আরেক রকম ● দশম বর্ষ ত্রয়োদশ সংখ্যা ● ১-১৫ জুলাই, ২০২২ ● ১৬-৩১ আষাঢ়, ১৪২৯

প্রবন্ধ

খনিজের চক্রে আর খাদানের ফাঁদে

যশোধরা রায়চৌধুরী


প্রথম নাটকটা অভিনীত হয় ভিনদেশে। বোর্নিওর জঙ্গলে আত্মহত্যা!

পুরোপুরি একটি রমরমে রহস্য রোমাঞ্চ উপন্যাস যেন। মাইকেল ডিগুজম্যান। ফিলিপিনো। ক্যানাডিয়ান খনিজ অনুসন্ধান কম্পানি ব্রেক্সট-এর কর্মী। স্ত্রীকে ফোন করার কয়েক ঘন্টার মধ্যে নিখোঁজ। দুশো পয়ঁষট্টি মিটার উচ্চতা থেকে পতনে মৃত্যু। হেলিকপ্টারে জঙ্গলের ভেতরে সোনা খুঁজছিল তাঁর কম্পানি।

মৃত্যুর পর জানা যায় ৪১ বছর বয়সী মাইকেলের একাধিক স্ত্রী ও পরিবার ছিলেন একাধিক শহরে। প্রায় ওয়েব সিরিজের মত গল্প আরকি। পুলিশ জানায় আত্মহত্যা করেছেন মাইকেল। তাঁর লেখা চিঠি দেখানো হয় প্রমাণ হিসেবে।

ক্রমশ অনেক খোঁড়াখুঁড়ির পর জানা গেল, এর পেছনে আছে বিশাল এক স্ক্যান্ডাল। স্বর্ণখনির স্ক্যান্ডাল। এই তো সেদিন ঘটে যাওয়া ঘটনা, ২০২০-তে। নকল রিপোর্ট দেখিয়ে, জমির তলায় সোনা আছে বলে লক্ষ লক্ষ টাকা তোলা, জিওলজিস্ট থেকে সরকারি কর্মচারীদের ঘুষ দেওয়া ও বড় বড় অফিস স্পেস দখল করা এবং একদিন সব আমানতকারীর লগ্নির টাকা নিয়ে ভোঁভাঁ হয়ে যাওয়া। এই হল এই সোনার খনির গল্পটির মূল কাঠামো।

তার আগে পরে, ফিলিপিন্স, ইন্দোনেশিয়ার মত দেশে নানারকমের মাইনিং স্ক্যাম বা খনি কেলেংকারির গল্প গজিয়ে উঠেছে। আফ্রিকা বা এশিয়া মহাদেশের যে কোন তৃতীয় বিশ্বীয় দেশের গল্প একই। মাটির তলায় গিসগিস করা দামি খনিজ পদার্থের বিষয়-আশয় নিয়ে এরা বসে আছে। আর তাবৎ মাল্টিন্যাশনাল মাইনিং কর্পোরেশনগুলো এদের পাখির চোখ করেছে। পেছনে আছে নানা লগ্নিকারী সংস্থা ও দেশ। কেননা খনিজ নিষ্কাষণ এক পুঁজিনির্ভর ক্রিয়া।

