আরেক রকম ● দশম বর্ষ দ্বিতীয় সংখ্যা ● ১৬-৩১ জানুয়ারি, ২০২২ ● ১-১৫ মাঘ, ১৪২৮

প্রবন্ধ

স্ট্রাটেজিক পেট্রোলিয়াম রিজার্ভ

অর্ধেন্দু সেন


আমেরিকার সরকারি ভাণ্ডারে মজুত রয়েছে ৭০ কোটি ব্যারেল অপরিশোধিত তেল। আইন অনুযায়ী একমাত্র প্রেসিডেন্টের নির্দেশেই এই ভাণ্ডারের তেল ব্যবহার করা যায় তাও যখন যুদ্ধ বা সাঙ্ঘাতিক সাইক্লোন ইত্যাদির ফলে দেশে তেলের সরবরাহ বিঘ্নিত হয় এবং এমন ঘাটতি দেখা দেয় যা অন্য উপায়ে পূরণ করা কঠিন। নভেম্বর মাসে প্রেসিডেন্ট বাইডেন সিদ্ধান্ত নেন এই ভাণ্ডার থেকে ৫ কোটি ব্যারেল ছাড়া হবে বাজারে - প্রথমে ৩ কোটি তারপর ২ কোটি। এও ঠিক হয় যে কয়েক মাসে একটু একটু করে একই পরিমাণ তেল ফিরিয়ে দেওয়া হবে ভাণ্ডারে। এক ব্যারেল তেলের দাম যদি ৩০ ডলার ধরি তাহলে মজুত তেলের মূল্য হবে ২১০০ কোটি ডলার মানে দেড় লক্ষ কোটি টাকা। এতো টাকার বিনিয়োগ কি সত্যিই যুক্তিযুক্ত? এ প্রশ্নের উত্তর পেতে হলে পেট্রোলিয়ামের দেড়শ বছরের ইতিহাস ঘেঁটে দেখতে হয়।

পেট্রোলিয়ামের উৎপাদন শুরু হয় ১৮৫৯ সালে আমেরিকার পেনসিলভানিয়ায়। প্রথম কুপটি খনন করে বিখ্যাত হয়ে আছেন ফ্রান্সিস ড্রেক। তেল পাওয়া যায় সত্তর ফুটের মধ্যেই। কয়লার তুলনায় পরিচ্ছন্ন এবং সহজলভ্য এই জ্বালানির চাহিদা দ্রুত বাড়ে। সর্বত্র শুরু হয় অনুসন্ধান এবং উৎপাদন। আমরা পিছিয়ে থাকিনি। আসামের ডিগবয়ে উৎপাদন শুরু হয়ে যায় ১৮৮০-র দশকে। তেলের পরিশোধন শুরু হলে তার থেকে পাওয়া যায় পেট্রোল ডিজেল কেরোসিনের মতো মূল্যবান জ্বালানি। পেট্রোল বা ডিজেল ইঞ্জিনের কার্যকরিতা হয় স্টিম ইঞ্জিনের তিন গুণ। বিংশ শতাব্দীর প্রথম দুই দশকেই মোটর গাড়িতে ছেয়ে যায় ইউরোপ আমেরিকার রাস্তা।

প্রথম মহাযুদ্ধে প্রমাণিত হয় পেট্রোলিয়ামের উপযোগিতা। যুদ্ধের সময়ে সৈন্যসামন্ত বা মালপত্র আনা নেওয়া এতদিন হয়েছে কয়লা-চালিত ট্রেনে। এই যুদ্ধে প্রথম দেখা গেল ব্যাপক হারে মোটর গাড়ির ব্যবহার। যুদ্ধক্ষেত্রে পরিবহন ছিল পায়ে হেঁটে বা ঘোড়ার পিঠে। মহাযুদ্ধে মাঠে নামল 'ট্যাঙ্ক'। যার ফলে পালটে গেল যুদ্ধের গতি-প্রকৃতি। একইসঙ্গে শুরু হয় ডিজেল চালিত জাহাজের ব্যবহার। ব্রিটেনে তেলের জোগান কম হওয়া সত্ত্বেও চার্চিল নৌসেনাকে নির্দেশ দেন কয়লার বদলে ডিজেলের ব্যবহার বাড়াতে। এ সিদ্ধান্ত যে ঠিক ছিল তা মহাযুদ্ধেই প্রমাণিত হয়। বিশ্বযুদ্ধে তো বটেই।

