আরেক রকম ● দ্বাদশ বর্ষ নবম সংখ্যা ● ১-১৫ মে, ২০২৪ ● ১৬-৩১ বৈশাখ, ১৪৩১

সম্পাদকীয়

এসএসসি রায়


রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রে বেলাগাম নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে আদালতের নির্দেশে যে সিবিআই তদন্ত চলছে তার একটি মামলায় বিগত ২২শে এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ একটি রায় দিয়েছে যেখানে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে নিয়োগের সম্পূর্ণ প্যানেলকেই বাতিল করা হয়েছে। এই রায়ের ফলে রাজ্যে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল হয়েছে। ডিভিশন বেঞ্চ রায় দিয়েছেন যে এই বাতিল হওয়া শিক্ষকদের ভেতর যারা প্যানেলের বাইরে থেকেও চাকরি পেয়েছেন, যারা ঘুষের বিনিময়ে তালিকায় এগিয়ে এসে চাকরি পেয়েছেন এবং যারা তালিকার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পরেও চাকরি পেয়েছেন তাদের সমস্ত প্রাপ্ত বেতন সুদ সহ ফেরত দিতে হবে। ইতিমধ্যেই সেই রায়কে নিয়ে গোটা রাজ্যে এক বিরাট বির্তকের সৃষ্টি হয়েছে। যাদের চাকরি বাতিল হল তাদের ভেতর যারা যোগ্য ছিলেন তারা এবং যারা দুর্নীতির সুযোগ নিয়েছেন উভয়পক্ষই সুপ্রিম কোর্টে এই রায়ের বিরুদ্ধে শুনানি চেয়েছেন। রাজ্য সরকার ও নিয়োগকর্তা তথা স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছেন। অন্যদিকে রাজনৈতিক দলগুলোও নির্বাচনী ময়দানে এই রায় নিয়ে তর্জা শুরু করেছে। শাসকদলের পক্ষ থেকে আদালতের রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে।

রাজনৈতিক মতামত নির্মাণের আগে ঘটনার প্রবাহ একবার সংক্ষেপে স্মরণ করে নেওয়া যাক। এসএসসি’র নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশে শিক্ষক নিয়োগ এবং গ্রুপ-ডি ও গ্রুপ-সি শিক্ষাকর্মী নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে এই মামলা চলছে ২০২১ সালের ২২ নভেম্বর থেকে। প্রথমে গ্রুপ-ডি পদে শিক্ষাকর্মী নিয়োগে অস্বচ্ছতার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের হয়। সেই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হয়েছিল। সেই বছরেই ডিসেম্বর মাসে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিসন বেঞ্চ অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জিত কুমার বাগের নেতৃত্বে এই নিয়োগের ব্যাপারে একটি অনুসন্ধান কমিটি তৈরি করে দিয়েছিল। এরপর ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে গ্রুপ-সি পদে শিক্ষাকর্মী নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে মামলা দায়ের হয়। সেই মামলাতেও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত। ওই বছরেই এপ্রিল মাসে নবম-দশম শ্রেণিতে শিক্ষক নিয়োগের বেনিয়ম নিয়ে মামলা দায়ের হয়েছিল এবং সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হয়েছিল।

এই সব মামলার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিসন বেঞ্চে আপিল মামলা দায়ের হয়। ২০২২ সালের ১৮ মে বিচারপতি তালুকদার সিবিআই তদন্ত বহাল রাখার নির্দেশ দেন। সেই সময়েই বিচারপতি তালুকদারের এজলাসে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জিত কুমার বাগের নেতৃত্বে গঠিত অনুসন্ধান কমিটির রিপোর্ট জমা পড়ে। রিপোর্টে বলা হয়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জির নেতৃত্বে এসএসসি’র নিয়োগে যে উপদেষ্টা কমিটি তৈরি হয়েছিল, তা অবৈধ। রিপোর্টে বলা হয়েছিল, মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেল থেকে চাকরি দেওয়া হয়েছিল, সই জাল করে এবং টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে। বাগ কমিটি আদালতের কাছে সুপারিশ করেছিল, এই উপদেষ্টা কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা উচিত। পরবর্তীকালে আদালতের নির্দেশে এই মামলায় ইডিকে যুক্ত করা হয় বেআইনী অর্থের লেনদেনের বিষয়ে তদন্তের জন্য। সেই সময় তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি থেকে শুরু করে তৃণমূলের ছোট বড় একাধিক নেতার বাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হতে থাকে। এরপর ইডি তাদের তদন্তের স্বার্থে নিয়োগ সুপারিশ কমিটির সদস্য শান্তিপ্রসাদ সিনহা, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, কল্যাণময় গাঙ্গুলি সহ প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জিকে গ্রেফতার করে।