প্রথমটি না-থাকা খনিজের গল্প। তেমনই, বাতাসে উড়ছে গল্প। ছোট ছোট গরিব রাষ্ট্রগুলোর ক্ষীণজীবী সরকার ও ক্ষণজন্মা প্রেসিডেন্ট-মন্ত্রীদের চোখে ধুলো দিয়ে, সামান্যতম রয়্যালটি দিয়ে লক্ষ লক্ষ টন দামি আকরিক তুলে নেওয়ার গল্প। ফলত, মস্ত মস্ত সব আন্তর্জাতিক 'নিয়ন্ত্রক' সংস্থার নাওয়া খাওয়া ঘুম উড়ে গেছে মাইনিং নিয়ে... বেআইনি খাদান, পরিবেশের ক্ষতি করা খাদান, অপর্যাপ্ত ও অপরিকল্পিতভাবে খনিজ পদার্থ তুলে নেওয়া কোম্পানিদের কীর্তিতে। প্রতিদিন একটু একটু করে হারিয়ে যাওয়া প্রাকৃতিক সম্পদের বিলি-বন্টন বিপুল অপচয় ও তা ঘিরে কোটি কোটি ডলারের ব্যবসা... আন্তর্জাতিক বা এমএনসি-গুলোকে এলাকা লিজ দিয়ে সর্বস্বান্ত হওয়া রাষ্ট্র। এই দিনে-ডাকাতি করা মাইনিং কর্পোরেশনের হাত থেকে রাষ্ট্রদের বাঁচাতে পরিকল্পনার কোন শেষ নেই। শেষ নেই নানা নিয়ন্ত্রক আইন প্রণয়নের চেষ্টার। শেষ নেই স্বচ্ছতা আনার জন্য ডিজিটাইজড মাধ্যমে প্রতি টন আকরিকের সঙ্গে তা থেকে প্রাপ্য রয়্যালটি, অন্যান্য কর, ফি ইত্যাদিকে যুক্ত করে, পর্যবেক্ষণের আতশকাচের তলায় আনার প্রচেষ্টারও।

ফলত মাইনিং বা খনি সম্পদের নিয়ন্ত্রণ এখন হট টপিক। এইখান থেকেই উৎপত্তি হয়েছে বিশ্বজোড়া এক সচেতনতার। যার নাম, ন্যাচারাল রিসোর্স অ্যাকাউন্টিং। প্রাকৃতিক সম্পদের পরিগণনা।

এর প্রয়োজনীয়তার কথা প্রথম বলা হয়েছিল ১৯৭০ সালে। সেবার প্রথম অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও পরিবেশের অবনতির গূঢ় সম্পর্ক নিয়ে জাতিসংঘের সম্মেলনে আলোচনা হয়। তারপর ১৯৮৭-তে ব্রুন্ডল্যান্ড কমিশন পরিবেশের সঙ্গে প্রাকৃতিক সম্পদের উৎপাদনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা বলে। ১৯৯২ সালে রিও ডিজেনেইরোর আর্থ সামিট-এ পরিবেশগত পরিগণনা (এনভায়রনমেন্টাল অ্যাকাউন্টিং)-য় এর কথা প্রথম তোলা হয়। জাতিসংঘ এই উদ্দেশ্যে আন্তর্জাতিক মান বা স্ট্যান্ডার্ড বের করে ১৯৯৩ সালে। এর নাম, "জাতীয় হিসাবের সংকলন"। ২০০৯ সালে এই ফরম্যাট সংশোধিত হয়। ২০১২-তে গৃহীত হয় SEEA - সেন্ট্রাল ফ্রেমওয়ার্ক।

জাতীয় স্তরে প্রাকৃতিক সম্পদের পরিগণনা বা সোজা কথায় ভূগর্ভস্থ সম্পদ এবং খাদান থেকে তোলা সম্পদ কতটা কী আছে তার খতিয়ান নেওয়া খুবই জরুরি। বিশ্বব্যাপী একটা চেষ্টা এখন, প্রতিটি রাষ্ট্র তৈরি করবে তাদের "ন্যাশনাল রেজিস্টার অফ অ্যাসেট"। এর সঙ্গে নিবিড়ভাবে যুক্ত আছে পরিবেশ ও ক্লাইমেট চেঞ্জের বিষয়গুলো। ফলে, দেশগুলি এখন রাষ্ট্রপুঞ্জের হাত ধরা হয়ে সম্মতি দিয়েছে ১৭টি সাস্টেনেবল ডেভেলাপমেন্ট গোলকে মেনে নেবার। তার অন্যতম গোল ধার্য হয়েছে ১২ এবং ১৩... ১২-তে বলেছে "দায়িত্বপূর্ণ উৎপাদন ও ভোগ প্রক্রিয়া"-র কথা, যার একটা বড় অংশ হল ২০৩০-এর মধ্যে প্রাকৃতিক সম্পদের দীর্ঘস্থায়ী পরিচালনা এবং কার্যকরী ব্যবহারের লক্ষ্য। আর ১৩-তে আছে "পরিবেশ সংরক্ষণের" কথা। এইসব এসডিজি বা বাংলায় যা দাঁড়ায় "টেকসই বা দীর্ঘস্থায়ী উন্নয়নের লক্ষ্য", অতি আলোচিত বিষয় আজকের দিনে দাঁড়িয়ে।