এসময়ে ব্রিটেনে তেলের জোগান দিত অ্যাংলো-পারশিয়ান কোম্পানি। তাদের তেল আসত পারস্য থেকে। আর ছিল শেল কোম্পানি। এদের ক্ষেত্রগুলি ছিল এশিয়ার বিভিন্ন জায়গায়। ব্রিটেন যেহেতু সম্পূর্ণ নির্ভর ছিল তেলের সরবরাহের উপর, জার্মানি শুরু করল তেলবাহী জাহাজ টরপেডো করে ডোবানো। এর ফলে ব্রিটেনের অবস্থা এতোই খারাপ হয় যে আমেরিকা বাধ্য হয় ব্রিটেনের পক্ষে যুদ্ধে নামতে। এরপর মিত্রশক্তির সমস্যা থাকেনা। আমেরিকার স্ট্যান্ডার্ড অয়েল কোম্পানিও শুরু করে মেক্সিকো আর আমেরিকা থেকে তেল পাঠাতে। ব্রিটিশ সরকারকে অবশ্য তাও হিমসিম খেতে হয় তেলের চাহিদা মেটাতে। যুদ্ধের প্রয়োজনে অসামরিক ক্ষেত্রে সরবরাহ প্রায় বন্ধ করে দেওয়া হয়। লর্ড কার্জন তখন ব্রিটেনের মন্ত্রীসভার সদস্য। যুদ্ধ মিটলে তিনি পার্টনারদের ধন্যবাদ দিয়ে বলেন 'মিত্রশক্তি বিজয়ে পৌঁছেচে তেলের ঢেউয়ে ভেসে'।

বিশ্বযুদ্ধের পরের পঁচিশ বছরে পশ্চিমের দেশগুলিতে দেখা যায় আর্থিক উন্নয়নের জোয়ার। এছাড়া ভারতের মতো সদ্য স্বাধীন দেশগুলিতেও মানুষ চায় দ্রুত আর্থিক বৃদ্ধি। দুই কারণেই জ্বালানির চাহিদা বাড়ে। এই সময়ে তেল শিল্পের নিয়ন্ত্রণ আসে 'সেভেন সিস্টারস' নামে খ্যাত সাতটি অতি-বৃহৎ মালটিন্যাশনালের হাতে। এরা সক্ষম হয় পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে অনুসন্ধান চালিয়ে তেলের উৎপাদন শুরু করতে। পৃথিবী জুড়ে বড় বড় পাইপলাইন পাতা হয় এই তেল বন্দরে নিয়ে যেতে। সেখানে তাদের তোলা হয় জাহাজে যাদের আয়তন বাড়তে বাড়তে পৌছয় ২০ লক্ষ ব্যারেলে। জাহাজগুলি তেল পৌঁছে দেয় পরিশোধনাগার বা রিফাইনারিতে। আবার পাইপলাইন বা ট্যাংকার। পেট্রোল ডিজেল চলে আসে পাম্পে।

অপরিশোধিত তেল ভূগর্ভ থেকে তুলে পাম্পে ডিজেল পৌঁছে দেওয়া নিশ্চয়ই খরচ সাপেক্ষ কাজ। তেল কোম্পানি এ কাজ তখনই করবে যখন ভাল দাম পাওয়া যাবে। তাহলে কি পেট্রোলের দাম প্রতি বছরই বেড়েছে? বিশ্বযুদ্ধের পরের পঁচিশ বছরকে বলা হয় তেলের স্বর্ণযুগ। এই সময়ে তেলের দাম অল্পই বাড়ে। মুদ্রাস্ফীতি বাদ দিলে দেখা যাবে দাম কমেছে। এটা সম্ভব হয়েছিল তেল খোঁজার তোলার এবং বাজারজাত করার প্রযুক্তিতে ক্রমাগত উন্নতির ফলে। এর কৃতিত্ব তেল কোম্পানিগুলির প্রাপ্য। কিন্তু তারা কি সবাইকে খুশি করতে পেরেছিল?

ততদিনে তেল উৎপাদনের কেন্দ্র আমেরিকা থেকে সরে এসেছে মধ্যপ্রাচ্যে। ইরান ইরাক সৌদি আরব তখন তেল উৎপাদনের শীর্ষে। তেল কোম্পানিগুলি এইসব দেশের সরকারের সঙ্গে যে চুক্তি করত তা ছিল একেবারেই একতরফা। তেলের মূল্য নির্ধারণ করত কোম্পানি। সরকারের কিছু করার থাকত না। প্রত্যেকটি দেশই বুঝতে পারে কোম্পানিগুলি কৃত্রিম উপায়ে দাম কম রেখে তাদের বঞ্চিত করছে। অসন্তোষ বাড়তে থাকে। ১৯৬০ সালে ১২টি দেশ একত্র হয়ে 'ওপেক' নামে এক সংগঠন তৈরি করে কোম্পানিদের সঙ্গে দর কষাকষি করার জন্য।

