ আগের অনুরূপ। যে স্প্যানিশ ফ্লু পাঁচ কোটি লোক মেরে দিয়েছিল ১৯১৮ থেকে ২০-র মধ্যে তার চার-চারটে ঢেউ এসেছিল। প্রথম ঢেউয়ের এপিসেন্টার ছিল ইউরোপ। তখন প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সেন্সরশিপ চলছে। অসুখের আতঙ্কে দেশপ্রেম মার খেলে সেনা পাওয়া যাবে না, ফলে সব দেশই খবর চাপছিল। স্পেন ছিল নিউট্রাল, প্রেস সেন্সরশিপ তারা আরোপ করেনি বলে খবরের সূত্র ছিল ওই স্পেন। তার থেকে নাম 'স্প্যানিশ ফ্লু'। ১৯১৮-র প্রথমার্ধে আক্রান্তের হার কম ছিল না, কিন্তু মৃত্যুহার সাধারণ ফ্লু-র আশেপাশেই ছিল। ১৯১৫-তে আমেরিকায় ফ্লুতে মারা গিয়েছিল ৬৩,০০০ আর ১৮-র প্রথম ঢেউয়ে ৭৫,০০০, সুতরাং এতটা বিপন্ন বোধ করার কারণ ছিল না। বলা ভালো, সেটা যে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস থেকে হচ্ছে এটা বোঝা গেছে ত্রিশ বছর পরে, তখন ফ্লু নয়, দায়ী করা হচ্ছিল ব্যাকটেরিয়াল নিউমোনিয়াকে। যাই হোক, সেকেন্ড ওয়েভ এল আগস্টে। আমেরিকান সৈন্যরা ফিরতে শুরু করেছে সারা বিশ্বের নানা অঞ্চল থেকে। দ্বিতীয় ঢেউ প্রথমে মারতে শুরু করল সৈন্যদের, তাগড়াই, সুস্বাস্থ্যের অধিকারী অল্পবয়সী ছেলেদের এবং তারপরে সারা উত্তর আমেরিকায় এবং বছরের শেষে পুরো ল্যাটিন আমেরিকাতেও। এত লোক মরেছিল আমেরিকায় যে সে দেশে লাইফ এক্সপেক্টেন্সি ৫৯ থেকে নেমে এসেছিল ৩৯-এ। এখানেই শেষ নয়, ১৯১৯-এর জানুয়ারিতে এসেছিল তৃতীয় ঢেউ যখন জাহাজ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা উঠে গেল তখন। আর এর পরেও একটা ছোট চতুর্থ ঢেউ ১৯২০ সালে আমেরিকায়। স্প্যানিশ ফ্লু অ্যান্টিবায়োটিক-পূর্ব যুগের কথা। গণ-ভ্যাক্সিনেশন তখনও হাইপোথেসিস স্তরে।

একশো বছর পরে দিন বদলেছে। পৃথিবীর জনসংখ্যা তখন ছিল ১৮০ কোটির কাছাকাছি, আজ ৭৩০ কোটি। মূলত অ্যান্টিবায়োটিক ও টিকা আবিষ্কারের হাত ধরে শিশুমৃত্যুর হার কমেছে, মানুষের গড় আয়ু - লাইফ এক্সপেক্টেন্সি যাকে বলে, তা অনেকটাই বেড়ে গেছে, চিকিৎসা বিজ্ঞানে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে এবং সেই পরিপ্রেক্ষিতে যদি এক শতাব্দী আগে পরের দুটি কালের তূল্য-মূল্য বিচার করি, এই ২০২২-এর শুরুতে দাঁড়িয়ে কোভিডে ৩১ কোটি আক্রান্ত আর প্রায় ৫৫ লক্ষ মৃত্যু সারা পৃথিবী জুড়ে- আদপেই হেলাফেলা করার মত সংখ্যা নয়। ২০১৯-এ কোভিড-১৯ আসার আগে SARS-CoV-2-এর দুটি পূর্বসূরি মানুষকে হোস্ট হিসেবে পরখ করে গেছে। ২০০২-এর SARS-CoV-1 এবং ২০১৩-এর মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোম (MERS) ছিল আরো অনেক বেশি মারক ক্ষমতার অধিকারী কিন্তু ততখানি ভয়ংকর হয়ে ওঠার আগেই মিউটেশন হয়ে তাদের ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে - এর জন্য কোন টিকা লাগেনি। কোন ভাইরাসের মারক ক্ষমতা যদি এমনই হয় যে সে ঝাড়ে বংশে উজাড় করে