আইনগতভাবে আমাদের দেশে যা যা কর্তব্য তাইই করতে চায় না কেউ। না প্রাইভেট সেক্টর না পাবলিক সেক্টর। ঠেলাগুঁতোর প্রয়োজন। তাও, আইনি লড়াইয়ের বাইরে অনেক কিছুই আছে যা এখনো অবধি ঐচ্ছিক। ফলে, আরো গররাজি সরকারগুলি। সরকারি নানা ধরণের কাজ খনিজ দপ্তরগুলিকে ঘিরে, কিছু দ্রুত, কিছু খুব শম্বুক গতিতেই চলছে। যে কোন গণতন্ত্রেই খুবই কঠিন এসব লক্ষ্যমাত্রা পূরণ। ভারতের মত ফেডারাল স্ট্রাকচারে, যেখানে কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ক আলাদাই স্তরের রাজনীতির জন্ম দেয়, সেখানে তো বটেই।

ভারতে, খাদান কেলেঙ্কারির নানারূপ ও প্রকার। গোয়া বা কর্ণাটকে বিভিন্ন সময়ে ঘটে গিয়েছে আকরিক লোহা তোলা নিয়ে নয়ছয়। সেসব খবরে পড়েছেন সবাই। আবার জাতীয় স্তরে, ইতিমধ্যে ঘটে গিয়েছে ২০১২ সালের বৃহৎ কয়লা কেলেংকারি যা ২০১৪ সালে সরকার উল্টে দিয়েছিল। কয়লা জাতীয় বিষয়, রাজ্যাধীন নয়, কেন্দ্রের অধীন।এইভাবেই চলছিল। ইতিমধ্যে, এসে পড়ল জাতীয় সম্পদ পরিগণনার নতুন প্রকল্প। যেটার আইনি কোন বিধান নেই, অর্থাৎ চাইলে রাজ্য সরকারগুলি একাজটা করতেও পারেন, নাও পারেন। বাধ্যতামূলক নয়। উপদেশমূলক।

একটি কেন্দ্রীয় দপ্তরের এই দায় এসেছে। তাদেরতো বহু শুঁড়, ভারতের সব রাজ্যেই উপস্থিত। পাঞ্জাব থেকে সিকিম, অরুণাচল থেকে তামিলনাড়ু, সব রাজ্য সরকারকেই এখন গিলিয়ে দিতে হবে একটি তিক্ত পিল। জাতীয় সম্পদ পরিগণনা। তার প্রথম লক্ষ্য হল, খাদান সম্পর্কিত তথ্য সংকলন।

ধরা যাক রাজ্যকে। সেখানে কাজটি চলেছে ঢিমেতালেই। চিঠি লেখা, উত্তর, প্রত্যুত্তর। কেন্দ্র চিঠি দিলে রাজ্যের এখন উত্তরে "না" বলা নিয়ম। তাই রাজ্যের আধিকারিকেরা জানালেন, এরাজ্যের মূল খনিজ হল কয়লা, আর কয়লা তো কেন্দ্রের বিষয়। তথ্য সংকলন আমরা কেন করতে যাব।

