আরেক রকম ● দশম বর্ষ দশম সংখ্যা ● ১৬-৩১ মে, ২০২২ ● ১-১৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৯

সম্পাদকীয়

হেঁসেলে হামলা


আন্দামানে এক কেজি আটা ষাট টাকা। পুরুলিয়ায় বাইশ। কেন? এই প্রশ্নের উত্তর দেবার দায় তাঁদের যাঁরা প্রশ্ন করেন ডিজেলের দাম বাড়ার সঙ্গে মুদির দোকানের কী সম্পর্ক?

জলপাইগুড়িতে টমেটো দশ টাকা প্রতি কেজি। কলকাতার বাজারে চল্লিশ। কেন? জলপাইগুড়ি থেকে তো পায়ে হেঁটে টমেটো কলকাতার বাজারে পৌঁছে যাবে না। বস্তা ভরা টমেটো ট্রাক বা ট্রেনে চড়ে কলকাতায় আসে। প্রায় প্রতিদিন বাড়তে থাকা ডিজেল অথবা বিদ্যুৎ-এর দাম তো ক্রেতাকেই বইতে হয়। তাছাড়া মাঝখানে ফড়ে আছে, রয়েছে পাইকারি ব্যবসায়ী। এবং পথিমধ্যে বেশ কিছু টমেটো পচে যায়। সুতরাং চল্লিশ টাকা।

পেঁয়াজ খোলা বাজারে চল্লিশ টাকা প্রতি কেজি। অনলাইনে ই-কমার্স মারফত আনিয়ে নিলে দাম পড়ছে কেজি প্রতি দশ/পনেরো টাকা। কেন? এই প্রশ্নের উত্তর তারাই দিতে পারেন যাঁরা গলা উঁচিয়ে প্রচার করেন কৃষি আইন কৃষকের স্বার্থে রচিত হয়েছিল। কর্পোরেট সংস্থার হাতে চাষের মাঠ থেকে সরাসরি কৃষি পণ্য কেনার সুযোগ থাকলে এমনটাই ঘটে। ফসল মাঠ থেকে সস্তায় কিনে নেওয়ার পর কর্পোরেটের গুদামে জমানো থাকে। সময় বুঝে আস্তে আস্তে বাজারে ছাড়া হয়। দাদন দিয়ে চাষ করানোয় কর্পোরেট সম্ভবতঃ আরও অনেক কম দামে কিনতে পারে।

এখন আবার গুদাম বলা যাবে না। বলতে হবে লজিস্টিক হাব। জেলায় জেলায় মহকুমায় মহকুমায় লজিস্টিক হাব স্থাপনের জন্য রাজ্য সরকারের আবার প্রবল উৎসাহ। খোলা বাজারের বড়ো বা ছোটো ব্যবসায়ী নাকাল। অনলাইনে কেনাকাটায় যাঁরা অভ্যস্ত তাঁদের মনে হচ্ছে কী সুখের দিনই না এল! কর্পোরেট মনে মনে হাসে আর ভাবে, হেসে নাও দু'দিন বই তো নয়। খোলা বাজারের ব্যবসা উৎখাত হয়ে গেলে সুদে আসলে নিংড়ে নেওয়া যাবে।

বাজার অর্থনীতি এইভাবেই চলে। উৎপাদন থেকে বিপণন সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ করে বিভিন্ন ধরনের পুঁজি। কখনও কর্পোরেট কখনও আবার এফডিআই (বা ফরেন ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট) নামের বিদেশি লগ্নি। মে মাসের প্রথম থেকে এফডিআই ভারতীয় শেয়ার বাজার থেকে ধীরে ধীরে সরে যাওয়ায় সেনসেক্স নিম্নগামী। বাজার অর্থনীতির প্রবক্তারা নীরব। আর সরকার তো একই সঙ্গে মূক-বধির। এবং বাজারের পরিস্থিতির উপর নজর না রাখতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