ছাড়বে হোস্টকেই তাহলে প্রাকৃতিক নিয়মেই তার সারভাইভাল বা টিকে থাকার সম্ভাবনা কম। হোস্টই যদি ধ্বংস হয়ে যায় তাহলে ভাইরাসের ছানা পোনারা বাঁচবে কিসের ভিতর? তাই হোস্টের অবস্থা যত খারাপ হতে থাকে ততই ভাইরাসের মারক ক্ষমতা কমে আসে, সে চায় আমিও থাকি হোস্টও থাকুক। প্রশ্ন উঠতেই পারে ভাইরাস তো পুরোদস্তুর সজীব পদার্থই নয় তবু সে এই হোস্ট বা পোষকের ভালো অথবা খারাপ অবস্থা বোঝে কী ভাবে? এখানেই তার কেরামতি, কিছু মলিকিউলার সেন্সর সে সব সময় তৈরি করে যাচ্ছে যাদের কাজই হল হোস্টের অবস্থা যাচাই করা। হোস্টের অবস্থা সঙ্গিন হয়ে পড়লে তার সংক্রমণ-ঝড়ের গতিবেগও স্তিমিত হয়ে আসে। এটা দু'ভাবে হতে পারে - এক, হোস্টের SOS সিগন্যালে সাড়া দিয়ে সে জাহাজকে আর পুরোপুরি ডুবতে দেয় না আর দুই, মিউটেশনের ফলে প্রকৃতিই তাকে অবদমিত করে ফেলে । ২০০২ এবং ২০১৩-এর মহামারি সৃষ্টিকারী করোনাভাইরাস যথাক্রমে চারগুণ ও দশগুণ মারক ক্ষমতার অধিকারী ছিল এই কোভিড-১৯-এর তুলনায়, ফলে প্রকৃতি তাদের সরিয়ে দিয়েছে - ফণা নামাতে বাধ্য করেছে অকেজো করে দেওয়া মিউটেশনের সাহায্যে। কোভিড-১৯-এর গতিবিধি দেখে মনে হচ্ছে সে যেতে নয়, থাকতেই এসেছে। ওমিক্রনের আবির্ভাব তার একটা ইঙ্গিত দিচ্ছে বটে তবে কোভিড নিয়ে শেষ কথা ওমিক্রনই বলবে - এটা ভাইরোলজির কোন ছাত্রই এখনো বুক বাজিয়ে বলতে পারবেন না।

ওমিক্রন আদতে নভেল করোনারই একটা প্রকরণ বা ভ্যারিয়ান্ট। তার কথায় বিস্তারিতভাবে ঢোকার আগে জেনে নিতে পারি ভ্যারিয়ান্ট বলতে কী বুঝি আমরা? জীবন বিজ্ঞানের ভাষায় প্রকরণ বা ভ্যারিয়ান্ট হল তারা যারা মূল জীবটির জীন চরিত্রে কিছু অদল বদলের ফলে সৃষ্টি হয়েছে। ধরুন, আম গাছের কথা। ল্যাংড়া, হিমসাগর, চৌষা, ফজলি থেকে শুরু করে অ্যালফনসো - হাজারো ভ্যারাইটি হলেও মুল গাছটা যে আমই তাতে কোন সন্দেহ নেই। ২০১৯ -২০ থেকেই কোভিডের একাধিক ভ্যারিয়ান্ট শনাক্ত হয়েছে পৃথিবীর নানা প্রান্তে। আলফা, বিটা, ডেল্টা এবং সাম্প্রতিকতম ওমিক্রন - এদের উদ্ভব কিন্তু ২০১৯-এর শুরুতে প্রথমবার সনাক্ত হওয়া SARS-CoV-2-এর জিনচরিত্রে স্বতস্ফুর্ত বদলের মাধ্যমে। এমনিতে ভাইরাসের সজীবতার সপক্ষে যুক্তি বলতে এক, সুনির্দিষ্ট পোষক বা পোষকগোষ্ঠীকে সংক্রামিত করবার ক্ষমতা যাকে আমরা তার অ্যান্টিজেনধর্মিতা বলতে পারি এবং দুই, আক্রান্ত পোষকের দেহকোষের সব জরুরি ক্রিয়াকলাপকে নিজের নিয়ন্ত্রণাধীন করে, কার্যত সেটিকে দাস বানিয়ে ফেলে বংশবৃদ্ধি করা। এই দুটি কাজের জন্যই প্রয়োজনীয় খবরাখবর থাকে ওদের জিনবস্তুতে, কোভিডের ক্ষেত্রে যেটা হল আর.এন.