এরপরই একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে অস্বচ্ছতা নিয়ে মামলা দায়ের করেন ববিতা সরকার নামে এক প্রার্থী। এই মামলায় রাজ্যের মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর চাকরি বাতিল করে দেয় হাইকোর্ট। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সিবিআই তার তদন্ত রিপোর্ট আদালতে জমা দেয়। রিপোর্টে বলা হয়েছিল, ওএমআর শিটে জালিয়াতি হয়েছে। প্যানেলে নাম নেই, এমন প্রার্থীদের চাকরি দেওয়া হয়েছে। মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেল থেকে চাকরি দেওয়া হয়েছে। প্যানেলের শেষের দিকে নাম আছে, এমন প্রার্থীদের চাকরি দেওয়া হয়েছে। এরপর কলকাতা হাইকোর্ট একাদশ-দ্বাদশের সমস্ত চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়। ২০২৩ সালের ৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট সেই মামলা কলকাতা হাইকোর্টে ফিরিয়ে দিয়ে নির্দেশ দেয়, হাইকোর্ট একটি বিশেষ ডিভিসন বেঞ্চ গঠন করে এই মামলার শুনানির ব্যবস্থা করবে এবং ৬ মাসের মধ্যে মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি করবে। গত ৫ ডিসেম্বর থেকে হাইকোর্ট সেই মামলার শুনানি শুরু করে, গত ২২ মার্চ শুনানি শেষ করে রায়দান স্থগিত রেখেছিল। ২২ এপ্রিল বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ সবির রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ রায় দেন যে ২০১৬ সালে গ্রুপ-সি, গ্রুপ-ডি, নবম-দ্বাদশে নিয়োগ পাওয়া এসএসসি চাকরিপ্রাপকদের সবার চাকরি বাতিল হবে। উচ্চ আদালত ঘোষণা করে যে মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেলে যারা চাকরি পেয়েছেন তাদের চাকরি বৈধ হতে পারে না। এর পাশাপাশি আদালত এসএসসি-কে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুরও নির্দেশ দিয়েছে। ২৩ লক্ষ পরীক্ষার্থীর ওমএমআর শিট পুনর্মূল্যায়নের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। টেন্ডার ডেকে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়াও শুরু করতে বলেছে আদালত। এর পাশাপাশি এসএসসির সার্ভারে দ্রুত ওএমআর শিট আপলোড করতেও বলেছে হাইকোর্ট। হাইকোর্ট একইসঙ্গে বলে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত জারি রাখবে সিবিআই এবং 'যাকে প্রয়োজন তাকেই’ হেফাজতে নিতে পারবে সিবিআই'।