ওপেকের কাজকর্মে সরকারের উপার্জন কিছুটা বাড়লেও তেলের বাজারের রাশ থেকে যায় ক্রেতার হাতে বিক্রেতার হাতে নয়। তেল কোম্পানির সম্পদ জাতীয়করণ করা যেত হয়তো কিন্তু তেল উৎপন্ন করে ভাল দামে বিক্রি করার বিদ্যে কোম্পানিগুলির কাছেই ছিল। তেল কোম্পানিগুলি কিরকম মুনাফা করছে তা পরিষ্কার বোঝা যেত তাদের বড়কর্তাদের আচরণ থেকে। মধ্যপ্রাচ্যের কোনও দেশের সঙ্গে মিটিং চলাকালীন তাদের জন্য ঘর রাখা থাকত প্যারিসের পাঁচতারা হোটেলে। কোম্পানির জেটও রেডি থাকত। অনেকেই পছন্দ করতেন ডেলি প্যাসেঞ্জারি।

এমনই সময়ে 'ওপেক' ১৯৭৩ সালে একটা সুযোগ পায় এবং তার সদব্যাবহার করে। ১৯৭১ সালে আমেরিকা বাধ্য হয় ঐতিহাসিক ব্রেটন-উডস সমঝোতা পরিত্যাগ করতে। ডলার দিয়ে যেকোনো সময়ে সোনা কেনা যেত। সে সুযোগ আর থাকেনা। অর্থনীতির বিপদ কাটতে না কাটতে প্রেসিডেন্ট নিক্সন জড়িয়ে পড়েন ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারিতে। আমেরিকার সময় ভাল যাচ্ছে না বুঝে সোভিয়েতের মদত নিয়ে আনওয়ার সাদাত ইসরায়েল আক্রমণ করেন।

তখনও পেগেসাস তৈরি হয়নি। ইসরায়েল একেবারেই প্রস্তুত ছিল না। যুদ্ধে বিধ্বস্ত হয়ে তারা আমেরিকার সাহায্য চায় অত্যাবশ্যক পণ্যের সরবরাহ চালু রাখতে। আমেরিকা প্রকাশ্যে সাহায্য করতে চায়নি। তাদের প্ল্যান ছিল রাতের অন্ধকারে সাপ্লাই পাঠানোর। কিন্তু জানাজানি হয়ে যায়। বেজায় চটে আরব দেশগুলি। তাদের চাপে ওপেক সিদ্ধান্ত নেয় যে আমেরিকা এবং তার সহায়ক নেদারল্যান্ডে তেল রপ্তানি বন্ধ থাকবে। বিপদে পড়ে আমেরিকা কারণ তাদের প্রয়োজনের অর্ধেক আসতো ওপেক থেকে। মহাযুদ্ধে বিপাকে পড়েছিল ব্রিটেন। এবার বিপাকে পড়ে আমেরিকা।

আমেরিকা সহজেই বোঝে যে এ সমস্যা এককালীন নয় এবং এর মোকাবিলায় ধনী দেশগুলির মধ্যে আলাপ আলোচনার জন্য একটা স্থায়ী ব্যবস্থা থাকা দরকার। তৈরি হয় ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি (আইইএ)। এজেন্সির একটা সুপারিশ ছিল যে সব দেশেই তেলের এমারজেন্সি ভাণ্ডার রাখা হবে যাতে অন্তত নব্বই দিন আমদানি না করেই চালিয়ে নেওয়া যায়। আমেরিকা এই ভাণ্ডার তৈরি করে ফেলে ১৯৭৫ সালে। গালফ অফ মেক্সিকোর ধারে আমেরিকায় বেশ কিছু লবণের ডিপোজিট আছে যা মাটির খুব নিচে নয়। তার থেকে পাম্প করে লবণ বার করে নিয়ে সে জায়গায় তেল রাখা যায়। আমেরিকার তেল এভাবেই মজুত করা আছে চার জায়গায়। আইইএ-র অন্য সদস্য দেশ এবং ভারতের মতো কিছু দেশ যারা সদস্য নয় কিন্তু যে দেশে তেলের চাহিদা বেশি তারাও সম্মত হয় তেল মজুত করতে। তেল আমদানির হিসেবে ভারত এখন দ্বিতীয় স্থানে তাই তেল মজুত করার যথেষ্ট কারণ আছে। আমাদের ৩ কোটি ব্যারেলের স্টক রাখা আছে অন্ধ্রপ্রদেশ ও কর্ণাটকের তিন জায়গায়।

কতবার কাজে লাগানো হয়েছে তেলের ভাণ্ডার? আমেরিকার ভাণ্ডার প্রথম কাজে লাগে ১৯৯১ সালে আমেরিকা-ইরাক যুদ্ধের সময়ে। আমেরিকা তখন ৩ কোটি ব্যারেল তেল বিক্রি করে। ২০০৫ সালে হারিকেন রিটা এবং ক্যাটরিনার জন্য মেক্সিকোর গালফে উৎপাদন বন্ধ রাখতে হয়। এবারেও ৩ কোটি ব্যারেল তেল ছাড়া হয়। এরপর ২০১১ সালে লিবিয়া এবং অন্যান্য দেশে অসন্তোষের দরুন তেল উৎপাদন অনেক কম হয়। এবার ৬ কোটি ব্যারেল তেল ব্যবহার করা হয় বাজারকে শান্ত করতে।