এ.। সেটায় বদল এনে ভাইরাস তার অনেক কিছুই বদলে ফেলতে পারে তবে বিপদ হয় যখন অ্যান্টিজেনধর্মিতায় বদল আসে। তখন শরীরের পূর্বেকার সব চেনাজানাই চৌপাট, মনে হয় ইনি নতুন অতিথি বটেন, শরীরের স্বাভাবিক অথবা টিকাসঞ্জাত প্রণোদিত প্রতিরোধক্ষমতা তাকে চিনে ঊঠতে পারে না। ২০২১-এর গোড়া থেকে টিকা কর্মসূচির ব্যাপকতা কোভিডের আলফা বিটা গামা এবং ডেল্টা ভ্যারিয়ান্টের বিরুদ্ধে কিছু প্রতিরোধ যে গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে তা তো সংক্রমণহার এবং হাসপাতালে ভর্তি হবার ক্রমহ্রাসমান লেখচিত্রেই প্রতীয়মান। ওমিক্রন, শোনা যাচ্ছে টিকাসঞ্জাত প্রতিরোধক্ষমতাকে অকেজো করে ছেড়েছে। সংখ্যাবৃদ্ধি - এই একটিই উদ্দেশ্য সংক্রমণের, এবং জিন-চরিত্রে বদল আনার উদ্দেশ্যও একটিই - আমার সন্তান যেন থাকে দুধেভাতে। যে ছানাপোনারা সংক্রমণের পর তৈরি হবে এবং যে বিপুল সংখ্যায় তৈরি হবে তাদের জন্য নতুন পোষকদেহ, নতুন কোষের সরবরাহ সুনিশ্চিত করা। অসংক্রামিত কোষ যখন নতুন সংক্রমণের মোকাবিলা করবে তখন তার অবস্থা যেন ঝানু ফাস্ট বোলারের সামনে ক্রিজে আসা টেল-এন্ডারের মতই হয় তা সুনিশ্চিত করতেই এই বদল। সুতরাং বিস্মিত হবার মত কিছু নেই, বরং বলা যায়, এটাই হবার ছিল। তবে আশার কথা এই যে, ওমিক্রন অনেক বেশি সংক্রামক হলেও অনেক কম মারক ক্ষমতার অধিকারী।

ওমিক্রনের প্রথম হদিশ বোতসোয়ানা ও দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে মাত্রই নভেম্বর মাসের শেষাশেষি। ইতিমধ্যেই সে দাবানলের মত ছড়িয়ে পড়েছে সারা বিশ্বে বিশেষত ইউরোপ ও আমেরিকায় এবং ভারতে। তবে প্রায় শুরু থেকেই লক্ষ করা যাচ্ছিল যে এমনকি টিকাকরণের হার যেখানে সন্তোষজনক নয় সেখানেও ওমিক্রনে আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তি হবার হার ডেল্টার তুলনায় অনেকটাই কম এবং সংক্রমণ ক্ষমতা ডেল্টার তুলনায় তিন-চার গুণ বেশি হওয়া সত্ত্বেও মৃত্যুহার তুলনায় নগণ্য বলা চলে। আরো একটা আশাব্যঞ্জক সংবাদ এই যে দক্ষিণ আফ্রিকা সরকার ৩০শে ডিসেম্বর জানিয়েছে তারা মাত্র মাসখানেকের মধ্যেই ওমিক্রন সংক্রমণের হার চূড়ায় পৌঁছে নামতে দেখছে হাসপাতালে ভর্তির হারে কোন বৃদ্ধি না দেখতে পাওয়া সত্ত্বেও। ব্রিটেন জানিয়েছে তাদের দেশে ওমিক্রন সংক্রমণে হাসপাতালে ভর্তির হার ডেল্টার তুলনায় অর্ধেক। কিন্তু ঘটনা এই যে ভ্যাকসিনসঞ্জাত ইমিউনিটিকে বা এক-দুইবার কোভিডে ভুগে ওঠা লোকের অ্যান্টিজেনিক অভিজ্ঞতাকে ওমিক্রন খুব একটা পাত্তা দিচ্ছে না। কেন এবং কিভাবে তা পারছে ওমিক্রন তা একটু হলেও স্পষ্ট হচ্ছে। ইঁদুরের ফুসফুসে বা কৃত্রিম মানব-ফুসফুস তৈরি করে সেখানে ওমিক্রন সংক্রমণ ঘটিয়ে দেখা গেছে পূর্বতন ভ্যারিয়ান্টগুলোর তুলনায় এটির ফুসফুসে আক্রমণ করবার ক্ষমতা বেশ কিছুটা কম। কোভিডের প্রকোপ নাক থেকে ফুসফুসে পৌঁছালেই সেটি মারাত্মক হয়ে ওঠে। নাকে গলায় আটকে থাকলে এমন কি সংক্রামিত ব্যক্তিও পুরোপুরি আসিম্পটম্যাটিক হতে পারে। আগেকার ভ্যারিয়ান্টগুলো ফুসফুসে প্রবেশ করতে একটা প্রোটিনের সাহায্য নিত যেটা ফুসফুসের কোষেরই একটা