ফলে রান্নার তেল থেকে শুরু করে নুন, খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি গত দশ বছরের রেকর্ড ভেঙে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে গেছে। এমনিতেই পেট্রল-ডিজ়েল থেকে রান্নার গ্যাসের দাম আকাশছোঁয়া। পেট্রল-ডিজ়েল সেঞ্চুরি ছুঁলে, রান্নার গ্যাসের দাম হাজার পেরিয়ে গেছে। ভারত সরকারের উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রক ২২টি খাদ্যপণ্যের দামে নজরদারি করে। সরকারের হিসাব বলছে, এই ২২টি খাদ্যপণ্যের মধ্যে ৯টির মাসিক গড় দাম গত মাসে অর্থাৎ এপ্রিলে রেকর্ড ছাপিয়ে গিয়েছে। গম, আটা, বাদাম-সোয়া-পাম-সূর্যমুখীর মতো ভোজ্য তেল, বনস্পতি, দুধ, এমনকি নুনের দামও ২০১২-র পর থেকে এত বেশি বাড়েনি। সবমিলিয়ে মানুষের পকেট খালি করার পরে এবার ভারত সরকার খাবারের থালাও খালি করে দিতে উদ্যত।

২২টি খাদ্যপণ্যের দাম গত এক বছরে ৯.৭ শতাংশ বেড়েছে। মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের জন্য নাকি রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে নীতি বদলে সুদের হার বাড়াতে হয়েছে। যার সরাসরি প্রভাব পড়েছে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে। বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ক তো ঋণ নিয়ে ব্যবসা করে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বেশি সুদ নিলে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ক ঋণ গ্রহীতার কাছ থেকে বেশি সুদ চাইতে বাধ্য। অন্যথায় ব্যবসা ডুবে যাবে। ফলে গাড়ি-বাড়ি থেকে শুরু করে শিল্পের জন্য ঋণের আবেদন কমে যাচ্ছে।

রোজকার জীবনে খাদ্যপণ্যের দাম খুচরো পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির হারে সবথেকে বেশি ধাক্কা দেয়। তা যদি এভাবে বাড়ে, তা হলে মূল্যবৃদ্ধির হারও বাড়বে। এই মূল্যবৃদ্ধির মূল কারণ অবশ্যই জ্বালানির অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি। মার্চ থেকে এপ্রিলে ডিজ়েলের দাম ৯.৭ শতাংশ বেড়েছে। ফলে পণ্য পরিবহণের খরচও বেড়েছে। পেট্রলের দাম বেড়েছে ৮.৯ শতাংশ। গত এক বছরে পেট্রলের দাম ১৬ শতাংশেরও বেশি ডিজ়েলের দাম ১৯ শতাংশের বেশি বেড়েছে। এবং রান্নার গ্যাসের দাম গত আট বছরে বেড়েছে আড়াই গুণ।

উজ্জ্বলা প্রকল্পে ৮.৯৯ কোটি গরিব পরিবারকে নিখরচায় রান্নার গ্যাসের সংযোগ দেওয়া হয়েছিল। নিখরচায় গরিব পরিবারকে রান্নার গ্যাসের সংযোগ দিয়ে সরকার ঢাক পিটিয়ে কয়েক কোটি টাকা বিজ্ঞাপন বাবদ খরচ করেছিল। কিন্তু তারপরে ভর্তুকি তুলে দিয়ে গ্যাসের দাম এতই বাড়িয়েছে যে ৯০ লক্ষ পরিবার আর কখনও গ্যাসের সিলিন্ডার কেনেনি। এক কোটিরও বেশি পরিবার বছরে মাত্র একটি সিলিন্ডার নিয়েছে। জ্বালানিতে লুট, ভর্তুকি-চুরির আর কত খেসারত জনতাকে দিতে হবে?

সরকারি সূত্রে বলা হচ্ছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মূল্যবৃদ্ধির প্রধান কারণ আন্তর্জাতিক বাজারে জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়া। সাধারণ মানুষ কিন্তু জানে যে এই সুযোগে রাশিয়ার কাছ থেকে সস্তায় তেল আমদানি করা হচ্ছে। অসত্য ভাষণের একটা মাত্রা থাকা উচিত। সরকারের সে কথা খেয়াল নেই। পক্ষান্তরে জিনিসপত্রের দাম থেকে নজর সরাতেই লাউডস্পিকার বনাম হনুমান চালিশা, হিজাব, লাভ জিহাদ, মসজিদ বনাম মন্দিরের বিতর্ক টেনে আনা হচ্ছে। দেখানো হচ্ছে, এগুলিই একমাত্র সমস্যা। দেশের মানুষ সাধারণভাবে ধর্মান্ধ নয়। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় উৎসাহী। ধারাবাহিকভাবে সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের প্রচারের মধ্যে কোনটা আসল সমস্যা তা সকলেই হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে।

লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধির সাথে সাথে গ্রাম ও শহরে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বেকারত্ব। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, অর্থনীতির উন্নতির পথে অন্তরায় হয়ে উঠেছে লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধি। আমজনতা পকেট বাঁচাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। দু'বছরে করোনার দাপটে গোটা বিশ্বেই অর্থনীতি বেহাল হয়ে পড়েছিল। কিন্তু চলতি বছরের শুরু থেকে করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। ফলে আশা ছিল যে, অর্থনীতি ফের ঊর্ধ্বমুখী হবে। কিন্তু সেই আশায় জল ঢেলে দিয়েছে মূল্যবৃদ্ধির পরিসংখ্যান। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শহারাঞ্চলে বেকারত্বের হার ১০ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। বেকারত্ব বেড়েছে গ্রামাঞ্চলেও। দেশে সার্বিকভাবে তা ৮.৪৩ শতাংশ। ১০ এপ্রিল যে সপ্তাহ শেষ হয়, ওই সপ্তাহে তা ছিল ৭.৩৬ শতাংশ।

মূল্যবৃদ্ধির ফলে এবার প্রমাদ গুনতে শুরু করেছে শিল্পও। সার্বিক চাহিদা কমে যাওয়ার পাশাপাশি খরচে রাশ টানতে বহু সংস্থা উৎপাদন এবং পরিষেবায় কাটছাঁট করছে। একইরকম ভাবে। মূল্যবৃদ্ধির জেরে পণ্য-পরিষেবার চাহিদা কমছে। বিক্রি না হওয়ার আশঙ্কায় ও কাঁচামালের চড়া দাম বাড়ায় বহু সংস্থা উৎপাদন কমাচ্ছে। পরিষেবার খরচে রাশ টানছে অনেকে। ফলে কোথাও কর্মী নিয়োগ হচ্ছে না, কোথাও চলছে ছাঁটাই। কিন্তু কর্মপ্রার্থীর সংখ্যা ক্রমশই বেড়ে চলেছে।

দুর্ভোগ কমার নাম নেই। বরং একের পর এক ধাক্কায় আরও কঠিন হচ্ছে আমজনতার দৈনন্দিন জীবন। জ্বালানি-সহ বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য থেকে শুরু করে ভোগ্যপণ্যর দাম বাড়তে থাকার পরিসরে সেই ফাঁস আরও চেপে বসতে পারে ডলারের সাপেক্ষে টাকার তলানি ছোঁয়া দামে। এক ডলারের দর ৭৮ টাকার কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। প্রতিদিনই এই দর উর্ধমুখী। টাকার এই দুর্বল দর অর্থনীতিকে আরও কোণঠাসা করবে। সংসার খরচ বাড়াবে আমজনতার। টাকার পড়তি দামে চাকরিজীবী মানুষের বেতনের প্রকৃত মূল্য (রিয়েল ওয়েজ) কমবে। অথচ চড়বে পণ্যের দাম। কারণ, জ্বালানি এবং কাঁচামাল আমদানির খরচ বাড়বে। দুর্বল টাকা ‘চেন রিঅ্যাকশন’-এর মতো কাবু করে সকলকে। কাঁচামাল কেনার খরচ বাড়লে, পণ্য উৎপাদনের খরচ বাড়ে। তখন তার দাম বাড়ে। দাম বাড়লে বাড়ে ক্রেতার বোঝা। চড়া হয় সংসার খরচ। ফলে পণ্যের চাহিদা কমে। উৎপাদন কমাতে হয় সংস্থাকে। কর্মী-সহ সব খরচেই কাটছাঁটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এই সঙ্কটের লগ্নে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া আমানতে সুদের হার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। না, আমজনতার আমানতে এই বাড়তি সুদ পৌঁছবে না। দুই কোটি টাকার বেশি আমানতের জন্য এই নতুন হার প্রযোজ্য। সাধারণ মানুষকে নিয়ে আর কত রসিকতা চলবে?