কয়লা তাও কেন্দ্রীয় সরকারের আওতাভুক্ত, কেননা বিদ্যুৎ উৎপাদনের সঙ্গে তার গূঢ় সম্পর্ক আছে। কাজেই অনেক তথ্যই আছে কেন্দ্রীয় সংস্থা কোল ইন্ডিয়ার হাতে। এদিকে রাজ্য সরকারের তো আছে একটি আস্ত মাইনিং ডিরেক্টোরেট। তাঁরা আছেন নিজস্ব ঢঙে, কেবলমাত্র রয়্যালটি সংগ্রহের আশায়... সে রয়্যালটিও আবার সংগ্রহ করেন জমি ও রাজস্ব দপ্তর।

কয়লা বাদে সেই রাজ্যে আরেকটি খাদানজাত বা খনিজ উৎপন্ন হয়। তার নাম বালি। বালির জন্য আলাদা কোন পর্যাপ্ত ডেটাবেস নেই। রয়্যালটির ব্যবস্থা আছে। সমস্ত খনিজই খনিগর্ভে থাকাকালীন রাজ্যের সম্পত্তি। ওঠানোর জন্য জমি লিজ দেওয়ার পরে ডেডরেন্ট দেওয়া হয়। আর প্রতি টন খনিজ তুললে দেওয়া হয় রয়্যালটি।

এসব খাতায় কলমে সত্য, কিন্তু যতক্ষণ না আসলে কত টন বালি উঠল জানা যাচ্ছে, রয়্যালটি ঠিকমত পাওয়া যাচ্ছে কিনা জানা যাবে না। সেজন্য চাই সঠিক পরিগণনার মাধ্যম। সদিচ্ছা। কে কখন কোথা থেকে বালি তুলে নিয়ে যাচ্ছে রাজ্যের জেলায় জেলায় তা হিসেব করার জন্য মানুষ দরকার দপ্তর দরকার। বছরে মোটামুটি এত টন বালি ওঠে, এটা বলার মত কোন বিশেষ উৎস নেই। নির্ভর করে রাজ্যের অভিনিবেশ আর ইচ্ছের ওপর।

অথচ বালি দুইপ্রকার। এক, বালি ওঠে নদীখাত থেকে। এর কোন হিসেব হয়না, কারণ প্রতি বর্ষার পরে বালি জমা হয়ে, শীতে সেই বালি তুলে নেওয়া হয়ে থাকে। কাজেই পরের শীতে আবার বালি তৈরি হবেই। এই যে, প্রাকৃতিক এক প্রক্রিয়ায় বালি ভরে উঠছে নদীতে। এটা সাস্টেনেবল। কিন্তু এত সহজ নয় অন্যকিছু বালি তোলা, যেখানে পাহাড়ের ঢালে বা সমতলে বালি আছে। তুলে নিলে সে জায়গা আর ভরাট হবে না। ফাঁকা হবে।

এই দু'ধরণের বালিকেই আলাদাভাবে হিসেবে রাখতে হবে। সম্প্রতি, ২০২০ সালে, কেন্দ্রীয় পরিবেশ অরণ্য ও আবহাওয়া পরিবর্তন মন্ত্রক থেকে ইস্যু করা হয়েছে একটি অতিবিস্তৃত গাইডলাইন। "Enforcement & Monitoring Guidelines for Sand Mining"। এই গাইডলাইন কিন্তু পাবলিক ডোমেনে আছে, যে কেউ পড়ে দেখতে পারেন। উপকার হবে। তার আগে ২০১৬-তে "সাস্টেনেবল স্যান্ড ম্যানেজমেন্ট গাইডলাইন" আনা হয়েছে। বিশাল বড় কাজ এগুলো, এর পেছনে আছে বেআইনি বালি খাদানের অস্বাভাবিক প্রবণতাকে আটকানোর সাধু উদ্দেশ্য। গোটা ভারতেই যে বেআইনি খাদানেরা রমরমিয়ে চলছে, বিপন্ন করছে প্রকৃতিকে, পরিবেশকে।

পরিবেশ দপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়া বালি কেন, কোন খাদানই শুরু করা সম্ভব না। যাঁরা খনিজ তুলে ব্যবসা করতে চান, তাঁদের হাতে রাশ ছেড়ে দিলে, যা হবে তাতে গোটা দেশের ভূমি ও পরিবেশ বিপন্ন শুধু হবে না, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বিপন্ন হবে। অথচ রিয়াল্টি সেক্টর, বাড়ি তৈরির সেক্টরের প্রবল চাপ - বালি চাই! বালি চাই!