উপাদান - TMPRSS2 এবং ফুসফুসের দুয়ারে ধাক্কা মারা অতিথিকে ভিতরে ঢুকিয়ে নিতে এই প্রোটিনের ভূমিকা সদ্য প্রমাণিত। ওমিক্রন, দেখা যাচ্ছে, এই TMPRSS2 প্রোটিনটিকে চিনতে ব্যর্থ হচ্ছে ফলে ফুসফুসে প্রদাহ সৃষ্টি করার ক্ষমতা এটির সীমাবদ্ধ। এই কারণে মানুষ ভুগছে কম, অক্সিজেন লাগছে কম, স্টেরয়েড লাগছে না, রেমডিসিভিরের গল্প শোনা যাচ্ছে না, আইসিইউ-তে রোগী ভর্তি হচ্ছে কম এবং ভেন্টিলেটর লাগছে না বললেই চলে। কোমর্বিডিটির কারণে ব্যতিক্রম থাকতেই পারে, তবে মোটের উপর রোগী সেরে উঠছে তাড়াতাড়ি যদিও সংক্রমণ হার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই বৃদ্ধিও ওমিক্রনের শ্বাসনালীর উর্ধাংশে সীমাবদ্ধ থাকার সঙ্গে সম্পর্কিত। নাক-মুখ থেকে যত ড্রপলেট বাতাসে মিশতে পারে ফুসফুস থেকে তা হওয়া সম্ভব নয়। ফলে এই নবতম ভ্যারিয়ান্টের R-Value (একজন আক্রান্ত মানুষ কতজন সুস্থ মানুষকে সংক্রামিত করতে পারে সে হার) প্রায় ৪ যেখানে আগে তা ১.৩/১.৪-এর মত ছিল। একই সঙ্গে এটাও ঠিক যে, বাচ্চাদের নাসিকাপথ সরু এবং নবজাতকেরা মুখ দিয়ে শ্বাস নিতে পারে না বলে ওমিক্রনের ঘনত্ব বাচ্চাদের আপার রেসপিরেটরি ট্র্যাক্টে অপেক্ষাকৃত বেশি হবারই কথা। এই কারণে শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে অন্য ভ্যারিয়ান্টের তুলনায় বেশি হারে।

একে তৃতীয় ঢেঊ বলাই যায় তবে ভাইরাস নিয়ে যারা চর্চা করেন, তারা মানবেন এখানেই শেষ বলাটা খুব প্রিম্যাচিওর হয়ে যাবে। ভাইরাসের জিন বিন্যাসে বদল সবচাইতে স্বাভাবিকভাবে আসে যে পদ্ধতিতে তাকে বলে 'মিউটেশন'। ভাইরাসের ক্ষেত্রে বিশেষত ইনফ্লুয়েঞ্জা বা করোনাভাইরাসের মত আরএনএ ভাইরাসের ক্ষেত্রে মিউটেশনের হার আর পাঁচ রকম ভাইরাসের তুলনায় বহগুণ বেশি। এছাড়া, দুটো ভিন্ন ভিন্ন ভ্যারাইটি নিজেদের মধ্যে জিন আদান প্রদান করে তৃতীয় কোন ভ্যারিয়েন্টের জন্ম দিতে পারে - 'রিকম্বিনেশন' যার নাম। এই সব কয়টি সম্ভাবনা প্রথম থেকেই খোলা ছিল, ওমিক্রন এসে যাবার পরেও খোলা আছে। সব সময় এই মিউটেশন আরো অচেনা ভ্যারিয়ান্টের সূচনা করবে তা নয়। মিউটেশন ভাইরাসকেই ঝাড়ে বংশে নির্মূল করে দিতে পারে যেমন হয়েছিল ইতিপূর্বে ২০০২-এর সার্স বা ২০১৩-এর মার্স করোনা ভাইরাসের ক্ষেত্রে। তবে যত বেশি মানুষ সংক্রামিত হবে ততই গোষ্ঠী প্রতিরোধক্ষমতা তৈরি হবে - 'হার্ড ইমিউনিটি' কথাটা আজ আর কারো কাছে অজানা নয় বলেই অনুমান করি। টিকা নিয়ে অথবা সংক্রমণের হার বেড়ে মানবশরীর করোনাকে সম্পূর্ণ রুখে দিতে পারবে এমনটা যদি নাও হয় সে ক্রমে সহাবস্থানে রপ্ত হয়ে উঠবে এটা বলা হয়ত যায় তবে তা এখনই কিনা অর্থাৎ এই তৃতীয়ই শেষ ঢেউ কিনা তা বলা অসম্ভব।


সূত্রঃ

1. তৃতীয় তরঙ্গ রেঃ স্বপন ভট্টাচার্য; https://www4numberplatform.com/?cat=315
2. https://doi.org/10.1038/d41586-022-00007-8