রঙ্গ তামাশার মাত্রা বৃদ্ধি পেলে সম্ভবতঃ খেয়াল থাকে না কখন কোথায় কী বলতে হয়। দীর্ঘদিন পর বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী জার্মানিতে গিয়ে দাবি করলেন, বিশ্ব বাণিজ্য সংগঠন অনুমতি দিলে ভারত বাকি বিশ্বকে খাদ্যশস্যের জোগান দিতে এগিয়ে আসতে পারে। যুদ্ধ বিগ্রহে বিপর্যস্ত ইউক্রেন এখন গম রপ্তানি করতে পারছে না। ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইউক্রেনের বদলে সমগ্র বিশ্বের জন্য দায়িত্ব পালন করতে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এগিয়ে আসায় চতুর্দিকে ধন্যি ধন্যি পড়ে গেল। দেশে ফেরার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বিপুল পরিমাণে গম উৎপাদন হওয়ায় ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপিন্স, তাইল্যান্ড, তুরস্ক, টিউনিশিয়া, মরক্কো, আলজেরিয়া, লেবানন, ভিয়েতনামের মতো দেশগুলিতে গম রফতানির সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে বাণিজ্য দল পাঠানো হবে। দেশের গম চাষি, ব্যবসায়ী ও রফতানিকারীদের বিদেশে পাঠানো গমের গুণমান বজায় রাখতে পরামর্শও দেওয়া হল। এই পরিস্থিতিতে ১৪ই মে আচমকাই বিদেশে গম রফতানি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল ভারত সরকার।

বিদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল তা দেশে ফিরে আসার পর কেন এমন ভাবে পাল্টে ফেলা হল, যথারীতি তার কোনো ব্যাখ্যা নেই। স্বভাবতই বিভিন্ন দেশ বিরূপ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছে। জি-৭ গোষ্ঠীর দেশগুলি এই নিষেধাজ্ঞার তীব্র সমালোচনা করেছে। এবং ভারত সরকার নীরব।

পর্যবেক্ষকদের মতে আসল সমস্যা হল সরকার চাষিদের কাছ থেকে যথেষ্ট পরিমাণ গম কিনতে ব্যর্থ হয়েছে। যদি সরকার ঠিক পরিমাণে গম কিনত, তা হলে আর রফতানি বন্ধ করার প্রয়োজন হত না। সরকারের ওই সিদ্ধান্ত কৃষি বিরোধী। এতে চাষিরা বিশ্ব বাজারে বেশি দামে গম বিক্রির সুযোগ হারাল। গত তিন মাসে গম সংগ্রহ অর্ধেকের কম হয়েছে। রেশন দোকানগুলিতে গমের জোগান নেই বললেই চলে। কয়েকদিন আগে আন্তর্জাতিক মঞ্চে দাঁড়িয়ে গোটা বিশ্বকে খাওয়ানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর এমন আকস্মিক নিষেধাজ্ঞা দেখে মনে হতেই পারে কথায় কথায় ৭০ বছরের হিসাব চাইতে যাঁরা অভ্যস্ত তাঁরা ৭ দিন আগে দেওয়া প্রতিশ্রুতিই স্মরণ করতে পারছেন না।

বাজারের হাতে দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা তুলে দিলে এমনটাই ঘটে থাকে। এক অদৃশ্য শৃঙ্খলে জড়িয়ে যাওয়া অর্থনীতি থেকে মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা কমে যাওয়ায় হতাশ হয়ে খুঁজে নিতে হয় নিত্য নতুন প্রকরণ। হিজাব, হালাল থেকে শুরু করে বুলডোজার সবই নজর সরিয়ে দেওয়ার সুদূরপ্রসারী প্রক্রিয়া। হেঁসেলের আঁচ সামলাতে ব্যস্ত মানুষ নিজের অজান্তেই সেই পরিকল্পনার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে বাধ্য হয়। চূড়ান্ত বিচারে বাজারের কাছে আত্মসমর্পণ করে সরকার এমন সমস্ত বিষয়ে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যাতে মানুষ প্রতিষ্পর্ধী হয়ে উঠতে না পারে।