ভাল একটা কাঠামো দরকার। যাতে এই প্রতিটি ধাপ সুনিয়ন্ত্রিত হয়। কাগজে কলমে রাজ্যকে, আমাদের আলোচ্য রাজ্যটিও সেটআপ করেছে বালির সুনিয়ন্ত্রণের জন্য নানা ধরণের দপ্তর থেকে শুরু করে, ওয়েবসাইট, অনলাইন তথ্যভান্ডারও। এর ফলে, শোনা যাচ্ছে, রাজ্যও প্রাপ্য রাজস্ব সঠিকভাবে পাবে। রয়্যাল্টি মানেই তো রাজস্ব। ডিজিটাইজ করা হচ্ছে, বা একটা পোর্টাল খোলা হচ্ছে, যেখানে প্রতি টন তুলে ফেলা বালির হিসেব থাকবে। স্বচ্ছতা থাকবে।

আমরা সবাই সব জানি কিন্তু হাতে রয়েছে পেনসিল।

রাজ্যবাসী এরই ভেতর কাগজ খুলে একদিন হতবাক হয়ে দেখলেন রাজ্যের এক জেলায় একটি পৈশাচিক ঘটনা ঘটেছে। জ্যান্ত দগ্ধ হয়েছেন নারী শিশু সহ একটি গোটা পরিবার, তাঁদের পোষ্য হাঁসেরাও বাদ যায়নি। তারপরে রাজ্যজোড়া হাহুতাশ ও অগ্নিগর্ভ ক্রোধের বহিঃপ্রকাশের মধ্যে সংবাদপত্রগুলি তুলে আনতে লাগল একটি বিশেষ খবর, যার সঙ্গে যুক্ত সেই জেলা ও সংলগ্ন অঞ্চলের বালি খাদানগুলি। এও বলা হল, যে এই অগ্নিকান্ড আসলে হিমশৈলের চূড়া। যে পোড়াল আর যার বাড়ি পুড়ল, সেই গ বাবু আর ঘ বাবু-র লড়াই একটি সিমটম বা রোগলক্ষণ মাত্র। আসল রোগ অনেকটাই গভীরে, আর তার সূত্র ওই অঞ্চলের বালি খাদানগুলি থেকে নেওয়া তোলা বা বেআইনি টোলট্যাক্স।

ঘরের কাছের গল্প। সংবাদপত্রের প্রতি পাঠকের তো এগুলো ঠোঁটস্থ। শুষ্ক সরকারি দপ্তরের বাধ্যবাধকতার গল্প নয় এটা। বোর্নিওর জংগলের গল্পও নয়। তবু, তিনটি গল্পই, একই সুতোয় বাঁধা। আগুন লাগা ঘরটি আসলে একটা প্রতীক। আসলে তৃতীয় বিশ্বের যে কোন খাদান সংক্রান্ত বেলাগাম বেআইনি কারবার, মাফিয়ারাজ আর রাষ্ট্রের নাকের তলা দিয়ে অবাধে দুর্নীতি চালিয়ে যাবার চিত্র এভাবেই প্রতিফলিত হয়। বোর্নিওর জঙ্গল থেকে ফিলিপিনস... ভারতের রাজ্য অব্দি বিস্তৃত একই গল্প। সরকারি ঔদাসিন্য, চোখ বুজে থাকা, আর অপরাধীদের অবাধে নিজেদের কার্যকলাপ চালিয়ে যেতে দেওয়া... শেষমেশ রাষ্ট্রের ঠকে যাওয়ারই গল্প।