এই মামলার শুনানি হাইকোর্টে চলাকালীন আদালত এসএসসি-র কাছে জানতে চায় এই নিয়োগের তথ্যপ্রমাণ কোথায়। উত্তরে এসএসসি জানায় যে তারা সমস্ত পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র নষ্ট করে ফেলেছে। সুতরাং তাদের পক্ষে আর উত্তরপত্র যাচাই করে কার নিয়োগ বৈধ আর কার অবৈধ তা বলা সম্ভব নয়। তারা এও জানায় যে প্রায় ৫৫০০-র মত নিয়োগ বেনিয়ম করে হয়েছে, কিন্তু কাদের বেনিয়ম করে হয়েছে তারা তা বলতে পারবে না। শুধু তাই নয়, বেনিয়ম করে যারা চাকরি পেয়েছেন তাদের আলাদা করে চিহ্নিত করা যাবেনা বলে বাড়তি পদ তৈরি করার জন্য রাজ্য মন্ত্রীসভা সুপারিশ করে। এই প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট সমস্ত চাকরিই বাতিল ঘোষণা করে এবং যারা এই বাড়তি পদ তৈরির সুপারিশ করেছিল তাদের বিরুদ্ধে সিবিআই-কে তদন্তের নির্দেশ দেয়। ইতোমধ্যে দেশের সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকার এই রায় খারিজ করার আবেদন জানিয়েছে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট সেই রায়ে এখনও অবধি স্থগিতাদেশ দেননি। রাজ্যের সরকার এও আবেদন জানায় যে তদন্ত জারি থাকলে নির্বাচনের মধ্যেই গোটা মন্ত্রিসভাই প্রায় গ্রেফতার হয়ে জেলে যেতে পারে। সুপ্রিম কোর্ট ৬ই মে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন এবং নতুন করে সিবিআই তদন্তের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। যদিও প্রধান বিচারপতি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যেখানে সমস্ত প্রমাণই লোপাট সেখানে যোগ্য আর অযোগ্যের ফারাক কীভাবে করা যাবে। বস্তুত এই যুক্তিতেই হাইকোর্ট সমস্ত প্যানেল বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন।

এই গোটা ঘটনা পরম্পরা থেকে দুটি বিষয় পরিস্কার হয়। প্রথমত একথা অনস্বীকার্য যে এই নিয়োগ ঘিরে একটি বিপুল দুর্নীতি হয়েছে এবং রাজ্য প্রশাসনের সর্বোচ্চ মহলের অনুপ্রেরণা ব্যতিরেকে এই মাপের দুর্নীতি করা সম্ভব না। এই দুর্নীতির মাধ্যমে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের একাধিক নেতার বিপুল বেআইনি সম্পত্তি তৈরী হয়েছে যা পরবর্তীতে রাজনৈতিক ক্ষমতা কায়েম রাখতে ব্যবহৃত হয়েছে ও হচ্ছে। এই দুর্নীতির মাধ্যমে এ রাজের একদল ছেলেমেয়ে নিজেদের চাকরির বন্দোবস্ত করেছেন একথাও প্রমাণিত। তাদের বিরুদ্ধে জনমানসে ক্ষোভ রয়েছে এবং এদের কারণে যে একটা প্রজন্মের সৎ ছেলেমেয়ের জীবন প্রায় নষ্ট হতে বসেছে সেকথা অনস্বীকার্য। এদের জন্য যারা যোগ্য প্রার্থী হিসাবে চাকরি পেয়েছিলেন তারাও আজ অভূতপূর্ব সঙ্কটের মুখে। একদিকে সামাজিক অসম্মান ও অন্যদিকে পেশাগত জীবনে অনিশ্চয়তা এই অংশকে যে মানসিক অবসাদগ্রস্ত করে তুলবে না, কে বলতে পারে? ফলে আজ এই রায় নিয়ে অনেকেই হতাশা ব্যক্ত করছেন।

সমস্ত যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি বাতিল হওয়ায় আদালত যে চাল এবং কাঁকড়কে আলাদা করতে পারল না, তাও কাম্য ছিল না। যারা দোষ করেনি, তাদের শাস্তি দেওয়া যায় না। এই মৌলিক ন্যায়ের প্রক্রিয়া এই রায়ে মান্যতা পায়নি। কারণ দোষ না করেও বহু ব্যক্তির সাজা হল, তাদের চাকরি চলে গেল। কিন্তু এই যোগ্যদের চাকরি চলে যাওয়ার মূল দায় তৃণমূল সরকারকেই নিতে হবে। এসএসসি একদিকে যোগ্য এবং অযোগ্যদের কোনো তালিকা আদালতের সামনে পেশ করতে পারেনি। দুর্নীতির পাঁকে গোটা সংস্থাটি এতটাই নিমজ্জিত যে এসএসসি-র চেয়ারম্যান বলছেন যে হলপ করে বলা যাবে না কে যোগ্য এবং কে অযোগ্য প্রার্থী। সুপ্রিম কোর্টে আপিল করতে গিয়েও রাজ্য সরকারের তরফে যোগ্য প্রার্থীদের নিয়ে কোনো বাক্যব্যয় করা হয়নি। গোটা মন্ত্রীসভা জেলে চলে যেতে পারে, এই যুক্তিতে স্থগিতাদেশ চেয়েছে সরকার। এর থেকে বড় নির্লজ্জতা আর কী হতে পারে! আমরা আশা করব যে সুপ্রিম কোর্ট সমস্ত বিষয় বিবেচনা করে যোগ্য প্রার্থীদের অধিকারকে সুরক্ষিত করবেন এবং যারা এই দুর্নীতির প্রধান পাণ্ডা তাদের কঠোর শাস্তি দেবেন।