১৯৭৩ সালে যখন তেলের ভাণ্ডার ছিলনা তখন তেলের দাম চারগুণ বেড়ে ব্যারেলে ৩ ডলার থেকে হয় ১২ ডলার। এই সময়ে সরবরাহে ঘাটতি ছিল ১৪ পারসেন্ট। অতিরিক্ত তেল সরবরাহের পরেও প্রতিবারই দাম বেড়েছে। বলা যায় তেল বাজারে না এলে দাম আরও বাড়ত তবে কতোটা বাড়ত বলা অসম্ভব।

তাই তেল ভাণ্ডারের খরচ বেশি না বেনিফিট বেশি সে হিসেব করা যায় না। অনেকে এও বলেন যে তেলের দাম অনেকটা কমে যাবে এই ভয়ে যদি রিফাইনারি তেল কেনা স্থগিত রাখে তাহলে পেট্রোলের দাম কমার বদলে বেড়ে যেতে পারে! সমস্যা আরও আছে। কতোটা তেল ছাড়বো ঠিক কবে ছাড়বো এ প্রশ্নের কোনও সর্বসম্মত উত্তর আজও পাওয়া যায়নি। কিন্তু আমেরিকা অতো হিসেব করেনি। আরব দেশ আর সোভিয়েতের কাছে পরাজয় স্বীকার? তেলের ভাণ্ডার আমাদের চাই। যতো টাকাই লাগুক।

রিপাবলিকানরা চিরকাল ভাণ্ডারের বিরুদ্ধে। তারা মনে করে সরকারের কখনোই উচিত নয় বাজারে হস্তক্ষেপ করা। ডেমোক্র্যাটরা মনে করে জনগণকে রিলিফ দেওয়া সরকারের কর্তব্য। ক্লিনটন যখন এই রিজার্ভ ব্যবহার করেছিলেন তখনও কোনও এমারজেন্সি ছিলনা। তাঁর সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা হয়। এবার বাইডেনও তাই করলেন। তাঁর বক্তব্য আমেরিকা কোভিডের প্রভাবমুক্ত হয়েছে। তাই তেলের চাহিদা ও দাম দুই বাড়ছে। ছুটির মরসুম আসন্ন। আমেরিকানরা চাইবে লম্বা সফরে বেরোতে। এখন কি তেলের দাম বাড়তে দেওয়া যায়?

এটা কিন্তু সম্পূর্ণ বেআইনি কথা। তাহলেও বাইডেনের সিদ্ধান্তে যুক্তি খুঁজে পেতে অসুবিধা হয়না। ২০২২ সালে সেনেটের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ আসনে নির্বাচন। তাই ভোটারকে খুশি রাখা দরকার। এবারে শুধু আমেরিকা নয়। তার সাথে আছে ভারত, ব্রিটেন, চিন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া। ভারত বিক্রি করবে ৫০ লক্ষ ব্যারেল। পাঁচ দেশ মিলে করবে ১ কোটি ১০ লক্ষ ব্যারেল। বাইডেন বলবেন, এটা তাঁর বিরাট কূটনৈতিক সাফল্য। কিন্তু আমরা কোন যুক্তিতে আমাদের ভাণ্ডার থেকে তেল খরচ করবো? যথারীতি সরকার কোনও কারণ দেখায়নি। ট্রাম্পকে নিয়ে আমরা কম মাতামাতি করিনি। বাইডেনকে তেল দিয়ে তার প্রায়শ্চিত্ত করছি?

বাইডেনের সিদ্ধান্ত কিন্তু আরেক দিক থেকেও সমালোচনাযোগ্য। এইতো সেদিন গ্লাসগো সম্মেলনে সবাই মিলে অঙ্গীকার করলেন যে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমাবেন যাতে বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা দেড় ডিগ্রীর বেশি বাড়তে না পারে। পেট্রোলের দাম কিছুটা বাড়লে কি খুব অসুবিধা ছিল? আমেরিকার মানুষ এখনও বুঝতে পারছেন না তারা কি অপূরণীয় ক্ষতি করছেন আমাদের? এমারজেন্সি ভাণ্ডারের কথা না ভেবে এখন ভাবতে হবে সোলার এনার্জি, প্রাকৃতিক গ্যাস এবং এনার্জি এফিসিয়েন্সি বাড়ানোর কথা। প্রেসিডেন্ট জিমি কারটার একেই বলেছিলেন 'যুদ্ধের নৈতিক বিকল্প'। সবই কি তাহলে কথার কথা?