এখনও অবধি যা জানা গেছে তাতে এই নিয়োগ দুর্নীতির মূল ষড়যন্ত্রকারীরা সবাই চিহ্নিত নয়। কয়েকজন জেলে গিয়েছেন, কিন্তু গোটা রাজ্যজুড়ে যে জাল ছড়িয়েছে তা যে কেবল এই কয়েকজনের কৃতকর্ম নয় সবাই বোঝেন। তাহলে সিবিআই তদন্তে তাদের নাম উল্লেখ নেই কেন? কেনই বা দীর্ঘ দেড় বছর ধরে তদন্ত করার পরেও মূল অপরাধীদের খুঁজে বের করা যাচ্ছেনা? এই প্রশ্নের উত্তর কি আদালতের কাছেও আছে? দীর্ঘ ৮ বছর ধরে পরিকল্পিতভাবে যে নিয়োগ দুর্নীতি চলল, যেখানে সমস্ত তথ্যপ্রমাণ প্রায় পেশাদার অপরাধীর মত নষ্ট করা হয়েছে, সেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা কী? আজ তিনি যতই বলে বেড়ান যে তিনি জানতেন না কিছুই, একথার কোনো বিশ্বাসযোগ্যতা নেই। তাঁর তো উচিত ছিল স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মন্ত্রীসহ গোটা শিক্ষাদপ্তরকেই বরখাস্ত করা। তা না করে সরকার বারবার অযোগ্য প্রার্থীদের হয়ে সওয়াল করে চলল কেন? এই প্রশ্নের উত্তর তো আদালতকে চাইতেই হবে। কেবল দুর্নীতির নীচের স্তরের সুবিধাভোগীদের শাস্তি দিয়ে এই রোগের নিরাময় তো সম্ভব নয়।

রাজ্যের আপাদমস্তক দুর্নীতিগ্রস্থ অপদার্থ সরকারের এই বেআইনি কারবারে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত একদিকে রাজ্যের বেকার যুবক-যুবতীরা আর অন্যদিকে রাজ্যের ছাত্রসমাজ। শিক্ষকসমাজের যোগ্যতা নিয়ে যে গভীর সন্দেহের বীজ আজ সমাজে প্রোথিত হয়েছে তার ফল সমাজকেই ভুগতে হচ্ছে। একদিকে সরকারি বিদ্যালয়ের মান ক্রমনিম্নগামী। সেখানকার শিক্ষকদের যোগ্যতা নিয়ে ছাত্ররাই সন্দিগ্ধ। ফলে পারস্পরিক শ্রদ্ধা আজ বিলীন। যা একদিকে সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয় আনছে, অন্যদিকে গরীব ঘরের ছেলেমেয়ের শিক্ষার সাথে এক বেনজির আপোষ করা হচ্ছে। তাদের জন্য এক দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার আয়োজন করেছে সরকার। ফলে সামাজিক চেতনার বিকাশও আর বাড়ছে না। এই দুর্নীতির অভিশাপ থেকে রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রকে মুক্ত করতে না পারলে রাজ্যের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হবেনা। আজ সাধারণ মানুষকেই এই রাজনৈতিক প্রতারণার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে এবং এক সুন্দর বিকল্পের জন্য লড়তে হবে। জনগণের সম্মিলিত প্রতিরোধই পারবে এ রাজ্যের শাপমোচন ঘটাতে।